প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ!

খুলনার বটিয়াঘাটার ভাণ্ডারকোটের বি,এল জে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গুনসিন্ধু রায়ের বিরুদ্ধে বিদ্যালয় এর আয়া পদে চাকরি দেয়ার নামে চার লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী এ ব্যাপারে খুলনার সহকারী জজ আদালতে মামলা করেছেন। যার নং ৭৫৪/২২ তারিখ ২৫/১১/২০২২ মামলার নথি থেকে জানা যায়, জেসমিন বেগম ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির একজন সদস্য।
তার মেয়েকে বিদ্যালয়ের আয়া পদে নিয়োগ দেয়ার কথা বলে আট লক্ষ টাকার চুক্তি হয় প্রধান শিক্ষক গুনসিন্ধু রায়ের সঙ্গে। এরমধ্যে চারলক্ষ টাকা পরীক্ষার আগে প্রদান করতে হবে এবং বাকি চারলক্ষ পরীক্ষার পর দিতে হবে। জেসমিন বেগম জায়গা-জমি, গরু বিক্রি এবং স্বর্ণালংকার বন্ধক রেখে চারলক্ষ টাকা পরীক্ষার আগে প্রধান শিক্ষক গুনসিন্ধু রায়ের হাতে দেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক এর আগে থেকেই অন্য এক প্রার্থীর কাছ থেকে গোপনে ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে তাকেই আয়া পদে নিয়োগের ব্যবস্থা করেন।
মেয়ের চাকরি না হওয়ায় পরবর্তীতে জেসমিন বেগম প্রধান শিক্ষক গুনসিন্ধু রায়ের কাছে টাকা ফেরত চাইতে গেলে তিনি জেসমিন বেগমকে টাকা না দিয়ে প্রাণ নাশের হুমকি দেন। পুনঃরায় আরো একবার টাকা ফেরত চাইতে গেলে প্রধান শিক্ষক গুনসিন্ধু রায়সহ কয়েকজন মিলে জেসমিনের স্বামীসহ পরিবারের সদস্যদের জানমালের ক্ষতি এবং ওই বিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত ছেলেকে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দিবে বলে হুমকি দেন।
জেসমিন বেগম সাংবাদিকদের বলেন, আমার মেয়ে পরীক্ষায় যাতে পাস করতে পরে সেজন্য পরীক্ষার আগের রাতে প্রধান শিক্ষক গুনসিন্ধু রায় নিজেই প্রশ্নের উত্তর আমাকে লিখে দিয়েছিলেন।
জেসমিন বেগমের স্বামী মোহাব্বত মোল্লা জানান, আমার স্ত্রীকে নানাভাবে বুঝিয়ে জায়গা-জমি, গরু বিক্রি এবং স্বর্ণালংকার বন্ধক রেখে প্রধান শিক্ষক গুনসিন্ধু রায় আমার মেয়ের চাকরি দেয়ার নামে কৌশলে চার লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। মেয়ের চাকরি না হওয়ায় এখন তার কাছে টাকা চাইতে গেলে তিনি নানাভাবে হুমকি ও ভয়-ভীতি দেখান।
সরেজমিনে সাংবাদিকরা প্রধান শিক্ষক গুনসিন্ধু রায়ের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এ ব্যাপারে কোন কথা বলতে রাজি হননি। উপরন্ত স্কুলের একজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীকে দিয়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন।
এ ব্যাপারে বটিয়াঘাটা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নারায়ণ চন্দ্র মন্ডল জানান, আমরা এব্যাপারে আদালত থেকে একটি নোটিশ পেয়েছি। ওই প্রধান শিক্ষককে আমরা ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি পেয়েছি।
এএজেড
