শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৫ ডিগ্রি
শীতে কাঁপছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গা। চলছে মৃদু শৈত্য প্রাবাহ। গত তিন দিন দিন ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করেছে এই জেলায়। উত্তরের হিমেল হাওয়া আর শীতের তীব্রতায় জেলার দরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষেরা দারুণ কষ্টে পড়েছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানায়, আজ শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল শতকরা ৮৫ ভাগ। এর আগে শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) ছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এভাবে কয়েকদিন ধরেই দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে চুয়াডাঙ্গায়।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার অফিসের ইনচার্জ রকিবুল হাসান জানান, দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়। কয়েকদিন আগে থেকেই চুয়াডাঙ্গায় ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। শৈত প্রবাহের সঙ্গে প্রচণ্ড শীত অনুভূত হচ্ছে। এই আবহাওয়া আরো কয়েক দিন চলবে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা একটু বাড়ছে। কিন্তু বেলা গড়ানোর সাথে সাথেই নেমে আসছে শীত।
এদিকে প্রতিদিন রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতের তীব্রতাও বাড়ছে। ভোরের দিকে শীতের তীব্রতা আরো বেশী। ২৪ ঘণ্টা মৃদু শৈত্য প্রবাহ চলছে। আরো কয়েকদিন এ শৈত্য প্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
অপরদিকে তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি কষ্টে রয়েছে জেলার অসহায়-দরিদ্র মানুষেরা। বিশেষ করে শীতের কারণে সকাল বেলা কাজে বের হতে পারছেন না তারা। এতে লাভবান হচ্ছে খেজুরের গুড়-পাটালির কারিগররা। বেশি শীত পড়ায় গাছিদের খেজুরের রস-গুড় বেশি হচ্ছে।
তবে হঠাৎ করেই তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় তীব্র শীতে জেলায় শীতজনিত রোগীর সংখ্যা আগামীতে বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিসৎকরা। বিশেষ করে স্বর্দি-কাশি, বয়স্কদের শ্বাসকষ্ট, শিশুদের নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, ব্রঙকাইটিস, এজমা এ ধরনের রোগীরা।
আবহাওয়ার এমন আচরণে শীতের কাপড় কিনতে পুরনো শীতবস্ত্রের দোকাগুলোতে ভিড় বাড়ছে। সরকারিভাবে জেলা প্রশাসন থেকে শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি অসহায় শীতার্ত মানুষের পাশে দেশের বিত্তবানরা দাঁড়ালে শীতের দুর্ভোগ থেকে কিছুটা হলেও রেহাই পাবে এ জেলার মানুষেরা।
এসআইএইচ