ফসলি জমি কেটে পুকুর খনন

জয়পুরহাটের কালাইয়ে অনুমতি ছাড়াই প্রায় ৪৫ শতক ফসলি জমি বিনাশ করে মাটি কেটে পুকুর খনন এবং মাটি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর মৌজাতে এ পুকুর খনন করছেন আব্দুল আউয়াল চৌধুরীর নামে একজন ব্যক্তি।
স্থানীয়রা বাসিন্দারা জানান, ফসলি জমির মালিক মাটি কাটার জন্য স্থানীয় মাটি ব্যবসায়ীর সঙ্গে চুক্তি করে এই কাজ করছে। মাটি বহনকারী ট্রাক্টর/ ট্রলি ইউনিয়নের বিভিন্ন রাস্তায় দ্রুত গতিতে চলাচল করছে এতে সড়কগুলোর চরম ক্ষতি হচ্ছে। পাশাপাশি মাটি বহন করার সময় ধুলাবালিতে পথে চলাচলকারী মানুষের নানা সমস্যা হচ্ছে। মানুষ শ্বাসকষ্টসহ বায়ু দূষণজনিত অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। মাটি নিয়ে যাওয়ার কারণে আশপাশের ফসলি জমিও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এ বিষয়ে আব্দুল আউয়াল চৌধুরী বলেন, 'আমার কেশার-পুকুর সংলগ্ন কিছু আবাদি জমির মাটি কেটে পুকুরটি একটু বড় করছি। এজন্য অনুমতি চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং কৃষি কর্মকর্তা বরাবরে আবেদন করেছি। এখনো অনুমতি পাইনি। তবে অনুমতি পাওয়ার আশাতেই পুকুর খনন শুরু করেছি।'
আব্দুল আউয়াল চৌধুরীর বাবা টুকু চৌধুরী বলেন, 'একটি মুরগির শেড তৈরির জন্য আমাদের কেশার-পুকুরের পূর্ব পাশে কিছু আবাদি জমি ভরাট করছি। শেড তৈরি হলে কিছু ব্যাংক ঋণ পাব। এ জন্য পুকুর পুনঃখনন করছি। একই সঙ্গে ওই পুকুরের পশ্চিম দিকের কিছু আবাদি জমিও খনন করে পুকুরটি একটু বড় করছি। পুকুর খননের জন্য লিখিতভাবে আবেদন করা হয়েছে।'
এ ব্যাপারে কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জান্নাত আরা তিথি বলেন, 'এ বিষয়ে আমরা কয়েকটি লিখিত আবেদন পেয়েছি। কিন্তু কাউকেও পুকুর খননের অনুমতি দেওয়া হয়নি। অভিযুক্ত ব্যক্তি যাতে ফসলি জমিতে পুকুর খনন না করেন- সেজন্য লোক পাঠানো হয়েছে।'
এসএন
