বরগুনা থেকে ঢাকার লঞ্চ-বাস চলাচল বন্ধ

ঢাকায় শনিবার (১০ ডিসেম্বর) হতে যাওয়া সমাবেশ ঘিরে আতঙ্কে বরগুনা থেকে ঢাকার পথে লঞ্চ ও বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে করে ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ যাত্রীরা এবং পন্য পরিবহনের ক্ষেত্রে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে বরগুনার লঞ্চঘাট ও পৌর বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে এমনই চিত্র।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) থেকেই বরগুনা থেকে এই দুই পরিবহন ছাড়েনি। তবে ঢাকা থেকে এই দুই পরিবহন ছেড়ে এসেছে। বরগুনার পৌর শহরের ক্রোক এলাকার সাইদুর রহমান বলেন, জরুরী কাজে ঢাকায় যেতে হবে৷ কিন্তু আতংকে বাসে কাঙ্খিত যাত্রী না থাকায় বাস ছাড়ছে না। লঞ্চও বন্ধ। তাই বেশ ভোগান্তিতে পড়েছি।
বরগুনা ইটবাড়িয়া এলাকার আবু সাইদ বলেন, ঢাকায় আমার মেয়েকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে যাবো। কিন্তু ঢাকায় যে অবস্থা তাতে ভয়ে আছি। তারপরও ডাক্তারের কাছে সিরিয়াল দেয়া তাই যেতেই হবে। এদিকে বাস-লঞ্চ চলাচল না করায় বিপাকে পড়েছি।
বরগুনা শহরের কাচামাল ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, আমি ঢাকায় বিভিন্ন ধরনের কলা পাঠাবো। বিশ হাজার টাকার পাকা কলা মজুদ রাখা। কিন্তু লঞ্চ না ছাড়ায় তা পাঠাতে পারলাম না।
এমকে শিপিং লাইনসের বরগুনার ঘাটের পরিদর্শক এনায়েত হোসেন বলেন, ঢাকায় বরগুনা থেকে বৃহস্পতিবার থেকেই লঞ্চ ছাড়েনি। অল্প কয়েকজন যাত্রী এসেছিল। কাঙ্খিত যাত্রী না থাকায় তারাও টিকিট নিতে পারেনি। ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ ঘিরে উত্তেজনার কারণে যাত্রীরা আতঙ্কে ঢাকায় যাচ্ছেন না। এ কারণেই লঞ্চ চলাচল বন্ধ। তবে ঢাকা থেকে লঞ্চ ছেড়ে এসেছে।
বরগুনার পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শাহাবুদ্দিন সাবু বলেন, ঢাকায় চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বাস মালিকেরা গাড়ি ভাঙচুর ও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে বাস চলাচল সীমিত রয়েছে।
বরগুনা জেলা বিএনপির আহবায়ক মাহবুবুর আলম ফারুক মোল্লা বলেন, সমাবেশে যোগ দিতে আগেই নেতা-কর্মীরা ঢাকায় অবস্থান নিয়েছে। বরগুনা থেকে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার নেতা-কর্মী আগেই ঢাকায় জমায়েত হয়েছে।
এএজেড
