চুয়াডাঙ্গায় ডিজিটাল সেন্টারের এক যুগ পূর্তি উদযাপন
চুয়াডাঙ্গায় নানা আয়োজনে ডিজিটাল সেন্টারের এক যুগ পূর্তি অনুষ্ঠান হয়েছে। এ উপলক্ষে শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদিক্ষণ শেষে একই স্থানে এসে শেষ হয়। পরে, জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, ২০১০ সালে উদ্যোক্তাদের ডেকে ডেকে আনা হয়েছে। ওই সময় প্রথম দিকে উদ্যোক্তাদের আয়ও কম হতো। এখন প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হয়েছে। অনলাইনে সব কাজ সহজ হওয়ায় ডিজিটাল সেন্টারের আয় বেড়েছে। আমরা অনেক দেখেছি আউট সোর্সিং করে অনেকেই ভালো আয় করছে। অনেক ইউনিভার্সিটি ছাত্র আউট সোর্সিং করছে।
তিনি আরও বলেন, নতুন প্রযুক্তির সাথে আমাদের মানিয়ে নিতে হবে। ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তারা ভালো কাজ করলে ভালো আয় করবেন। কাজের পরিধি বাড়াতে হবে। সেবার মান ভালো হতে হবে। ভূমি সংক্রান্ত সব কাজ অটোমেশনে হচ্ছে। কাজগুলো ভালোভাবে জেনে করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, অনলাইনে কোনো কাজে যেন ভুল বানান দিবেন না। ভালো করে জেনে নিয়ে কাজ করবেন। ডিজিটালভাবে কম সময়ে মধ্যে সেবা দেয়া যায়। আবার অনেকেই ভুলের কারণে হয়রানি হচ্ছেন। এই ভুলগুলো করা যাবে।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আরাফাত রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসিবে বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাজিয়া আফরিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আরাফাত রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গরিব রুহানী মাসুম, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার প্যানেল মেয়র সুলতানা আঞ্জু রত্না।
চুয়াডাঙ্গা কালেক্টরেটের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্যোক্তাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, শংরচন্দ্র ইউপির উদ্যোক্তা আল হেলাল ও কুড়ালগাছি ইউপির উদ্যোক্তা ছালমা খাতুন।
এএজেড