নোয়াখালীতে গৃহবধূ হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
নোয়াখালীর বেগমঞ্জে গৃহবধূ ফাতেমা পলিকে (৩৭) হত্যার দায়ে তার স্বামী মঈন উদ্দিনের (৪২) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত মঈন উদ্দিন বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রামের কাজী বাড়ির গোলাপ রহমানের ছেলে। বর্তমানে তিনি পলাতক।
রবিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে নোয়াখালী স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক এ এন এম মোর্শেদ খান রায় দেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, গৃহবধূ ফাতেমা পলি একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় কিছু বখাটেরা ধর্ষণ করার চেষ্টা করলে ভুক্তভোগী তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলা থেকে রেহাই পেতে কৌশলে মঈন উদ্দিন ভুক্তভোগী বিবি ফাতেমাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর মাত্র একদিন স্বামীর বাড়িতে ছিলেন। বাসা ভাড়া নেওয়ার কথা বলে ৩১ আগস্ট হত্যা করে ড্রেনে ফেলে রাখে। মেয়ে বাড়িতে না ফেরায় ফাতেমার বাবা ইব্রাহিম মিয়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। ২ নভেম্বর ইব্রাহিম মিয়া জানতে পারেন তার মেয়ের মরদেহ ভেসে উঠেছে। ঘটনার পরদিন ইব্রাহিম মিয়া বাদী হয়ে স্বামী মঈন উদ্দিনসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ মামলায় আজ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতের স্টেনোগ্রাফার চন্দন কুমার মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামি ১৬৪ ধারায় আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ায় আদালত শুনানি শেষে স্বামী মঈন উদ্দিনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ ছাড়াও বাকি আসামিদের খালাস দেওয়া হয়।
এসএন