সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১১ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

হাসপাতালের দুয়ারে নিজেই 'রোগী' অ্যাম্বুলেন্স!

জরুরী সেবায় রোগী আনা-নেয়ার জন্য সরকারি অ্যাম্বুলেন্স গুলো অকেজো হয়ে পড়ে আছে হাসপাতালের দুয়ারে নিজেই রোগী হয়ে। এমনকি বছরের পর পর বছর ধরে নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে ২টি অ্যাম্বুলেন্স খোলা আকাশের নিচে নষ্ট হচ্ছে অযত্ন-অবহেলায়। উপজেলার প্রায় দেড় লাখ মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন অ্যাম্বুলেন্স সেবা থেকে। অথচ একটু রক্ষণাবেক্ষণ করা গেলে একদিকে যেমন এসব অ্যাম্বুলেন্স অচল হওয়া থেকে রক্ষা পেত, অন্যদিকে রোগীরাও পেত জরুরি সেবা।

ধামইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট ৩টি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। এর মধ্যে ২টি প্রয়োজনীয় মেরামত বা রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা না করে ফেলে রাখা হয়েছে বছরের পর বছর। দিনে দিনে এগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে দুটি অ্যাম্বুলেন্সের বেশির ভাগ যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে গেছে।

সরজমিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, গ্যারেজ সংলগ্ন খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকা দুটি অ্যাম্বুলেন্সের দরজা-জানালা খসে পড়ছে। অ্যাম্বুলেন্সের ভিতরে যন্ত্রাংশের বেশিরভাগই লাপাত্তা। প্রায় ৬-৭বছর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্স দুটির গায়ে শ্যাওলাও জমতে শুরু করেছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ৫বছর আগে নতুন একটি অ্যাম্বুলেন্স পাওয়ার পর থেকে ২টি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে আছে। অথচ অনেক সময় রোগীর চাপ সামলাতে একজন চালককে ১২০ কিলোমিটার দূরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একাধিক বার রোগী নিয়ে যেতে হিমশিম খেতে হয়। অনেক সময় এ হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে নিতে হলে জটিল রোগী অ্যাম্বুলেন্স পান না। বেশি ভাড়া দিয়ে যেতে হয় রাজশাহীসহ অন্য হাসপাতালগুলোতে। কর্তৃপক্ষের তদারকি না থাকায় অ্যাম্বুলেন্সগুলো এভাবে খোলা আকাশের নিচে পড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালক মনোয়ার হোসেন বলেন, ৩টি অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে দুটিই অচল। আমি ছাড়া অ্যাম্বুলেন্সের কোনো ড্রাইভারও নাই। একা রোগী আনা-নেয়ায় খুবই অসুবিধা হয়।

তিনি আরও বলেন, এত বড় একটি উপজেলা হাসপাতালে মাত্র একটি অ্যাম্বুলেন্সে আমাকে একাই রোগি আনা-নেওয়া করতে হয়। যদি আরো একটি অ্যাম্বুলেন্স ও চালক থাকতো তাহলে অনেক সুবিধা হতো। রোগিরা সেবা পেত।

বিষয়টি নিয়ে কথা হলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা স্বপন কুমার বিশ্বাস বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে ২টি অ্যাম্বুলেন্স অকেজো হয়ে পড়ে আছে। সেগুলো মেরামত করে মনে আর ব্যবহার করা সম্বব নয়। তাই টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করে দিতে হবে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা আমাদেরকে জানালে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

তিনি আরো বলেন, এ হাসপাতালে মাত্র একটি অ্যাম্বুলেন্স ও একজন চালক আছে। আরো একটি অ্যাম্বুলেন্স ও চালক প্রয়োজন। এগুলোর চাহিদা জানানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুত এসব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজাহার আলী বলেন, বর্তমানে ২টি অ্যাম্বুলেন্স অকেজো হয়ে গেছে। সেগুলো অনেক পুরোনো। মনে আর মেরামত করে ব্যবহার করা সম্বব নয়। একটি অ্যাম্বুলেন্স সচল আছে। সেটাই ব্যবহার করা হয়। উপজেলার মাসিক মিটিংয়ে অ্যাম্বুলেন্স ও চালক নিয়োগের বিষয়ে আলোচনা করা হবে।

নওগাঁর ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ মো. মুনীর আলী আকন্দ বলেন, ধামইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মোট ৩টি অ্যাম্বুলেন্স। এর মধ্যে দুটি অকেজো হয়ে পড়ে আছে। বিষয়টি আমি সিভিল সার্জন স্যারকে অবহিত করবো। আর নতুন করে আরো একটি অ্যাম্বুলেন্স ও চালক নিয়োগ সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। তার পরও আমাদের পক্ষ থেকে যা যা করণীয় তা করা হবে।
এএজেড

Header Ad
Header Ad

মুসলিম গণহত্যা: ক্ষমা চাইলেন সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী

থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা। ছবি: সংগৃহীত

থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা মুসলিম বিক্ষোভকারীদের হত্যার জন্য প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন। ২০০৪ সালের অক্টোবর মাসে, থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে সেনাবাহিনীর ট্রাকে ঠাসাঠাসি করে নেওয়ার সময় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ৭৮ জন মুসলিম বিক্ষোভকারীর মৃত্যু ঘটে।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ক্ষমা চেয়ে থাকসিন বলেন, "আমি যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলাম, আমার লক্ষ্য ছিল স্থানীয় জনগণের কল্যাণে কাজ করা। যদি আমার কোনো ভুল বা অযথা অসন্তোষের সৃষ্টি হয়ে থাকে, তবে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।"

এই ঘটনা 'তাক বাই গণহত্যা' নামে পরিচিত এবং এর জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন প্রথমবারের মতো দুঃখ প্রকাশ করলেন। ২০০৪ সালের ২৫ অক্টোবর নারাথিওয়াত প্রদেশের তাক বাই শহরে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানো হয়, যার ফলে ৯ জন নিহত হয়। এরপর বিক্ষোভকারীদের হাতে বাধা দিয়ে সেনাবাহিনীর ট্রাকে ঠাসাঠাসি করে নেওয়া হয়, যার ফলে আরও ৭৮ জনের মৃত্যু হয়।

থাই মানবাধিকার সংস্থা "দুয়ে জাই" এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা আঞ্চনা হিম্মিনা এএফপিকে বলেছেন, এটি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে প্রথমবারের মতো ক্ষমা চাওয়া। তিনি আরও বলেন, যদি থাকসিন ক্ষমা চাওয়ার ব্যাপারে আন্তরিক হন, তাহলে তার উচিত এই হত্যাকাণ্ডের শিকার পরিবারের কাছে সরাসরি ক্ষমা চাওয়া।

Header Ad
Header Ad

কক্সবাজার বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা, নিহত যুবকের পরিচয় মিলেছে

কক্সবাজার বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলায় নিহত যুবক নাহিদ। ছবি: সংগৃহীত

বিমান বাহিনী ঘাঁটি কক্সবাজার সংলগ্ন সমিতি পাড়ার কিছু দুর্বৃত্ত বিমান বাহিনী ঘাঁটি কক্সবাজারের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় নিহত যুবকের পরিচয় মিলেছে।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিমান ঘাঁটি সংলগ্ন সমিতিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবকের নাম শিহাব কবির নাহিদ। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। নাহিদ কক্সবাজার পিটিআই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবসরপ্রাপ্ত সুপারিনটেনডেন্ট নাসির উদ্দীন ও কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আমেনা খাতুনের একমাত্র সন্তান।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে, বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

নিহত শিহাবের মা আমেনা খাতুন হাসপাতালে আহাজারি করছিলেন। সেখানে তিনি বলছিলেন, বিমান বাহিনী আমার ছেলের মাথায় গুলি করেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মুজাহিদুল ইসলাম জানান, বিমানবন্দর সম্প্রসারণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ বিষয়ে বৈঠকে অংশ নিতে এলাকাবাসীর কয়েকজন প্রতিনিধি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন।পথে বিমান বাহিনীর চেকপোস্টে তাদের বহনকারী ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা আটকে দেওয়া হয়। এ সময় অটোরিকশায় থাকা জাহেদকে জোর করে তুলে নেওয়া চেষ্টা করা হয়। খবর পেয়ে স্থানীয়রা বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালায়। একপর্যায়ে বিমান বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়।

সংঘর্ষের সময় বিমান বাহিনীর সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। এতে কয়েকজন অন্তত হন। স্থানীয়রা আহতদের হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

এর আগে সোমবার দুপুরে আইএসপিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, কক্সবাজার বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বিমানবাহিনী ঘাঁটি কক্সবাজার সংলগ্ন সমিতিপাড়ার কিছু দুর্বৃত্ত এ হামলা চালিয়েছে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পানিতে পড়ে প্রাণ গেল শিশুর

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পানিতে পড়ে শাহাদাৎ নামে ৪ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার অর্জুনা ইউনিয়নের বলরামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শাহাদাৎ একই গ্রামের জুয়েলের ছেলে।

পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, যমুনার দুর্গম চরাঞ্চল থেকে বলরামপুর এলাকায় জুয়েল মিয়া নতুন বাড়ি নির্মাণের কাজ করছে। বাড়ি করার জন্য বাড়ির পাশে ডোবা তৈরি করে মাটি উত্তোলন করেছিল। সেই ডোবায় সেচপাম্পের পানি জমে ভরাট হয়।

সোমবার সকালে শাহাদাৎ সেই ডোবার পানিতে পড়ে যায়। বিষয়টি পরিবারের কেউ জানতো না। একপর্যায়ে শাহাদাৎকে খুঁজে না পেয়ে ডোবায় খুঁজে পান। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক শাহাদাৎ কে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম জানান, পানিতে পড়ে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় কেউ জানায়নি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মুসলিম গণহত্যা: ক্ষমা চাইলেন সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী
কক্সবাজার বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা, নিহত যুবকের পরিচয় মিলেছে
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পানিতে পড়ে প্রাণ গেল শিশুর
ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের রাজনৈতিক রেষারেষি নিয়ে যা বললেন রিজভী
রমজানে সরকারি অফিস চলবে ৯টা থেকে সাড়ে ৩টা
দেশের স্বার্থে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত না করার আহ্বান মির্জা ফখরুলের
সাভারে কাপড়ের কারখানায় আগুন, পুড়ে ছাই কাপড় ও কার্টন
বিয়ের ছবি প্রকাশ করলেন মেহজাবীন চৌধুরী
রিলিফের আশায় অনেক বাংলাদেশি স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গা হচ্ছে: সিইসি
যেভাবে রমজানের প্রস্তুতি নিতেন বিশ্বনবী (স.)
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যে নির্দেশনা দিলেন সেনাপ্রধান
সাজেকে ৭ রিসোর্ট ও কটেজে আগুন, নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সেনাবাহিনী(ভিডিও)
১০৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম-পিপিএম পদক প্রত্যাহার
বাংলাদেশ থেকে আসা বিদ্বেষী বার্তায় অসন্তুষ্ট নয়াদিল্লি: জয়শঙ্কর
কক্সবাজারে বিমান বাহিনী ঘাঁটিতে দুর্বৃত্তদের হামলা, নিহত ১
আমাদের ব্যর্থতা আছে অস্বীকার করার উপায় নেই: আসিফ নজরুল
মিঠাপুকুরে ধর্ষকের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও কুশপুত্তলিকা দাহ
এবার মেহেদি হাসান ও বিপ্লব কুমার চাকরি থেকে বরখাস্ত
এমসি কলেজ শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় জামায়াত আমিরের দায় স্বীকার  
লালমনিরহাটে জামাত-শিবিরের কলেজ দখলের চেষ্টা