মধ্যবয়সী যুবক হয়ে গেল ১১ দিনের শিশু সন্তান!
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার এক মধ্য বয়সী যুবককে ১১দিনের শিশু সন্তান বানিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। চাঞ্চল্যকর এঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ২ নম্বর বুধহাটা ইউনিয়ন পরিষদে। মূলত ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য সেবা কেন্দ্রে দায়িত্বরতদের দায়িত্বে গাফিলতি ও ভূল এন্ট্রির ফলে এমন ঘটনা ঘটেছে। ভূক্তভোগী ওই যুবকের নাম আজিজুল ইসলাম। তিনি ইউনিয়নটির নৈকাটি গ্রামের কামরুল ইসলামের ছেলে।
ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, মাস কয়েক আগে ডিজিটাল জন্মনিবন্ধন কার্ড সংগ্রহের জন্য বুধহাটা ইউনিয়ন পরিষদে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে আবেদন করেন আজিজুল ইসলাম। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৬ অক্টোবর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তার ডিজিটাল জন্মনিবন্ধন কার্ডটি প্রকাশ পাই। তবে ওই জন্মনিবন্ধনে ৩১বছর বয়সী আজিজুল ইসলামকে ১১দিনের শিশু সন্তান হিসেবে দেখানো হয়।
অথচ আবেদনের সাথে নিজের ডিজিটাল স্মার্ট কার্ডের (জাতীয় পরিচয়পত্র নং: ১৯১৫১৯৯৭২১) ফটোকপি সংযুক্ত করেন তিনি। সেখানে (স্মার্ট কার্ড) তার জন্মতারিখ ছিল ১০ মে ১৯৯১। তবে প্রকাশ পাওয়া ওই ডিজিটাল জন্মনিবন্ধন কার্ডে (জন্মনিবন্ধন নং: ২০২২৮৭১০৪৩৪১১৮১৯৭) আজিজুলের জন্মতারিখ দেখানো হয়েছে ১৬ অক্টোবর ২০২২।
আর ভূলে ভরা ওই জন্মনিবন্ধনটি যাচাই বাছাই না করেই স্বাক্ষর করেন ইউনিয়ন পরিষদের প্যাণেল চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক, সচিব অরবিন্দ সরকার ও সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য মমতাজ বেগম। এঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা রায়হান হোসেনসহ দায়িত্বরত ব্যক্তিরা তোপের মুখে পড়েছেন। প্রশ্ন উঠেছে তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য নিয়ে।
এবিষয়ে ভূক্তভোগী আজিজুল ইসলাম বলেন, নিজের প্রয়োজনে ডিজিটাল জন্মনিবন্ধন সংগ্রহের জন্য আবেদন করলেও তথ্য সেবা কেন্দ্রের দায়িত্বরত উদ্যোক্তা ও সংশ্লিষ্টদের অবহেলার কারণে ভূলে ভরা জন্মনিবন্ধন গ্রহন করতে হয়েছে তাকে।
এব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই পরিষদের এক ইউপি সদস্য বলেন, বুধহাটা ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম নিবন্ধন সংক্রান্ত বিষয়ে ইতিপূর্বে সুনাম থাকলেও বর্তমানে সংশ্লিষ্টদের অব্যবস্থাপনার কারণে সেই সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
জন্মনিবন্ধনের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজে অবহেলা করলে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মত বহিরাগত অসাধু প্রকৃতির মানুষ অতি সহজেই বুধহাটা ইউনিয়নের বাসিন্দা বনে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
এব্যাপারে পরিষদটির প্যাণেল চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হকের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এএজেড