প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার বন্ধ করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সীমান্ত হত্যা বন্ধে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার বন্ধ করা হবে মর্মে বাংলাদেশ-ভারত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) বিকালে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা জানান মন্ত্রী। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যটালিয়ন (র্যাব)-১৩ রংপুর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে গুরুত্ব ও সীমান্ত হত্যা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশ-ভারত ভ্রাতৃপ্রতীম দেশ। সীমান্তের ওপারে যারা থাকে তাদের সঙ্গে এপারে সীমান্তবর্তী বাসিন্দাদের নানা কাজে সুসম্পর্ক রয়েছে। হয়তো মনের টানে নিজের অজান্তে অনেকে সীমানা অতিক্রম করে থাকে। অনেকে যে কাজটি করা উচিৎ নয় সেটিও করে থাকে। এজন্য বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে মাঝে মাঝে দুই একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে যায়।’
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যা বন্ধে গৃহীত উদ্যোগ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘দুই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিজিবি-বিএসএফ পর্যায়ে একাধিক আলোচনা হয়েছে। সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা হবে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সীমান্তে লেথাল আর্মস ব্যবহার করা হবে না। তবুও মাঝে মাঝে কিছু ঘটনা ঘটে যায়। সীমান্ত হত্যা বন্ধ্বে আমরা আন্তরিক।’
অনাহুত কারণে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে। বিএনপির এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, 'অনাহুত কারণ কাকে বলে আমি জানি না। যখন ভাঙচুর হয়, জীবননাশ হয়, অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে তখন মামলা হয়।'
পরে মন্ত্রী শীতার্ত সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। এক হাজারের বেশি শীতার্ত মানুষ শীতবস্ত্র গ্রহণ করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, এমপি। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম-৪ আসনের এমপি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, কুড়িগ্রাম-১ আসনের সংসদ সদস্য আসলাম হোসেন সওদাগর, কুড়িগ্রাম-২ আসনের এমপি পনির উদ্দিন আহাম্মেদ, কুড়িগ্রাম-৩ আসনের এমপি এম এ মতিন, র্যাবের অতিরিক্ত আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন, এডিজি (অপস্) কর্ণেল কে এম আজাদসহ রংপুর ও কুড়িগ্রামের অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণ।
/এএন