বন্য কুকুরের আক্রমণে ১৭৫ ভেড়ার মৃত্যু
ফেনীর সোনাগাজীতে বন্য কুকুরের আক্রমণে ১৭৫টি ভেড়ার মৃত্যু হয়েছে। মৃত ভেড়া গুলোর বাজার মূল্য আনুমানিক ২০ লাখ টাকা হবে বলে জানা গেছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার চর চান্দিয়া ইউনিয়নের আবদুল্ল্যাহর চরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর স্থানীয় কৃষক ও খামারিরা কুকুরের ভয়ে তাদের গরু ছাগল ভেড়া সহ গবাদি পশু সার্বক্ষনিক পাহারা দিচ্ছে এবং মাঠে চরাতে সাহস পাচ্ছেন না।
ক্ষতিগ্রস্থ খামার মালিক নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম শাহীন জানিয়েছেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পার্শ্ববতী সোনাগাজী উপজেলার চর চান্দিয়া ইউনিয়নের আবুল্ল্যার চরে আমার নামে আমি একটি ভেড়ার খামার গড়ে তুলেছি। খামারে মোট ২৭৫টি ভেড়া ছিল।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে খামারের রাখাল সেলিম পাশের বাজারে নাস্তা করতে যায়। এ সুযোগে ৬টি বন্য কুকুর ভেড়ার খামারে হানা দেয়। ওই সময় ৬টি কুকুরের কামড়ে মোট ১৭৫টি ভেড়া মারা যায়। মারা যাওয়া ভেড়ার মধ্যে ১২০টি ভেড়া গর্ভবতী ছিল। ভুক্তভোগী খামারের মালিক শাহীন সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।
এদিকে সোনাগাজীর খামারীরা জানান, এখানকার খামারীদের প্রয়োজনে-বিপদে সরকারী অফিসারদেরকে পাওয়া যায় না। তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা ব্যস্ততা দেখান। কখনো খামারে আসলেও তাদেরকে ফিস দিতে হয়। শুক্রবার রাতে আবদুল্লা চরে পাগলা কুকুরের কামড়ে শতাধিক ভেড়া মারা গেলেও এখন (সন্ধ্যা ৬ ঘটিকা) পর্যন্ত প্রাণি সম্পদ অফিসারকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় খামারীরা।
সোনাগাজী উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুপন নন্দী জানান, ঘটনাটি আমাকে লোকজন মোবাইলে জানিয়েছে। আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। পরে গণমাধ্যমকে বিস্তারিত জানানো হবে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন জানান, খামারীদের বিপদে-আপদে পাশে থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা প্রাণি সম্পদ বিভাগের দায়িত্ব ভূক্ত। কিন্তু চরাঞ্চলে শতাধিক ভেড়া মারা যাওয়ার ঘটনার পর পুরো দিন কেটে গেলেও প্রাণিসম্পদ অফিসার ঘটনাস্থলে যাননি। এবিষটি অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে।
ফেনী জেলা প্রাণি সম্পদক কর্মকর্তা ডা. আনিসুর রহমান জানান, ঘটনা ঘটার ১২ ঘন্টার পরও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে না পৌঁছা দু:খজনক বিষয়। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এএজেড