শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৩ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মোবাইল ফোনে তৈরী তামিল সিনেমার অ্যাকশন দৃশ্য

তামিল সিনেমার আদলে অ্যাকশন দৃশ্যের ভিডিও তৈরি হয়েছে সাধারণ একটি মোবাইল ফোনের কারসাজিতে। বিস্ময়কর কাজটি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সুনামগঞ্জের হাওরপাড়ের একদল তরুণ। তাদের দাবি, বাজেট কোনও বড় বিষয় নয়, প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারে স্বল্প বাজেটে দেশে যেকোনো অ্যাকশন দৃশ্য ধারণ করা সম্ভব।

লেখাপড়ার পাশাপাশি অ্যাকশন দৃশ্যের ভিডিও বানিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া এলাকার এই তরুণরা। মাদক থেকে দূরে থাকতে ও সোশ্যাল মিডিয়ায় বা গেমস খেলে সময় নষ্ট না করে ভিন্ন কিছু করার পরিকল্পনা খেকেই এমন উদ্যোগ তাদের।

তামিল সিনেমা বাহুবলি: দ্য বিগেনিং, দ্য রিটার্ন অব রেবেল, কেজিএফ, ডিজেসহ আরও বেশ কিছু সিনেমা থেকে নেওয়া তাদের তৈরি অ্যাকশন দৃশ্যের ভিডিও নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে- সামান্য একটি স্মার্টফোন দিয়েই তামিল মুভির অ্যাকশন দৃশ্য অবিকল ধারণ করছে এই ক্ষুদে নির্মাতারা। দেখে মনে হতেই পারে দৃশ্যটি তামিল কিংবা ভারতের বিপুল বাজেটের অ্যাকশন ক্লিপ। সুনামগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চলের এই ক্ষুদে তরুণদের প্রতিভা দেখে হতবাক জেলাবাসী।

নেই কোনো ক্যামেরা বা পেশাদার ক্যামেরাম্যান। নিজেদের ব্যবহৃত সাধারণ একটি স্মার্টফোন, এর সঙ্গে ব্যবহার করা হয় ধুলা ও আটা, খেলনা অস্ত্র ‍এবং রক্তের জন্য আলতা। এসব দিয়েই তামিল সিনেমার আদলে অ্যাকশন দৃশ্য ধারণ, ভিডিও এডিটিংসহ সব কিছু মোবাইল ফোনে করা হয়।

শুটিংয়ের আকার ও প্রকারভেদে একটি ভিডিও তৈরি করতে সময় লাগে এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিন। সর্বশেষ ধারণকৃত অ্যাকশন দৃশ্যের সঙ্গে তামিল সিনেমার সাউন্ড ইফেক্ট জুড়ে দেওয়া হয়। এতে নিখুঁতভাবে ফুটে উঠে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ক্ষুদে নির্মাতাদের তৈরি অ্যাকশন দৃশ্য। আর এই শুটিংগুলো করা হয় আশপাশের এলাকায়।

হাওরপাড়ের এই অ্যাক্টরদের মনে প্রশ্ন, অন্যরা পারলে আমরা কেন পারব না? আর এ ইচ্ছা শক্তি নিয়ে আগে ফ্রিডম ফিলম সোসাইটি নামের একটি সংগঠন করা হয়। এরপর একটি ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজ খোলেন তারা। সেখানেই তাদের তৈরি অ্যাকশন ভিডিওগুলো আপলোড করা হয়। তাদের তৈরি ভিডিওগুলো দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে নেট দুনিয়ায়।

ওই ক্ষুদে নির্মাতাদের মধ্যে ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেছেন রকি আহমেদ শুভ। আর ভিডিও এডিটর ও ক্যামেরাম্যান হিসেবে কাজ করছেন মো. জাহিদ হাসান। এ ছাড়া তাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন সাজিব, জয় সরকার। তা ছাড়া অ্যাক্টর হিসেবে রয়েছেন ফারদিন, আরমান, শাহেদ, সবজল , ইমন , সাহাগির, মেহেদী , বাচ্চু , রাহুল, আকরাম। তাদের মধ্যে কেউ এসএসসি পাস করেছেন আবার কেউ নবম-দশম শ্রেণীর বা কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী।

অভিনেতা ফারদিন তালুকদার ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমরা পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে এই ভিডিওগুলো করি। আমাদের ভিডিওগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রকাশ করার পর খুব ভালো সাড়া পেয়েছি। তাই আমাদের এই কাজের প্রতি আগ্রহ আরও বেড়েছে।

ভিডিও এডিটর মো. জাহিদ হাসান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘আমরা সব কিছু মোবাইল দিয়ে করি। ভিডিও ধারণ, এডিটিংও মোবাইলে করি। এখ পর্যন্ত ল্যাপটপ বা কম্পিউটার ব্যবহার করছি না। এছাড়া আমরা সুনামগঞ্জের যে গ্রামে থাকি এটি খুবই দুর্গম এলাকা। আমরা চাইলেও ভালো একটা ভালো জায়গায় গিয়ে শুটিং করতে পারি না। তবুও আমরা আগামীতে ফিল্ম করার চেষ্টা করমু। আমাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন।’

ডিরেক্টর রকি আহমেদ শুভ ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘আমার অনুপ্রেরণা হচ্ছে তামিল সিনেমা, মুভিগুলো দেখে অনেক ভালো লাগত। আমার খুব মনে হতো আমরাও যদি এভাবে পারতাম।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি বলব আসলে বাজেট কোনও বিষয় না। যদি মনোবল আর বিশ্বাস থাকে যে এটা আমরা পারব, তাহলে অবশ্যই সম্ভব। তখন থেকে আমি তামিল মুভি দেখতাম আর অ্যাকশন দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করার চেষ্টা করতাম। আমরা খুবই চেষ্টা করি ভালো করার। আমাদের কাছে অনেক কিছুই নেই। অনেক প্রযুক্তির ব্যবহার করতে পারি না বলে কিছুটা সমস্যা হয়। তবে আমরা যদি সব ধরনের সরঞ্জাম পাই তাহলে আরও ভালো কিছু করতে পারব।’

এই তরুণ ক্ষুদে নির্মাতাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রথম অবস্থায় পরিবারের কোনো সাপোর্ট না পেলেও পরবর্তীতে তারা তাদের পরিবারকে বুঝাতে সক্ষম হন ভবিষ্যতে তারা ভালো কিছু করবেন। এখন মানুষ তাদের প্রশংসা করছে। তবে তাদের পরিবার চাইছে তারা আগে পড়াশোনা করুক, পাশাপাশি বাকি কাজ চালিয়ে যাক।

এলাকাবাসী জানায়, এমন প্রত্যন্ত এলাকা থেকে তাদের সমাজের কিছু প্রতিভাবান তরুণ যে কাজটি করেছে সেটা গর্বের। তারা সামনের দিকে এগিয়ে যাক এমনটাই প্রত্যাশা তাদের।

স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী সইদুর রহমান তালুকদার ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমাদের এই ভাটি অঞ্চলে অনেক গুণী শিল্পী ছিলেন। এক সময়ে যাত্রা পালা, গ্রাইম বাউল গানের আসর হইতো সবার বাড়িতে বাড়িতে। ছোট ছোট নাটক হতো, বহু অভিনেতা ছিলেন এই ভাটির শহরে। কিন্তু বর্তমানে আগের কিছুই নেই, সব হারিয়ে গেছে। এই সংস্কৃতি আবার ফিরিয়ে আনতে হলে এসব যুবকদের সহযোগিতা করতে হবে। আমার মনে হয় এই তরুণদের মাধ্যমে আমাদের ভাটি এলাকার নাম দাম সারাবাংলায় ছড়িয়ে পড়বে।

এদিকে ফাইটিং দেখে অনেকে মনে করতে পারেন এদের মাধ্যমে কিশোর গ্যাং তৈরি হতে পারে কিন্তু বাস্তবতা বলছে অন্য কথা। শিক্ষকসহ সচেতন মহল বলছেন, এটা শিল্প। এটা বিখ্যাত মরমী সাধক হাসন রাজার, বাউল আব্দুল করিমের দেশে এখানকার মানুষের সংস্কৃতির প্রেম। প্রশিক্ষণ আর প্রযুক্তির সহায়তা পেলে ভবিষ্যতে আরও ভালো কিছু করে দেখাতে পারবে তারা।

এসআইএইচ

Header Ad
Header Ad

দুর্নীতিবাজদের ফাইলগুলো পুড়ে গেছে : রুহুল কবির রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু হওয়ার পরই সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা রহস্যজনক। শুক্রবার রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে জাতীয়তাবাদী ৮৮ এসএসসি ব্যাচ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী অভিযোগ করেন, সচিবালয়ের মতো নিরাপদ সরকারি দপ্তরে আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফাইল। এর মধ্যে রয়েছে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত সাবেক কেবিনেট সচিবের ফাইল, যার ওপর তদন্ত চলছিল। তিনি প্রশ্ন করেন, “শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠজনদের ফাইল তলব করার পরপরই কেন এমন ঘটনা ঘটল? এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়, বরং পরিকল্পিত।”

তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার স্বৈরাচারের দোসরদের চিহ্নিত করে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। শেখ হাসিনার সহযোগীদের প্রশাসনে বসিয়ে গণতন্ত্র রক্ষার বিপ্লবকে ব্যর্থ করার চেষ্টা চলছে। যারা অতীতে গণতন্ত্র রক্ষায় আন্দোলন করেছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ তৈরি করার চেষ্টা হচ্ছে।

রিজভী বলেন, নির্বাচন গণতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনকে উপেক্ষা করে সংস্কারের কথা বলছে। তিনি অভিযোগ করেন, “এটি মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দিন আমলের ষড়যন্ত্রের মতো। জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচনই গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি। আনুপাতিক হারে নির্বাচন জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়, কারণ এটি জটিল এবং সরাসরি ভোটাধিকারের বিরোধী।”

রিজভী আরও বলেন, যারা গণতন্ত্রের জন্য জীবন দিয়েছে, তাদের অবদানের প্রতি সম্মান জানিয়ে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের রায়কে গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে সতর্ক করে বলেন, গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করতে হবে এবং কোনো ষড়যন্ত্রমূলক পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকতে হবে।

Header Ad
Header Ad

শনিবার যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না

ছবি: সংগৃহীত

সিলেট নগরীর ২৫ এলাকায় শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, জরুরি মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত এবং কিছু এলাকায় সকাল ৮টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হবে।

এ বিষয়ে সিলেট বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর প্রকৌশলী শামস-ই-আরেফিন বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১১ কেভি মুক্তিরচক ও ধোপাদিঘীরপাড় ফিডারের আওতাধীন এলাকাগুলোতে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এই এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে মেন্দিবাগ, নোয়াগাঁও সাদিপুর, বোরহানউদ্দীন রোড, কুশিঘাট, মীরেরচক, মুক্তিরচক, মুরাদপুর, পীরেরচক, উপশহর রোড, সোবহানীঘাট বিশ্বরোড, ডুবড়ী হাওর, সবজিবাজার, ফুলতলী মাদরাসা, হাফিজ কম্প্লেক্স, নাইওরপুল পয়েন্ট, ওসমানী শিশু পার্ক, ধোপাদিঘীরপাড় ও আশপাশের এলাকা।

অন্যদিকে, ১১ কেভি সোবহানিঘাট ও কালিঘাট ফিডারের আওতাধীন এলাকাগুলোতে সকাল ৮টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এই এলাকাগুলো হলো কাস্টঘর, চালিবন্দর, আমজাদ আলী রোড, মহাজনপট্টি, লালদিঘীরপাড়, হকার্স মার্কেট, বন্দরবাজার রোড, জেল রোড এবং আশপাশের অঞ্চল।

বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কাজ শেষ হলে নির্ধারিত সময়ের আগেই বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় চালু করা হবে। সাময়িক এ অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে বিভাগটি এবং গ্রাহকদের সহযোগিতা কামনা করেছে।

Header Ad
Header Ad

গুম অবস্থায় ভারতের কারাগারে যাওয়ার লোমহর্ষক বর্ণনা সুখরঞ্জন বালির

সুখরঞ্জন বালি। ছবি: সংগৃহীত

২০১২ সালের ৫ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য দিতে এসে নিখোঁজ হন পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানি উপজেলার উমেদপুর গ্রামের বাসিন্দা সুখরঞ্জন বালি।

দীর্ঘ পাঁচ বছর পর ভারত থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরে তিনি নিজের ওপর ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। তার এই অভিজ্ঞতা বাংলাদেশে গুম, নির্যাতন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের এক মর্মস্পর্শী উদাহরণ।

২০১২ সালের ৫ নভেম্বর সকালে ঢাকার আদালতে যাওয়ার সময় সুখরঞ্জন বালিকে অপহরণ করা হয়। তিনি জানান, সাদা পোশাকধারী ব্যক্তিরা তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে একটি অচেনা স্থানে নিয়ে যায়। চোখ বেঁধে তাকে অন্ধকার একটি ঘরে আটকে রাখা হয়। সেখানে তাকে মাঝে মাঝে খাবার দেওয়া হলেও কোনো আলো-বাতাস প্রবেশ করতে পারত না।

এরপর তাকে আরেকটি ঘরে নিয়ে যাওয়া হয় যেখানে জোরপূর্বক সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়। তিনি জানান, তাদের প্রস্তাবে রাজি না হলে তাকে শারীরিক নির্যাতন, বৈদ্যুতিক শক এবং ভয়াবহ মানসিক যন্ত্রণা দেওয়া হয়।

অপহরণের কয়েকদিন পর তাকে বিজিবি ও পুলিশের সহায়তায় ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়। বিএসএফ তাকে প্রচণ্ড মারধর করে এবং উত্তর চব্বিশ পরগণার স্বরূপনগর থানায় হস্তান্তর করে। সেখান থেকে তাকে বশিরহাট ও পরবর্তীতে দমদম কারাগারে পাঠানো হয়।

দমদম কারাগারে পাঁচ বছর কারাবাসের সময় বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা তার সাক্ষাৎকার নেয়। ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের আদেশে ২০১৮ সালে তিনি মুক্তি পান এবং দেশে ফিরে আসেন।

সুখরঞ্জন বালির অভিযোগ অনুযায়ী, বাংলাদেশ পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ তাকে অপহরণ করে এবং বিজিবি’র সহায়তায় বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে। তিনি বলেন, "বাংলাদেশের একজন নাগরিককে রাষ্ট্রীয় বাহিনী কিভাবে অন্য একটি দেশের বাহিনীর হাতে তুলে দেয়?"

বিএসএফের হাতে নির্যাতনের দাগ এখনো তার শরীরে দৃশ্যমান। তিনি জানান, দমদম কারাগারে থাকা অবস্থায় তার পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার সহায়তায় তার মুক্তির ব্যবস্থা করেন।

দেশে ফিরে আসার পর তিনি পিরোজপুরে নিজের গ্রামে ফিরে যেতে সাহস পাননি। নিরাপত্তার কারণে বাগেরহাটে আত্মীয়দের আশ্রয়ে দিন কাটিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, গুম এবং পাঁচ বছরের কারাবাসের কারণে তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে স্বাভাবিক জীবনযাপনে অক্ষম হয়েছেন।

২০১৮ সালে মুক্তির পর তিনি রাষ্ট্রের কাছে বিচার ও ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।

২০২৪ সালের আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত গুম-সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ১,৬৭৬টি গুমের অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলো অভিযোগে তৎকালীন সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশনার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক ভাষণে বলেন, "গুম কমিশনের প্রতিবেদন মানুষ মানুষের প্রতি কী পরিমাণ নৃশংস হতে পারে তার দলিল।" তিনি আরও বলেন, "গুমের শিকার ব্যক্তিদের ভয় আজও কাটেনি।"

 

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দুর্নীতিবাজদের ফাইলগুলো পুড়ে গেছে : রুহুল কবির রিজভী
শনিবার যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না
গুম অবস্থায় ভারতের কারাগারে যাওয়ার লোমহর্ষক বর্ণনা সুখরঞ্জন বালির
শেখ হাসিনাকে ‘নারী’ বলতে রাজি নন মৎস্য উপদেষ্টা
সূর্যের সবচেয়ে কাছে মানুষের তৈরি যান
বর্তমান সরকার রিজার্ভ বাড়িয়েছে, ব্যাংক সেক্টর সচল করছে: জামায়াত আমির
বাংলাদেশ জটিল রাজনৈতিক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে : মির্জা ফখরুল
সংবিধান সংস্কারে রাজনৈতিক দলের সংকল্প জরুরি: অধ্যাপক আলী রীয়াজ
চলতি বছরের বিজিবি-বিএসএফ বৈঠক হচ্ছে না
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে নিহত সবাই একই পরিবারের
ইউসুফ (আঃ)- এর সমাধিতে নিয়ে গেল ইসরায়েলি সেনারা
ইন্টারপোলের রেড নোটিশে ৬৩ বাংলাদেশি: অপরাধীদের ধরতে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজমীর বরখাস্তের আদেশ বাতিল
মাহফিলে আজহারী উঠবেন রাতে, দুপুরেই ভরে গেছে ময়দান
ইসরায়েলি হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন ডব্লিউএইচও প্রধান
থাইল্যান্ডে নিখোঁজ হওয়া বাংলাদেশিকে পাওয়া গেল থাই নারীর সঙ্গে হোটেলে  
হাসিনার দোসররা সচিবালয়ে পরিকল্পিতভাবে অগ্নিকাণ্ড করেছে: শাকিল উজ্জামান
ভারতে ইসকন মন্দিরে চিন্ময়ের আইনজীবীর বৈঠক
ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর নির্ধারিত হওয়া উচিত: ড. মুহাম্মদ ইউনূস  
নির্বাচনে অংশ নিতে খালেদা জিয়ার আইনগত কোনো বাধা নাই