মুড়ি-গুড় নিয়ে বিএনপির গণসমাবেশে নেতা-কর্মীরা

রাজশাহীতে বিএনপির গণসমাবেশ সফল করতে দু'দিন আগেই নওগাঁ থেকে রাজশাহী আসতে শুরু করেছেন হাজার হাজার নেতা-কর্মী। সঙ্গে খাবার হিসেবে নিয়েছেন মুড়ি ও গুড়। সমাবেশস্থলের আশপাশে খাবার সংকট হতে পারে এমন পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাদের এই চিন্তা। প্লাস্টিকের বস্তা ভর্তি করে মুড়ি নিয়ে এসেছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) রাত ৭টার দিকে রাজশাহী স্টেশনে বাংলাবান্ধা ট্রেন থেকে শত শত নেতা-কর্মীদের নামতে দেখা হয়।
এদের মধ্যে একজন ফজলে হুদা বাবুল, আরেকজন আব্দুর হাদি চৌধুরী টিপু। তারা জানান, বৃহস্পতিবার নওগাঁর বদলগাছি থেকে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী এসেছেন। খাবার হিসেবে নিয়ে এসেছেন মুড়ি ও গুড়।
কেন এসেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে ফজলে হুদা বাবুল বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্যাতনের হাত থেকে দেশবাসীকে মুক্তি করতে ঘর ছেড়ে রাজশাহীর জনসভায় এসেছি। এ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরব না। প্রয়োজনে না খেয়ে থেকে রাজশাহীর সমাবেশ সফল করব।
নওগাঁ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, পরিবহন ধর্মঘটের কারণে রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশের জনসভার দুদিন আগেই নওগাঁ থেকে যে যেভাবে পারছে রাজশাহী আসছে। এ পর্যন্ত নওগাঁ থেকে প্রায় দশ হাজার নেতা-কর্মী এসেছেন। আগামীকাল আরও ২০ থেকে ৩০ হাজার নেতা-কর্মী আসবেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে রাজশাহীতে শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে মাদ্রাসা মাঠে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
পরিবহন ধর্মঘটের কারণে রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশের ২ থেকে ৩ দিন আগেই আটটি জেলার বিএনপির হাজার হাজার নেতা-কর্মী সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেছেন। অনেকেই বাড়ি থেকে চিড়া, মুড়ি, গুড় নিয়ে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হয়েছেন। গতকাল মধ্যরাতে হাজারও নেতা-কর্মী খোলা আকাশের নিচে ঘুমিয়ে রাত্রিযাপন করেন। অনেকে চাদর, কাঁথা ও বিছানা নিয়ে রাত কাটান। এ ছাড়া স্থানীয় লোকজনের বাড়ির উঠান-বারান্দাতেও রাত কাটান সমাবেশে আগত নেতা-কর্মীরা। ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল ও কুমিল্লা বিভাগীয় সমাবেশেও একই চিত্র দেখা গেছে।
রাজশাহীর এই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ছাড়া দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেবেন।
জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, দলীয় কর্মসূচিতে গুলি করে নেতা-কর্মীদের হত্যার প্রতিবাদ এবং নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপক্ষে সরকারের দাবিতে বিভাগীয় (দলের সাংগঠনিক বিভাগ) পর্যায়ে সমাবেশ করছে বিএনপি। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর ও বরিশাল,কুমিল্লা বিভাগীয় সমাবেশ সম্পন্ন করেছে দলটি।
এরই অংশ হিসেবে ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে গণসমাবেশ করবে দলটি। সবশেষ ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
এসজি
