সেচনালা সড়কের গাছ কেটে নিচ্ছে দুবৃত্তরা
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ডালিয়ায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্পের প্রধান খাল ও সেচনালার বাধকাম রাস্তার পাশ থেকে চুরি করে গাছ কাটা হচ্ছে। বন বিভাগের সহযোগিতায় ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে গাছগুলো লাগানো হয়। সম্প্রতি রাতের আধারে ৫ লক্ষাধিক টাকার ২০-৩০টি দুর্লভ প্রজাতির বড় বড় আকাশমণি,মেহগনি, কড়াইসহ রাস্তার ধারের সব তাজা গাছ কেটে নিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
সরজমিনে দেখা গেছে, ডালিয়া সিলট্রাপ থেকে সেচনালার বাঁধকাম রাস্তার ধারে রয়েছে দুই দশকের বহু মূল্যবান গাছ।গাছের সারিতে বেশ কিছু গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,বেশ কিছুদিন যাবত তিস্তা সেচনালা এলাকার অর্শধতাধিক বড় বড় গাছ কাটা হয়েছে।
বেশি কাটা হচ্ছে ডালিয়া সিলট্রাপ এলাকাসহ, নতুন বাজার, শেলমাড়ী, বাঘেরপুল এলাকায় সেচনালার রাস্তার ধারের আকাশমণি, মেহগনি, কড়ইসহ মূল্যবান গাছগুলো। রাতের আঁধারে চোরেরা এই গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে।এলাকাবাসী আরও জানান,ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিছু কর্মচারীর যোগসাজশে এই এলাকায় একটি গাছ চোর চক্র (সিন্ডিকেট) গড়ে উঠেছে। কয়েক মাস হলো এই চুরির পরিমাণ বেড়ে গেছে।
ডালিয়া পাউবো কর্তৃপক্ষকে তাঁরা বিভিন্ন সময় মৌখিকভাবে বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে তারা কোনো তৎপরতা দেখায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডালিয়া সিলট্রাপ এলাকার এক নারী জানান, রাতের আধারে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র গাছ কেটে নিয়ে যায়। গাছ কাটার পর তারা সেচনালার পানিতে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন এসব দেখেও না দেখার ভান করে।
শেলমারী এলাকার বাসিন্দারা জানান, এ এলাকায় কয়েকটা বড় গাছ ছিল। রাতের আধারে এসব গাছ কেটে নিয়ে গেছে প্রভাবশালী চক্র। স্থানীয়রা বাঁধা দিলে তারা বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেয়। তারা বলেন, যেভাবে গাছ চুরি হচ্ছে।এক একটি গাছের দাম নাহলেও ১০-১৫ হাজার টাকা মূল্যে হবে। যেভাবে গাছ কাটছে তাতে সেচনালার বাঁধকাম রাস্তাটি ভাঙ্গনের হুমকির মুখে।
এ বিষয়ে জানতে নীলফামারী বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মোনায়েমের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিয়েও সাড়া মেলেনি। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদদৌলা বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এএজেড