সকল মাদ্রাসায় জাতীয় পতাকাকে সম্মান দেখানোর আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, জাতীয় পতাকা আর জাতীয় সংগীত বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রতীক। জাতীয় পতাকাকে সম্মান করা অর্থ বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে সম্মান করা, এদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করা। দেশের বীর বাঙালিরা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে যে দেশকে স্বাধীন করেছেন সেই রক্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো। তাই যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিশ্বাস করে, শ্রদ্ধার চোখে দেখে, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করতে চায় তাদের অবশ্যই জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে হবে এবং জাতীয় সংগীত গাইতে হবে।
বিজয় দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে নাটোরে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, নতুন প্রজন্মকে এই চেতনা বোধ শেখানো প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব। এজন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা এবং জাতীয় সংগীত গাওয়া জরুরি। কিন্তু দু:খের বিষয়, কিছু মাদ্রাসায় জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা এবং জাতীয় সংগীত গাওয়ানো হয় না। এতে শিক্ষার্থীরা যেমন দেশের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ করতে শেখে না, জাতির বীর সন্তানদের শ্রদ্ধা করতে শেখে না তেমনি রাষ্ট্রীয় আইনও অমান্য করা হয়। এজন্য প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশেষ করে যেসব মাদ্রাসায় জাতীয় সংগীত গাওয়ানো হয় না এবং জাতীয় পতাকাকে সম্মান প্রদর্শন করানো হয় না ওই প্রতিষ্ঠানগুলোতে ওই কার্যক্রম শুরুর আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী দাবি করেন, যে সকল মাদ্রাসায় ওই কাজগুলো করা হচ্ছে না তা স্থানীয় প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের মনিটরিং করা উচিত। যদি কোনও মাদ্রাসা এই ধরনের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে শিশুদের জাতীয় পতাকাকে সম্মান করানো না শেখায় বা জাতীয় সংগীত না শেখায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান তিনি।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে ওই আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল কুদ্দুস, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল, নাটোর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সাজেদুর রহমান খান, মুক্তিযোদ্ধা শিরিন আক্তার ও নাটোর নবাব সিরাজ উদ দৌলা সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ জহিরুল ইসলামসহ অনেকে।
এসআইএইচ
