থানা উদ্বোধন ও জনসভা উপলক্ষে চাঁদাবাজির অভিযোগ
নবগঠিত ভুল্লী থানার উদ্বোধন ও আওয়ামী লীগের জনসভার ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় প্রায় অর্ধকোটি টাকা। তবে জনসভা উপলক্ষে স্থানীয় ব্যবসায়ী, সরকারী-বে-সরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের কাছে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আয়োজক কমিটির বিরুদ্ধে। আজ ২৯ ডিসেম্বর দুপুরে নবগঠিত ভূল্লী থানা উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি। থানা উদ্বোধন শেষে কুমারপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন তিনি।
অন্যদিকে, নবগঠিত ভুল্লী থানা উদ্বোধন ও জনসভা উপলক্ষে আহ্বায়ক কমিটির সদস্যরা প্রত্যেকটি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাঁদা তুলেছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। তবে ভুল্লী থানা বাস্তবায়ন কমিটির প্রচার সম্পাদক ফরহাদ আহমেদ রিংকু চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, চাঁদা নয়, যে যার মত করে আমাদের সহযোগিতা করেছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে বাস্তাবায়ন কমিটির সদস্য সচীব জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেন, কারো কাছে থেকে কোন চাঁদা নেওয়া হয়নি। বরং অনুষ্ঠানটি সফল করার জন্য আমি নিজেই অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছি। এছাড়া সকলের সহযোগীতায় অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বালিয়া ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী বলেন, জোর করে কারো কাছে কোন চাঁদা নেওয়া হয়নি। সকলে সহযোগিতা করেছে। তবে এ উপলক্ষে সরকারি কর্তন করি বিক্রীর অভিযোগ থাকলেও তিনি তা অস্বীকার করেন।
উল্লেখ্যঃ ভূল্লীবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৯ মার্চ ২০১৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় ভূল্লী থানা বাস্তবায়নের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তারেই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অধিকতর উন্নতি, দক্ষতার সাথে অপরাধ দমন, এজাহার গ্রহন ও মামলা তদন্তের কাজে গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে এবং সরকারের উন্নয়নের চিত্র হিসেবে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে থানা গঠনের জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপ্রতি আব্দুল হামিদ স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপন জারি হয়। পরে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয়দের সহযোগীতায় ভূল্লী থানার অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ করা হয়।
এএজেড