টেকনাফে পুলিশের উপর হামলায় আটক ৩
কক্সবাজারের টেকনাফে আসামি গ্রেপ্তার করতে গিয়ে পুলিশের এক সদস্য দূর্বৃত্তদের হামলায় আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে পরোয়ানাভূক্ত আসামি ও তার দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আর হামলার ঘটনায় পরোয়ানাভূক্ত আসামিসহ সাতজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, পরোয়ানাভূক্ত মো. সাকের মিয়া মানবপাচার ও মাদকপাচার মামলার আসামি এবং আত্মস্বীকৃত ও আত্মসমর্পণকারি ইয়াবা কারবারি।
টেকনাফ থানার ওসি মো. আব্দুল হালিম জানান, সোমবার ভোর রাতে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের মুন্ডারডেইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় আহত হয়েছেন, টেকনাফ থানার সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. সাখাখাওয়াত হোসেন।
আব্দুল হালিম বলেন, টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের মুন্ডারডেইল এলাকার বাসিন্দা মো. সাকের মিয়ার বিরুদ্ধে মানবপাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২০১২ সালে ঢাকার বিমানবন্দর থানায় মামলা দায়ের হয়। সে ওই মামলায় দীর্ঘদিন ধরে পলাতক রয়েছে। সোমবার ভোর রাতে সে বাড়ীতে অবস্থান করছে খবরে পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। এতে সাকের মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হলে ছিনিয়ে নিতে তার স্বজনরাসহ সংঘবদ্ধ দূর্বৃত্তরা পুলিশের উপর হামলা চালায়।
দূর্বৃত্তদের লাঠির আঘাতে পুলিশের এএসআই সাখাওয়াত হোসেন গুরুতর আহত হন। এতে তার ঠোট কেটে যাওয়ায় ৩ টি স্থানে সেলাই দিতে হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য ঘটনাস্থলে পৌঁছলে হামলাকারিরা পালিয়ে যায়। এসময় ধাওয়া দিয়ে পরোয়ানাভূক্ত আসামি সাকের মিয়া ও তার দুই সহোদরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আহত পুলিশ সদস্যকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
ওসি বলেন, গ্রেপ্তার আসামি সাকের মিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকার বিমানবন্দর থানা এবং টেকনাফ থানায় মানবপাচার, মাদকপাচার ও অস্ত্রসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৬ টির বেশী মামলা রয়েছে। এছাড়া সে আত্মস্বীকৃত ও আত্মসমর্পণকারি ইয়াবা কারবারি। গত ২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে অন্যদের সঙ্গে আত্মস্বীকৃত ইয়াবা কারবারি হিসেবে আত্মসমর্পণ করেছিল।
এদিকে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় সোমবার সকালে সাকের মিয়াকে প্রধান করে তার দুই ভাইসহ ৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান মো. আব্দুল হালিম।
এএজেড