সুরভী লঞ্চে যাত্রী ও সাংবাদিক লাঞ্ছনা
ঘটনার তিন দিনেও নেই কোনো পদক্ষেপ
সুরভী-৯ লঞ্চে যাত্রী ও সাংবাদিক লাঞ্ছিতের ঘটনার তিন দিন হয়ে গেলেও দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ কর্তৃপক্ষ। লঞ্চের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে যাত্রী ও সাংবাদিক লাঞ্ছিনার সুস্পষ্ট প্রমাণ থাকার পরও পুলিশী তদন্তের নামে সময় ক্ষেপণের অভিযোগ উঠেছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাংবাদিকমহল ও সুশিল সমাজ।
এ ঘটনায় নির্যাতিত দুই সাংবাদিক ও বিআইডব্লিউটিএ-এর কর্তৃপক্ষ রবিবার (৯ জানুয়ারি) বিকালে কোতয়ালী মডেল থানায় পৃথক অভিযোগ দিলেও মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।
গতকাল সোমবার (১০ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের সমবেদনা জানিয়ে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সুরভী নেভিগেশন কর্তৃপক্ষ। ওই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত সুরভী নেভিগেশনের ম্যানেজার মিজানুর রহমানকে ইতিমধ্যে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। জড়িত অন্যান্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন তারা।
গত রবিবার (৯ জানুয়ারি) বরিশাল নদী বন্দরে ঢাকা থেকে আগত সুরভী-৯ লঞ্চ স্টাফদের হাতে যাত্রী লাঞ্ছিতের ভিডিওচিত্র ধারণ করতে গিয়ে ইনডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের ভিডিওগ্রাফার মৃদুল ইসলাম মোহন দেওয়ান ও চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ক্যামেরাপারসন রুহুল আমীন মারধরের শিকার হন।
যাত্রী ও সাংবাদিক নির্যাতনে অভিযুক্ত ওই লঞ্চটির সাইলেনসার পাইপ ত্রুটিমুক্ত না করা পর্যন্ত পরবর্তী যাত্রা বাতিল করেছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ।
লঞ্চের সিসি ক্যামেরায় সাংবাদিক নির্যাতনের স্পষ্ট ভিডিও থাকলেও পুলিশ তদন্তের নামে সময় ক্ষেপণ করছে। গড়িমসি করছে ব্যবস্থা নিতে। তবে তদন্ত চলমান আছে বলে দাবি কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মো. আজিম-উল কবির।
বরিশাল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন জানান, সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় আইনগত প্রতিকার পেতে লড়াই চালিয়ে যাবেন তারা।
এসও/টিটি