বলাৎকারের দায় স্বীকার করে আদালতে মাদ্রাসা শিক্ষকের জবানবন্দি

ফেনীতে ছাত্রকে বলাৎকারের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে মাদ্রাসা শিক্ষক মো. কাউছার (২৩)। রোববার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজষ্ট্রেট কামরুল ইসলামের আদালতে জবানবন্দি দেন তিনি। এর আগে গত শনিবার রাতে ওই মাদ্রাসা শিক্ষক মো. কাউছারকে পিবিআই গ্রেপ্তার করে। ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর থেকে তিনি (শিক্ষক) পলাতক ছিলেন।
শনিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে ফেনীর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশনের (পিবিআই)। রোববার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি শেষে শিক্ষক মো. কাউছারকে ফেনী জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ফেনীর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মো. মোনায়েম মিয়া জানায়, গত ৩০ ডিসেম্বর বিকেলে দাগনভূঞা উপজেলার কোরেশমুন্সী এলাকায় মাদ্রাসা শিক্ষক কাউছার ওই আবাসিক ছাত্রকে (১৫) বলাৎকার করেন। এ ঘটনাটি ওই ছাত্র তার পরিবারকে জানায়। তারপর ওই ছাত্রের পরিবার ঘটনাটি মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ জানিয়ে বিচার দাবি করেন। কিন্তু মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ কর্তৃপক্ষ কোন ধরনের বিচার বা প্রতিকার তো দূরের কথা উল্টো অপরাধী শিক্ষককে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন।
এঘটনায় ওই ছাত্রের মা বাদী হয়ে দাগনভূঞা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষক মো. কাউছার (২৩), অধ্যক্ষ আবদুস ছাত্তার (৪০), সহকারী শিক্ষক জাকিরুল ইসলাম (৩৯) ও আফতাব উদ্দিনকে (৪০) আসামি করা হয়। মামলা দায়েরের পর পুলিশ গত শুক্রবার অধ্যক্ষ আবদুস ছাত্তার, সহকারী শিক্ষক জাকিরুল ইসলাম ও শিক্ষক আফতাব উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হজাতে প্রেরণ করেন। তখন প্রধান আসামি মো. কাউছার পলাতক ছিলেন।
দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান ইমাম জানান, এ মামলার চারজন আসামির সবাই গ্রেপ্তার হয়েছেন। একজন আদালতে ১৬৪ ধারায় দায় স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করেছে।
