নওগাঁর আর্জেন্টিনা ফ্যানসদের খাসি দিয়ে পিকনিক

কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল শেষের অপেক্ষায়। কাল রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) আর্জেন্টিনা-ফ্রান্সের ফাইনালের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে টুর্নামেন্টের। পাড়া মহল্লায় বিরাট পর্দা লাগানো হবে। থাকবে সাউন্ড সিস্টেম। সেই খেলা ঘিরে নওগাঁর আর্জেন্টিনা ফ্যানসদের খাসি দিয়ে পিকনিকের প্রস্তুতির খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেজবুকে ভাসছে। জেলার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় বা মোড়ে এসব পিকনিকের প্রস্তুতি নিচ্ছে ছেলে বুড়ো সবাই নির্দিষ্ট অংকের চাঁদা দিয়ে।
শহরের পার নওগাঁর নসিব নামে এক আর্জেন্টিনা ফ্যানস তার ফেসবুক আইডিতে সম্প্রতি কিত্তিপুর হাট থেকে বারো হাজার ৮০০ টাকা দিয়ে কেনা একটি খাসির ছবি দিয়ে ক্যাপশন লিখেছেন, Vamos_Argentina বিশ্বকাপ ফুটবল ফাইনালের প্রস্তুতি চলছে।
সেই ছবিটিতে (নামের ইংরেজি আদ্যক্ষর অনুযায়ী) মো. আশিক অলি মন্তব্য লিখেছেন, 'খাওয়া দাওয়া কি খেলার আগে হবে বন্ধু। আগেই খাওয়া দাওয়া করে নিস বন্ধু । তাছাড়া কিন্তু পরে হারার পর আর খেতে পারবি না।'
শুনতে খানিকটা মজা লাগলেও, বিশেষ করে (নভেম্বর - ডিসেম্বর) এই সময়ে বিশেষ কোথাও বন্ধুদের সঙ্গে গিয়ে পিকনিক করার চল রয়েইছে জেলা জুড়ে। নসিবরা এবারে ৪০ জনের একটি দল নিয়ে এই পিকনিকের আয়োজন করেছে।
তিনি জানালেন, শীতকালে ছোট যমুনার ধারে ধোপাপাড়ার পরিবেশ আলাদা একটা মাদকতা এনে দেয়। যার জন্য টানা ১০ বছর ধরে এলাকায় ছোট-বড় সকলে মিলে পিকনিক করে আসছি। তবে এ বছর বিশ্বকাপ ফুটবল উন্মাদনা চলছে। প্রিয় ফুটবল দল আর্জেন্টিনা ফাইনালে খেলছে। ফ্যানসদের মাঝে এক অন্যরকম উৎসাহ থেকেই এমন ভুরিভোজের প্রস্তুতি।
শহরের পুরাতন রেজিস্ট্রি অফিস পাড়া, উকিলপাড়া, কালিতলা, দয়ালের মোড় এলাকার কয়েকজন আর্জেন্টিনা ফ্যানসরা জানান, বিশ্বকাপ চলাকালে প্রায় দিনই পিকনিকের আয়োজন করেছি। মুরগি নয়তো হাঁস দিয়ে। তারা জানালেন, গত ম্যাচে আর্জেন্টিনা ফাইনাল নিশ্চিত হলে আমরা খাসি দিয়ে পিকনিকের এর প্রস্তুতি নেই।
পেশায় বেসরকারি কোম্পানির চাকুরিজীবি আকরামুজ্জামান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমরা সকলেই বাইরে বেসরকারি সংস্থায় কাজ করি। দশ বারো জন বন্ধু শীতকালে একত্র মিলিত হয়ে বছরের এই সময়টাতে এলাকা ছাড়িয়ে যে কোনও জায়গায় পিকনিক করি। প্রিয় দল আর্জেন্টিনা ফাইনালে সেই উপলক্ষে সকলে মিলিমিশে এক জায়গায় বসে পাত পেড়ে খাওয়ার আনন্দ করতে দুইটা খাসি রানীনগর উপজেলার ত্রিমোহনী হাট থেকে ১৭ হাজার টাকা দিয়ে কিনে নিয়ে এসেছি। পাড়ার বন্ধুবান্ধব ছোট-বড় জনপ্রতি ২০০ টাকা চাঁদা দিয়ে।
এএজেড
