রাজশাহীমুখী বিএনপি নেতাকর্মীদের বহর
রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের আগে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন বাস মালিক সংগঠন। এতে সমাবেশে যোগ দিতে বিভিন্ন জেলা থেকে মোটর সাইকেলের বহর নিয়ে আসছেন যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা। শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বেশ কয়েকটি মোটর সাইকেলের বহর সমাবেশস্থলে প্রবেশ করে।
সকলে নওগাঁর মান্দা এলাকা থেকে মোটর সাইকেলের বহর নিয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা রাজশাহী আসে। এছাড়াও বগুড়া থেকে একটি বিশাল মোটর সাইকেলের বহর সন্ধ্যায় পৌঁছায়। প্রতিটি বহরেই প্রায় কয়েকশত মোটর সাইকেল দেখা গেছে। তবে তাদের দাবি, পথে পথে তল্লাশির নামে পুলিশের বাঁধা ও মাঝপথ থেকে বহরটিকে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল বন্ধ করাসহ ১০ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পরিবহন ধর্মঘট শুরু করেছে রাজশাহী বিভাগীয় পরিবহন মালিক সমিতি। শুক্রবার ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন।
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, শনিবার রাজশাহীর গণসমাবেশ বাঁধাগ্রস্ত করতেই ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। এখন নেতা-কর্মীদের স্রোত আটকাতে গাড়ি শূন্য মহাসড়কে তল্লাশি চৌকি বসিয়ে পথে পথে বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে পরিবহন নেতারা বলছেন, এটি তাদের ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবেই ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। এর সঙ্গে বিএনপির গণসমাবেশের সম্পর্ক নেই।
বগুড়া জেলা ছাত্রদল-যুবদলের নেতারা অভিযোগ করেন, আজ সকাল ১০ টায় বগুড়া থেকে মোটর সাইকেলের বহর নিয়ে তারা রওনা দেন। বগুড়া শহরের চারমাথা সেঞ্চুরি মোটেলের সামনে পুলিশ বহরটিকে আটকে দেয়। প্রথমে থামতে না চাইলে পুলিশ মারমুখী হয়ে কয়েকজন চালককে লাঠিপেটা করে। ভাঙচুর করে ছয়-সাতটি মোটরসাইকেল। শেষে কাগজপত্র তল্লাশির নামে ১৫-২০টি মোটর সাইকেলের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে মোটর সাইকেল। বাকি মোটর সাইকেল চারমাথা অতিক্রম করতে পারলেও পথে পথে পুলিশের তল্লাশি চৌকির মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের।
মোটর সাইকেল বহরে নেতৃত্ব দেয়া বগুড়া জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, বহরে প্রথমে ১ হাজার ৮০০ মোটর সাইকেল যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চারমাথায় জেলা পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ আগে থেকেই বহর আটকে দেওয়ার জন্য অবস্থান নেয়। নেতা-কর্মীরাও গ্রামীণ সড়ক দিয়ে বিকল্প পথে খণ্ড খণ্ড বহর নিয়ে রাজশাহী পৌঁছার কৌশল নিয়েছেন।
এএজেড
