শিক্ষা কর্মকর্তাকে অপহরণের অভিযোগে শ্রমিক লীগ নেতা গ্রেপ্তার

স্ত্রীর বদলি নিয়ে ক্ষোভে বরগুনা সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অপহরণ করে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বরগুনা সদর উপজেলা শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম পলাশকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে তার বিরুদ্ধে বরগুনা সদর থানায় মামলা করেন সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান।
প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান বলেন, এখন শিক্ষা অফিসের সব কার্যক্রম অনলাইনে হয়ে থাকে। কিন্তু পলাশের স্ত্রী প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইশরাত জাহান সুরভির অনলাইনে বদলির আবেদনে ত্রুটি থাকায় তার বদলি হয়নি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বুধবার রাতে পলাশসহ তিনজন বাজার সড়কে আমাকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে জোরপূর্বক একটি ঘরের মধ্যে নিয়ে আটকে রেখে নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে পকেটে থাকা টাকা ছিনতাই করে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রাখে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনা কাউকে বললে আমার বসতঘর পুড়িয়ে দেওয়াসহ হত্যার হুমকি দিয়ে ওই রাতেই আমাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক জানতে পেরে থানায় মামলা করা হয়। আমি ও আমার পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।
এ ব্যাপারে বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মদ বলেন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগে পলাশ নামের একজনকে শুক্রবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এর আগে ওই ব্যক্তি আমার অফিসে এসেও জবরদস্তি করার চেষ্টা করেন। এখন আইন অনুযায়ী বিষয়টি সমাধান হবে।
এদিকে বরগুনা জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আব্বাস হোসেন মন্টু বলেন, পলাশ শ্রমিক লীগের কেউ নয়। তার সঙ্গে সংগঠনের কোনও সম্পর্ক নেই।
এসআইএইচ
