সাভার ও ধামরাইয়ে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫

ঢাকার সাভারে লেগুনা ও মিনিবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত ও চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন। অন্যদিকে ধামরাইয়ে খাদে পড়ে যাওয়া বাসের নিচ থেকে ২৪ ঘণ্টা পর দুই যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে সাভারের সিএন্ডবি-আশুলিয়া আঞ্চলিক সড়কের কলমা এলাকায় লেগুনা ও মিনিবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটে। এ দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।
এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা জানান, কলমা এলাকায় দুটি পরিবহনের সংঘর্ষ হওয়ার পর সাতজনকে আহত অবস্থায় এনাম মেডিক্যালে নেয়া হয়। সেখানে তিনজনের মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ধামরাইয়ের বালিথায় একেএইচ গার্মেন্টস এলাকায় মহাসড়ক থেকে একপি বাস খাদে পড়ে গিয়েছিল। দুর্ঘটনার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর ঘটনাস্থল থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
নিহতরা হলেন-মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানার আব্দুল বাতেন ও ধামরাইয়ের শ্রীরামপুর এলাকার মুক্তা আক্তার।
এ বিষয়ে ধামরাই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা সোহেল রানা জানান, গতকাল একে এইচ গার্মেন্টেসের সামনের সড়কের পাশে ২০ ফুট গভীর ডোবায় বাসটি পড়ে যায়। বাসটি মানিকগঞ্জ থেকে ঢাকায় যাচ্ছিল। আমরা বাসের ভেতরে সার্চ করে কাউকে আটকা অবস্থায় পাইনি। তবে বাসের নিচে মানুষ আটকে থাকার আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলাম। প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর ক্রেনের মাধ্যমে বাসটি উঠালে এর নিচে ভাসমান অবস্থায় মুক্তা আক্তার নামে এক নারী যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর পানির নিচে তল্লাশি চালিয়ে আব্দুল বাতেন নামে আরেকজনের মরদেহ উদ্ধার করি। মরদেহ দুটি মানিকগঞ্জের গোলড়া হাইওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে মানিকগঞ্জের গোলড়া হাইওয়ে থানার ওসি মাসুদ খান জানান, মরদেহ দুটি থানায় রাখা হয়েছে। নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
