জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে জড়িত

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শাজাহান খান এমপি বলেন, কর্নেল ফারুক ১৯৭৫ সালের ২৮ মার্চ জিয়াউর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিলেন। জিয়াউর রহমান কর্নেল ফারুকে বলেছেন আমি সিনিয়র অফিসার এটা আমার পক্ষে সম্ভব না। তোমরা জুনিয়ার যারা যারা আছো এগিয়ে যাও। তাহলে তার কথাই বুঝা যায় জিয়াউর রহমান কিন্তু হুকুমের আসামী। এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার হুকুম দিলেন জিয়াউর রহমান। কেন তখন তিনি তাদেরকে গ্রেপ্তার করেন নাই। আর তখন জিয়াউর রহমান কেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সতর্ক করলেন না।
তখন তিনি সব জানতেন এতে বোঝা যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার সঙ্গে জিয়াউর রহমান সরাসরি জড়িত। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মাদারীপুর শহরের শিল্পকলা একাডেমির মিলায়তন কক্ষে তাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য পুনরায় নির্বাচিত করায় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
শাজাহান খান এমপি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান এবং মোস্তাক বঙ্গবন্ধুর হত্যার সাথে জড়িত ছিল এটা আমাদের বের করে আনতে হবে। বের করে না আনতে পারলে বাংলাদেশের ষড়যন্ত্রমূলক রাজনৈতিক শেষ হবে না। এখন বিএনপি বলে আবার গুম খুনের রাজনৈতিক করে আওয়ামী লীগ। তাদের কাছে একটা প্রশ্ন? গুম খুন শুরু করেছে কারা?
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার মধ্যে দিয়ে জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করেছে। যখন মুক্তিযোদ্ধারা যেসকল উচ্চ পর্যায়ের অফিসার যুবক ছিলেন তখন ১৯ টি খুনের নামে জিয়াউর রহমান ১৫৫৬ জন এয়ারফোর্স ও সেনাবাহিনীকে ফাঁশি দিয়ে হত্যা করেছে। আশ্চর্য বিষয় হলো যারা কোন ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত সাথে জড়িত না তাদেরকেও ফাঁসি দিয়ে হত্যার করেছিলো সেদিন।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এজাজুর রহমান আকনের সঞ্চালনায় ও মাদারীপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন সেলিমের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ আবুল বাশার, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পাভেলুর রাহমান শফিক খানসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের সকল নেতা কর্মিরা।
এএজেড
