সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ | ৭ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

সুনীল পর্যটন উন্নয়নে সমুদ্র ও ৭৫ দ্বীপ গুরুত্বপূর্ণ

সমুদ্র ও দেশের ৭১৫ কিলোমিটার লম্বা উপকূলের ছোট-বড় ৭৫টি দ্বীপকে কাজে লাগিয়ে সুনীল পর্যটন উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এজন্য দরকার সুষ্ঠু পরিকল্পনার। মঙ্গলবার (৬ডিসেম্বর) সকাল ১০টারদিকে কক্সবাজারে বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালায় বক্তারা এ তথ্য উপস্থাপন করেন। বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন, বেসরকারি বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: মোকাম্মেল হোসেন।

কর্মশালায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের ৭১৫ কিলোমিটার লম্বা উপকূল রেখাসহ উপকূল ও সমুদ্রে ছোট-বড় সব মিলিয়ে রয়েছে ৭৫টি দ্বীপ। গভীর সমুদ্রের জলজ প্রাণবৈচিত্র্য, প্রবাল বসতি, বালুময় সমুদ্রসৈকত, বালিয়াড়ি, নানা ধরনের দ্বীপ এবং সমুদ্র ভ্রমণ পর্যটনের উন্নয়ন ও বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

আমাদের দীর্ঘ উপকূল, বিশালাকৃতির নদীসমূহ এবং নদীর মোহনা, দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, নানা প্রজাতির মাছ ও পাখি, সমুদ্র তীরবর্তী ও দূরবর্তী অনেক দ্বীপ, উপকূলীয় মানুষের জীবনধারা, হাজার বছরের সংস্কৃতি, ঐতিহ্যবাহী রকেট স্টীমার সার্ভিস, নানা ধরণের সামুদ্রিক প্রাণী, সামুদ্রিক উদ্ভিদ ইত্যাদি নিয়ে। বাংলাদেশ সমুদ্র ভ্রমণ পর্যটনের অপার সম্ভাবনার দেশ।

বঙ্গোপসাগরে এক লক্ষ আঠারো হাজার আটশত তেরো বর্গ কিলোমিটার বিস্তৃত উপকূলীয় সমুদ্রসীমা ও বিস্তৃত জলরাশি আমানের সমুদ্র ও উপকূলীয় পর্যটনের সম্ভাবনাকে আরো বিস্তৃত করেছে। অধিকাংশ পর্যটকের প্রধান আকর্ষণ প্রমোদতরীতে সমুদ্রভ্রমণ, সমুদ্র ও উপকূলভিত্তিক পর্যটন ও বিনোদনমূলক কার্যক্রম।

ইউএনডব্লিউটিওর রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৯ এ বিশ্ব জিডিপি-তে সমুদ্রভ্রমণ পর্যটনের অবদান ৫% এবং বিশ্ব কর্মসংস্থানে অবদান ৬%-৭%। এটি উপকূলীয় লোকজনের জীবনমান উন্নয়ন, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, অধিবাসীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, পণ্য ও সেবা সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নতি, স্থানীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রচার, পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংরক্ষণ, জনগণের জীবিকার বিকল্প উপায় এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও পরিবেশ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

বক্তারা আরো বলা হয়, সুনীল পর্যটন হল একটি দীর্ঘমেয়াদী গবেষণা এবং উদ্ভাবন প্রকল্প যা সমুদ্রের আশেপাশে উপকূলীয় ও সামুদ্রিক পর্যটনের পরিবেশ ব্যবস্থাপনা, শাসন এবং পরিকল্পনার উপর দৃষ্টি নিবন্ধ করে। মুলত সুনীল পর্যটনের দুইটি অংশ সমুদ্রভিত্তিক পর্যটন এবং উপকূলভিত্তিক পর্যটন। সমুদ্রভিত্তিক পর্যটন বলতে সমুদ্র কেন্দ্রিক আনন্দ ভ্রমনের কার্যক্রমকেই বুঝায়।

সমুদ্রভিত্তিক কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে প্রমোদতরীতে সমুদ্রভ্রমণ, সমুদ্রে মৎস্য শিকার, নৌকা পরিসেবা, নৌকাচালনা, ওয়াটার স্কিইং, জেট স্কিইং, সাং সেইল বোর্ডিং, সি কায়াকিং, স্কুবা ডাইভিং, সমুদ্রে সাঁতার, তিমি, ডলফিন দেখা, দ্বীপ ভ্রমণ, ভাসমান রেস্টুরেন্ট, জলক্রীড়া ইত্যাদি। অন্যদিকে, উপকূলভিত্তিক পর্যটন হল যেখানে পর্যটকরা উপকূলীয় পরিবেশের প্রাকৃতিক সম্পদ এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে উপভোগ করে।

উপকূলভিত্তিক পর্যটনের মধ্যে রয়েছে, সাতার, সার্ফিং, সূর্যমান, বীচ কার্ণিভাল, বাঁচ খেলা, লাইভ কনসার্ট, মেরিন একুরিয়াম ও মেরিন মিউজিয়াম উপভোগ এবং অন্যান্য সমুদ্র সৈকতভিত্তিক পর্যটন ক্রিয়াকলাপ।

কর্মশালায় এক রিপোর্টে বলা হয়, সুনীল পর্যটন উন্নয়ন ও বিকাশে যে সকল বাঁধাসমূহ সনাক্ত করা হয়েছে তা হল, সুনীল পর্যটন উন্নয়ন আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের যে একটি উপায়, তা উপলব্ধির অভাব: সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়,বিভাগ, দপ্তর, সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের অভাব বেসরকারী উদ্যোগকে উৎসাহিত না করে বাধা সৃষ্টি করা: অবকাঠামোগত সুবিধা না থাকা এবং অনুমোদন পাওয়ার জন্য নানা দত্তর সংস্থায় যাতায়াত করা।

অন্যদিকে, সমুদ্রভ্রমণ পর্যটন উন্নয়ন ও বিকাশের জন্য সেবা সহজীকরণের বিষয়ে ট্যুরিজম বোর্ডের যেসব প্রস্তাবনা প্রদান করা হয়েছে তা হল, আন্তর্জাতিক সমুদ্রভ্রমণ প্রমোদতরীর জন্য অনলাইনে ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালু করা, কোন কর্তৃপক্ষ আবেদন খারিজ করলে সে বিষয়ে আপীল করার জন্য কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করা; সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়, বিভাগ, দপ্তর, সংস্থাসমূহ সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের মাধ্যমে নিয়মিত মনিটরিং করা।

এক্ষেত্রে সুনীল পর্যটন উন্নয়নের জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সমন্বিতভাবে কার্যক্রমের উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে।

কর্মশালায় বলা হয়, সুনীল পর্যটন উন্নয়নে সরকারী সংস্থার করনীয় সমূহ হল সমুদ্রবন্দরসমূহ আধুনিকায়ন, সমুদ্রবন্দরকর্মীদের পর্যটন বান্ধব করা, স্টেকহোল্ডারদের প্রশিক্ষণ, ভিসানীতি সহজ করা, ভিসা নীতিমালায় সমুদ্রবন্দর অন্তর্ভুক্ত করা, অন-অ্যারাইভাল ভিসা, অনবোর্ড ইমিগ্রেশন, পর্যটকবাহী জাহাজে অনবোর্ড কাস্টমস সুবিধা, সমুদ্রভ্রমণ প্রমোদতরী আগমনের পরিমাণ বৃদ্ধির বিষয়ে বেসরকারি ট্যুর অপারেটরদের উৎসাহিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে দ্রুত ও সহজে অনুমতি প্রাপ্তি, পর্যটকবাহী জাহাজের সহজ নোঙরের ব্যবস্থা করা, যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সমুদ্রভ্রমণ পর্যটনের প্রমোদতরীর জেটিসহ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বন্দর সুবিধা প্রদান, জাহাজের বর্জ্য নিরাপদে অপসারণের ব্যবস্থা করা।

সমন্বিত উপকূলীয় অঞ্চল ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা তৈরি করা। সমুদ্রভ্রমণ পর্যটন বিকাশের জন্য অভ্যন্তরীণ এবং আন্ত-আঞ্চলিক সমুদ্রভ্রমণ পর্যটন খাতকে অগ্রাধিকার প্রদান করা; সমুদ্রভ্রমণ পর্যটন বিকাশের জনা আধুনিক ক্রুজশিপ ক্রয়, প্যাকেজ ট্যুর চালু এবং বন্দর উন্নয়নে বেসরকারি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা, সমুদ্রভ্রমণ পর্যটনের অন্যতম আকর্ষণীয় ডেসটিনেশন হিসেবে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং ও প্রমোট করার জন্য সমন্বিতভাবে কাজ করা, সমুদ্র তীর ও উপকূলীয় অঞ্চল টেকসই করণে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় কর্তৃক যৌথভাবে কাজ করা, বিভিন্ন দ্বীপের মধ্যে সংক্ষিপ্ত ভ্রমণের (আইল্যান্ড হপিং) ব্যবস্থা করা, সমুদ্রভ্রমণ পর্যটনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তর/মন্ত্রণালয়/বিভাগের সাথে সমন্বয় করে ওয়ানস্টপ সার্ভিস প্রবর্তনের ব্যবস্থা গ্রহণ।

অন্যদিকে সুনীল পর্যটন উন্নয়নে ট্যুর অপারেটর, ট্যুর গাইড ও পর্যটকের সংস্থার করনীয় সমূহ হল জলজপ্রাণী দেখার জন্য সুরক্ষিত এলাকায় অনুপ্রবেশ পরিহার, সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের প্রজনন স্থান থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা, নৌকায় সহনীয় মাত্রার শব্দবিশিষ্ট প্রোপেলার ব্যবহার, কচ্ছপ তিমি হাঙ্গর ডলফিন এবং বিপন্ন প্রজাতির মাছের মতো সামুদ্রিক প্রাণীদের স্পর্শ করা থেকে বিরত রাখা। এ বিষয়ে সচেতন ও সংবেদনশীল করার জন্য পর্যটন পরিবহন কর্মী, ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইডকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা।

সুনীল পর্যটন বাস্তবায়নে বিনিয়োগে আকর্ষনের জন্য করনীয় সমূহ হল সমুদ্রভ্রমণ পর্যটনের ক্রুজশিপ ক্রয়, সমুদ্র সৈকতের নিকটবর্তী সামুদ্রিক মৎস ও প্রাণীর একোরিয়াম স্থাপন, দ্বীপ অথবা সমুদ্র সৈকতের নিকটবর্তী হোটেলগুলোকে ইকো-রিসোর্ট এ রূপান্তর, সুন্দরবন ভ্রমণে ব্যবহৃত ক্রুজশিপ আধুনিকায়ন, দ্বীপ অথবা সমুদ্র সৈকতের নিকটবর্তী অঞ্চলগুলোতে কমিউনিটি ট্যুরিজম ও হোম-স্টে চালুকরণ, সমুদ্রসৈকত কেন্দ্রিক বিভিন্ন বিনোদন এবং ক্রীড়া আয়োজন ইত্যাদি ক্ষেত্রে বেসরকারি উদ্যোক্তাগণকে সহায়তা ও প্রণোদনা প্রদান।

সমুদ্রভ্রমণ পর্যটন এবং ব্লু-ইকোনমি সংক্রান্ত দেশিয় ও আন্তর্জাতিক মেলা, সেমিনার, কর্মশালা আয়োজনে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের প্রণোদনা প্রদান ও সহায়তা করণ; সমুদ্রভ্রমণ পর্যটন বিষয়ে সরকারিভাবে গবেষণা পরিচালনা এবং অন্যান্যদের গবেষণা পরিচালনায় প্রণোদনা প্রদান; সমুদ্রভ্রমণ পর্যটন সংক্রান্ত উচ্চাশিক্ষা অর্জনে বৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা করা; সমুদ্রভ্রমণ পর্যটন সংক্রান্ত বিষয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশিপ করতে সহায়তা প্রদান।
এএজেড

Header Ad
Header Ad

বিয়ে না করেই পঞ্চাশে অন্তঃসত্ত্বা অভিনেত্রী, তোলপাড় নেটদুনিয়া

বলিউড অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেল। ছবি: সংগৃহীত

বলিউড অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেল আবারও উঠে এসেছেন আলোচনার কেন্দ্রে। তবে এবার কোনো সিনেমা বা গ্ল্যামার নিয়ে নয়, বরং ব্যক্তিগত জীবনের একটি রহস্যজনক ইঙ্গিত নিয়েই সরব নেটিজেনরা। ৪৯ বছর বয়সেও তার স্টাইল ও সৌন্দর্যে মোহিত ভক্তরা, কিন্তু সম্প্রতি দুবাইতে ছুটি কাটাতে গিয়ে পোস্ট করা একটি ছবিতে তাকে ঘিরে শুরু হয়েছে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার জল্পনা।

সবুজ মনোকিনিতে একটি ম্যাঙ্গো আইসক্রিম হাতে, খোলা চুল, চোখে সানগ্লাস আর মাথায় স্টাইলিশ টুপি পরে ক্যামেরার দিকে পোজ দিয়েছেন আমিশা। সাধারণত এমন ছবিতে ভক্তরা প্রশংসায় ভরিয়ে দেন কমেন্ট বক্স। তবে এবার নজর কাড়ে তার পেট। নেটিজেনদের একাংশ মনে করছেন, ছবিতে ‘বেবি বাম্প’ স্পষ্ট। আর সেখান থেকেই প্রশ্ন উঠছে— “তিনি কি অন্তঃসত্ত্বা?” কেউ লিখেছেন, “বিয়ের আগেই বেবি?” আবার কেউ লিখেছেন, “হে ভগবান, এটা কি সত্যি?”

 

বলিউড অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেল। ছবি: সংগৃহীত

এ নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি আমিশা। তবে এর আগে ১৯ বছরের ছোট নির্বাণ বিড়লার সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন চাউর হয়। একটি ছবি ঘিরে তখনো নেটদুনিয়ায় বেশ আলোচনা হয়েছিল, যেখানে নির্বাণকে ‘ডার্লিং’ বলে সম্বোধন করেন আমিশা, আর নির্বাণও তেমনি প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন।

বর্তমানে আমিশার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। এটি নিছক গুজব, আলো ছড়ানো একটি ছবি, না কি সত্যিই জীবনের নতুন অধ্যায়—তা সময়ই বলে দেবে। তবে একথা নিশ্চিত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনায় থাকতে অভিনেত্রী ভালোই জানেন কীভাবে দর্শকদের কৌতূহলী করে তুলতে হয়।

Header Ad
Header Ad

পারভেজের মৃত্যুতে গ্রামের বাড়িতে মাতম, পাগলপ্রায় মা-বাবা ও একমাত্র বোন

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বনানীতে ছুরিকাঘাতে নিহত প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ছাত্রদল কর্মী পারভেজের গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। ছেলে হারিয়ে পাগলপ্রায় মা-বাবা ও একমাত্র বোন। কাঁদছে স্বজন ও গ্রামের মানুষ।

তুচ্ছ ঘটনায় প্রকাশ্যে এমন নির্মম হত্যাকাণ্ডে হতবাক সবাই। ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি স্বজন ও এলাকাবাসির। রাত ৯টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে পারভেজের লাশ।

সন্তান হারানো শোকে আজোড়ে কাঁদছেন আর বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন মা পারভীন আক্তার। বাবা জসিম উদ্দিন যেন শোকে পাথর। এলাকার প্রিয়মুখ পারভেজের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে কাঁদছে গ্রামের মানুষ।

মৃত্যুর আগের রাতে মায়ের সাথে শেষ কথা হয় পারভেজের। শেষবারের মতো ভিডিও কলে দেখেন ছেলের মুখ।

ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে কুয়েত প্রবাসী বাবা জসিম উদ্দিন বাড়ি এসেছেন রোববার ভোরে। একমাত্র ছেলের এমন মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। সন্তান হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেছেন সাবেক ছাত্রদল নেতা বাবা জসিম উদ্দিন।

মা পারভীন আক্তার বলেন, 'যারা আমার ছেলেরে মারছে তাদের আমার সামনে আনো। আমি জিগাইতাম কেরে আমার ছেলের মারছে।'

বাবা জসিম উদ্দিন বলেন, 'আমার আর বাইচ্চা থাইক্যা কি অইবো। আমার ছেলেই তো নাই। হাত-পা ভাইঙ্গা রাখতো, সারাজীবন পালতাম, খালি বাবা ডাকটা শুনতাম। যারা আমার ছেলে মারছে তাদের প্রকাশ্যে ফাঁসি চাই।'

বাবা বিদেশে থাকায় নিজের গ্রামের বাড়িতে নতুন একতলা বাড়ি নির্মাণ করেছিলেন পারভেজ। কিন্তু সে বাড়িতে আর থাকা হলো না তার। ফিরেছে লাশ হয়ে। রোববার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে লাশ আসে গ্রামের বাড়ি ভালুকার বিরুনীয়া ইউনিয়নের গ্রামের বাড়িতে। লাশ আসার পর সৃষ্টি হয় হৃদয় বিধারক পরিবেশ। পাগল প্রায় মা-বাবা-বোনের আহাজারিতে কান্নার রোল পড়ে।

পারভেজের মৃত্যুর খবরে ভালুকার বিরুনীয়া ইউনিয়নের কাইচান গ্রামে ভিড় করেছেন এলাকার মানুষ। এলাকায় স্বজন, ও ভালো ছেলে হিসেবে পরিচিত পারভেজ ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে যুক্ত বলে জানান স্বজন ও এলাকার মানুষেরা। তাদের পুরো পরিবার বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত। ভিডিও ফুটেজে চিহ্নিত পারভেজের খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও ফাঁসি দাবি জানান স্থানীয়রা।

পারভেজের পিতার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা যুবদলের সহ প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম জানান, পারভেজের বাবা বিরুনীয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক নেতা। তাদের পুরো পরিবার বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। পারভেজ এলাকায় আসলে বিএনপি ও ছাত্রদলের কর্মসূচি ও মিছিলে সবসময় অগ্রভাগে থাকতো।

এদিকে ছাত্রদল কর্মী পারভেজ হত্যার প্রতিবাদ এবং জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে রোববার বিকেলে ভালুকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রদল ও স্থানীয়রা। এসময় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক আধা ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে বিক্ষোভকারীরা। এতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

উল্লেখ্য গত শনিবার বিকেলে রাজধানীর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিল পারভেজ। এ ঘটনায় আটজনের নামসহ অজ্ঞাত আসামি করে বনানি থানায় মামলা করেছে নিহতের মামাতো ভাই হুমায়ুন।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশের হয়ে খেলতে রাজি কিউবা মিচেল

বাংলাদেশের হয়ে খেলতে রাজি কিউবা মিচেল। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রবাসী ফুটবলারদের জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্তির ধারা আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। ইংল্যান্ডের ক্লাব সান্ডারল্যান্ডের বয়সভিত্তিক দলে খেলা ১৯ বছর বয়সী মাঝমাঠের খেলোয়াড় কিউবা মিচেল বাংলাদেশের হয়ে খেলতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি ইমরুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কিউবাকে গতকাল একটি ই-মেইল পাঠানো হয়েছিল। আজ বিকেলে সেই ই-মেইলের জবাবে তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশের হয়ে খেলতে তিনি আগ্রহী এবং পরবর্তী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য প্রস্তুত আছেন।

জন্মসূত্রে ইংল্যান্ডের হলেও কিউবার মা বাংলাদেশের এবং বাবা জ্যামাইকান। ইতোমধ্যে সান্ডারল্যান্ডের হয়ে ৮টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। তার ফুটবল যাত্রা শুরু হয়েছিল বার্মিংহাম সিটির যুব দলে।

এর আগে কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব কাভালরির ফুটবলার সামিত সোমও বাংলাদেশের হয়ে খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ইতোমধ্যে তার জন্মনিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে এবং পাসপোর্টের আবেদন প্রক্রিয়াধীন।

ডেনমার্কপ্রবাসী মিডফিল্ডার জামাল ভূঁইয়ার পথ ধরে প্রবাসী ফুটবলারদের বাংলাদেশ দলে খেলার এই ধারা নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। হামজা চৌধুরীর অভিষেকের পর থেকেই বিষয়টি ঘিরে ফুটবলপ্রেমীদের আগ্রহও বেড়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিয়ে না করেই পঞ্চাশে অন্তঃসত্ত্বা অভিনেত্রী, তোলপাড় নেটদুনিয়া
পারভেজের মৃত্যুতে গ্রামের বাড়িতে মাতম, পাগলপ্রায় মা-বাবা ও একমাত্র বোন
বাংলাদেশের হয়ে খেলতে রাজি কিউবা মিচেল
আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করলেন নুর
২০২৫ শেষ হওয়ার আগেই ৫০ সেঞ্চুরিতে দেশের প্রথম এনামুল হক
ভিসা বাতিল করায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ভারতীয় ও চীনা শিক্ষার্থীদের মামলা
একনেকে ২৪ হাজার কোটি টাকার ১৬ প্রকল্প অনুমোদন
বিগত ৩ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার চায় এনসিপি
এপ্রিলে ১৯ দিনেই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ২১ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল
দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়া নিয়ে বিএনপির অভিমত
ফাইয়াজের মামলায় আইন মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার নেই: আসিফ নজরুল
ভারতের উত্তরপ্রদেশে এক ছাত্রীকে ৭ দিন ধরে আটকে ২৩ জন মিলে ধর্ষণ!
বিরামপুরে পিকআপের ধাক্কায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যুবলীগ কর্মী মিঠু গ্রেফতার
ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে উত্তাল মুসলিম সমাজ, হায়দ্রাবাদে গণবিক্ষোভ
ফকিরাপুলে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ
আল-আকসা ভেঙে মন্দির স্থাপনের পরিকল্পনা ফাঁস, ফিলিস্তিনের সতর্কবার্তা
শেখ হাসিনা-কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ মিলেছে: চিফ প্রসিকিউটর
স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে ১৩৮ মিলিয়ন ডলার দেবে চীন : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই তিন রেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী