সাপের দংশনে স্কুলছাত্রকে ঝাঁড়ফুক, অবশেষে মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার স্কুলছাত্র কারিমুল ইসলাম (১৬) কে বিষধর সাপে দংশন করে সোমবার দুপুরে। এরপর তাকে দুই দিন ধরে বাড়িতেই ঝাঁড়ফুক করে চিকিৎসা করতে থাকেন দাদা আব্দুল কাদের। অবস্থার অবনতি হলে আজ বুধবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কারিমুল ইসলামকে মৃত ঘোষনা করেন কতর্ব্যরত চিকিৎসক। কারিমুল ইসলাম দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃঞ্চপুর-মদনা ইউনিয়নের বারাদি গ্রামের কামারপাড়ার তরিকুল ইসলামের ছেলে। সে কামারপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
নিহত কারিমুলের মা কুলছুম বেগম বলেন, সোমবার দুপুরে বাড়ির কাছে একটি মাঠে খেলা করছিল ছেলে কারিমুল ইসলাম। এ সময় বিষধর সাপে তার পায়ে কামড় দেয়। এরপর আমার চাচা শ্বশুর আব্দুল কাদের আমার ছেলেকে সুস্থ করে দেবে বলে দুই দিন ধরে তার বাড়িতেই ঝাড়ফুক (চিকিৎসা) করতে থাকেন। ছেলের পায়ে ক্ষতস্থানসহ কিছু স্থানে ব্লেড দিয়ে কেটে বিষ বের করার চেষ্টা করেন তিনি।
আজ সকালে ছেলের শরীরের অবস্থা খারাপ হলে আব্দুল কাদের হাসপাতালে নেয়ার জন্য বলেন। আমরা সেখান থেকে আরেক কবিরাজের (ওঝাঁ) নিকট নিয়ে যায়। তিনিও সদর হাসপাতালে নিতে বলেন। বেলা আড়াইটার দিকে হাসপাতালে নিলে ছেলে মারা গেছে বলে ডাক্তার জানান।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সাদিয়া মা আরিজ বলেন, হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। পরিক্ষা-নিরিক্ষার পর কারিমুল ইসলামকে মৃত ঘোষনা করা হয়।
দর্শনা থানার ওসি লুৎফুল কবির বলেন, সাপের কামড়ে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে জেনেছি। নিহতের পরিবার অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এএজেড