নোয়াখালীতে জামায়াত-বিএনপির ৫৩৬ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
নোয়াখালীতে বিশেষ ক্ষমতা আইনে বিএনপি ও জামায়াতের ৫৩৬ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে সুধারাম মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসসআই) মোজাম্মেল বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে এ মামলাটি করেন।
রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, গতকাল শনিবার সকাল ৯টার দিকে মাইজদীতে জামায়াতের গণমিছিল থেকে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় ৩৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়।
অন্যদিকে গতকাল শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা নিজাম উদ্দিন ফারুক দাবি করেন, শনিবার সকাল ৯টার দিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, রাজবন্দীদের মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে জেলা শহর মাইজদীতে জামায়াতের গণমিছিলে পুলিশ হামলা চালায়। এসময় পুলিশের হামলায় ও গুলিতে ৩০ নেতা-কর্মী আহত হন। পুলিশ ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করে।
তিনি বলেন, জেলা জামায়াতের আমির ইসহাক খন্দকারের নেতৃত্বে শান্তিপূর্ণ গণমিছিল মাইজদী পৌর বাজার পৌঁছালে পেছনের দিক থেকে পুলিশ হামলা ও গুলি চালায়। এসময় জামায়াতের ৩০ নেতা-কর্মী গুলিবিদ্ধসহ আহত হন। পরে পুলিশ জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা সাঈয়েদ আহমেদসহ জামায়াত শিবিরের ১৯ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে সুধারাম থানার পুলিশ। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
সুধারাম থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, জামায়াতের ১৯ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গুলি চালানোর বিষয়টি নাকচ করে তিনি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শর্টগানের কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালায়। জামায়াতের নেতা-কর্মী উল্টো পুলিশের উপর ককটেল হামলা চালায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান বলেন, গতকাল আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করেছি। পুলিশের সঙ্গে আমাদের কোনো সংঘর্ষ হয়নি। তবে আমি এই মামলার বিষয়ে এখনো অবগত নয়।
এসজি