'বঙ্গবন্ধু বাঙালিকে শোষিত থেকে শাসক বানিয়েছেন'
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। আপনারা করুণার পাত্র নন। আপনারা হলেন সম্মানের পাত্র কারণ আপনারা জাতিকে সন্মানিত করেছেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে মুক্তিযোদ্ধারা দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করে এদেশকে স্বাধীন করে যে সফলতা এনেছেন। আপনারদের সেই সফলতার জন্য আজ মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আপনাদের কল্যাণের জন্য যে কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন, সেই সঙ্গে আপনাদের সন্তানদের জন্য সুযোগ সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন, নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন আজ দেশের মানুষ সে সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন।
শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, মুক্তিবাহিনীরা দেশ স্বাধীন করেছে এবং বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে বিশ্বের দরবারে মর্যদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বাঙালি ছিল শোষিত কোনোদিনও শাসক ছিল না। বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে শোষিত থেকে শাসক বানিয়েছেন। সেই থেকে বঙ্গবন্ধু বাঙালিকে শাসকে পরিণত করেন।
১৯৭৫ সালের কালো রাতে স্বাধীনতাবিরোধীরা যারা স্বাধীনতা চাইনি তারা সেই দিন বঙ্গবন্ধুসহ সপরিবারে হত্যা করে মুক্তিযুদ্ধে এদেশ থেকে স্বাধীনতার ইতিহাসকে ভুলন্ঠিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। তাদের সেই ষড়যন্ত্র সাময়িক কিছুদিনের জন্য সফল হলেও বাস্তবে সফল হয়নি। পরবর্তিতে জিয়াউর রহমান মিলিটারি কায়দায় ক্ষমতা দখল করে রাষ্ট্র পরিচালনায় হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে বিনা বিচারে নির্বিচারে হত্যা করেছে অথচ তিনিও ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা।
দীর্ঘ ২১ বছর রাষ্ট্র ক্ষমতায় থেকে এরশাদ, খালেদা জিয়া মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কোন কল্যানমূলক কাজ করেনি। দীর্ঘ ক্ষমতায় থেকেও কোন উপকার করতে পারেনি। পরবর্তিতে স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে দেশের দায়িত্বভার নিয়ে তিনি যে প্রতিজ্ঞা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী দেশ পরিচালনায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য। সর্বক্ষেত্রে তিনি সফলতা বয়ে এনেছেন। একের পর এক উন্নয়ন করে দেশকে রোল মডেলে পরিনত করেছেন।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী আরও বলেন, শেখ হাসিনা ১৬ কোটি মানুষের মুখ ভরে দিয়েছেন। শান্তি আর শক্তি মাথায় পড়িয়ে দিয়েছেন বিজয়ের মুকুট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কল্যানমুখী বাস্তবমুখী কর্মসূচী বাস্তবায়ন করে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ধন্য তাদেরকে করেছেন সন্মানিত।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জি,আর সারোয়ারের সভাপতিত্বে অনূষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম। সমাজসেবা কর্মকর্তা রওশন আলী মন্ডলের সঞ্চালনে অন্যাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ মোল্লা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন সরকার, ওসি মোক্তারুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রওজাতুন জান্নাত, জেলা পরিষদ সদস্য মনসুর আলী সরকার প্রমূখ।
এএজেড