সোনাগাজীতে কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় যুবকের যাবজ্জীবন
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চর সোনাপুর এলাকায় বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় হানিফ ওরফে পলাশ নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছর সশ্রম কারাদেণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ ওসমান হায়দার এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার নথিপত্র থেকে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৪ জুলাই বিকালে ওই কিশোরী বাড়ির আঙিনায় ছোটদের সঙ্গে খেলছিল। এসময় ঘরে কেউ না থাকায় পলাশ তাকে ডেকে কৌশলে কিছু দেওয়ার ইশারা করে টেনে ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। কিশোরীর আর্তনাদ শুনে বাড়ির লোকজন এগিয়ে এলে পলাশ ঘরের পেছনের দরজা দিয়ে বের হয়ে পালিয়ে যান। পরে পলাশের স্ত্রী ও শাশুড়িসহ বাড়ির লোকজন দরজা খুলে কিশোরীকে উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করায়। এর আগেও পলাশ একইভাবে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেছেন। এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা আবদুল কুদ্দুস বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
আদালত সূত্র জানায়, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নুরুল করিম একই বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর পলাশকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন নেছা অভিযোগ গঠন করে বিচারকাজ শুরু করেন। মামলা চলাকালে আদালত ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এর আগে গ্রেপ্তার পলাশ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বাকপ্রতিবন্ধিদের কথা বোঝেন সমাজসেবা বিভাগের এমন একজন নারীর সহায়তায় ফেনী বিচারিক হাকিমের আদালতে তার ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছিল ভুক্তভোগীর।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদ আহম্মদ হাজারী জানান, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত হানিফ ওরফে পলাশকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এসএন