সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১১ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

সম্প্রীতি বিপনী, ১০ টাকার ব্যাগ ভর্তি বাজার

পার্বত্য এলাকায় শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে খাগড়াছড়ি গুইমারা সেনা রিজিয়ন এবং বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ৬৫০টি পরিবারকে সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সকাল থেকেই গুইমারা সরকারি কলেজ মাঠে গুইমারা রিজিয়ন ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন এর যৌথ আয়োজনে স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে ৩০০ জন রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান, ৩০০টি পরিবারকে ১০ টাকার সুপারশপ হতে ব্যাগ ভর্তি বাজার (এক টাকায় চাল, দুই টাকায় ডাল এভাবে ১০ টাকার পণ্য ক্রয় করা যাবে যার বাজার মূল্য (৫০০-৬০০ টাকা) এবং ৫০ টি পরিবারকে সম্প্রতি বিপনীর মাধ্যমে সর্বমোট ৬৫০টি পরিবারের মাঝে মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

এ সময়, ভারত প্রত্যাগত শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স ৩৯ এর চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামাল মামুন, সাবেক খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের মেম্বার জামাল উদ্দিনসহ সামরিক-বেসামরিক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পাহাড়ে স্থিতিশীল শান্তি, স¤প্রীতি ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে ২৪ পদাতিক ডিভিশনের আওতাধীন গুইমারা রিজিয়ন বিভিন্ন আভিযানিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার পাশাপাশি, স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসমূহের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে বিভিন্ন ধরনের জনকল্যাণমূলক কর্মমূচী পালন করে আসছে।

তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সকাল থেকেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গুইমারা রিজিয়ন এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে খাগড়াছড়ির গুইমারাতে যাত্রা শুরু করলো সম্প্রীতি বিপণী। পাহাড়ে আনাচে কানাচে যুগযুগ ধরে বসবাসকারী প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর রয়েছে নিজস্ব সংস্কৃতি আর ঐতিহ্য। সম্প্রতি বিপণীতে দেখা মিলবে এসকল কুটির শিল্পের। চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কে গুইমারা চেকপোস্ট থেকে একটু আগালেই দেখা মিলবে অপরূপ কারুকার্যে সজ্জিত এই সম্প্রীতির বিপনীর।

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয় ইউরোপ আমেরিকায় বেড়াতে গিয়ে ডলার দিয়ে স্যুভেনির কিনে বসার ঘর সাজাই আমরা। আর দেশের জিনিস দেখলে সস্তা বাঁশ, সুতা বলে শ্রমের দামটাই দিতে চাই না। বিদ্যানন্দ তাই সারাদেশে ঘুরে কুঠির শিল্পগুলো বাঁচাতে চাচ্ছে, সংগ্রহ করে আনসে মানুষের কাছে। মানুষ যে দাম দিবে, সেটাই পৌঁছে যাবে শিল্পীর কাছে। সম্প্রতি বিপনীর দুইটি অংশ। সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য দাতব্য অংশ এবং সচ্ছল/টুরিস্টদের জন্য বাণিজ্যিক অংশ। তবে বাণিজ্যিক অংশ খুব ছোট পরিসরে হবে।

সেনাবাহিনী কিংবা সিভিল প্রশাসন কিংবা স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীর গাইডেন্সে বিভিন্ন অঞ্চলে দুঃস্থ জনসাধারণের মাঝে টোকেন/কার্ড দেয়া হবে। নির্ধারিত সে টোকেনে নির্দিষ্ট দিনে এসে রেশন পণ্য নিয়ে যেতে পারবে নাম মাত্র এক/দুই টাকা মূল্যে। রেশনের নির্দিষ্ট টোকেন থাকবে যা শুধুমাত্র নিঃসন্তান বিধবা, অসহায় বৃদ্ধ (যাদের সন্তন দেখে না)। তারা নির্দিষ্ট তারিখে এসে রেশন নিয়ে যাবেন।

এ সেবাটি মূলত দূর্গম এলাকার মানুষের জন্য। এক্ষেত্রে সম্প্রীতি বিপনী তাঁদের পরিবহন খরচও বহন করবে। বাণিজ্যিক অংশের কুটির শিল্পের পণ্য গুইমারার সম্প্রীতি বিপনীর পাশাপাশি পাওয়া যাবে ভ্রাম্যমাণ গাড়ি থেকে। এই গাড়িটি পণ্য নিয়ে ছুটির দিনে থাকবে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন পর্যটন স্পটে। বিক্রয়কৃত পণ্যের অংশ থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ চ্যারিটি অংশে খরচ করা হবে।

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর তৈরীকৃত কুটিরশিল্প পণ্যের পাশাপাশি থাকবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের অসহায় নারী যেমন পাহাড় ও রোহিঙ্গা শরণার্থী নারীদের কর্তৃক তৈরীকৃত পণ্য। এ ছাড়া গুইমারা রিজিয়ন ও বিদ্যানন্দের বিভিন্ন প্রজেক্টের উৎপাদিত পণ্য থাকবে সম্প্রীতি বিপণীতে। গুইমারা রিজিয়নে নিয়োজিত সেনাবাহীনী, বিজিবি, আনসার, পুলিশসহ সকল নিরাপত্তা বাহিনী শান্তি-সম্প্রীতি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে নিরলসভাবে প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
এএজেড

Header Ad
Header Ad

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যে নির্দেশনা দিলেন সেনাপ্রধান

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব না নেয়া পর্যন্ত দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় ধৈর্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে সেনা সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সাভার ক্যান্টনমেন্টে ফায়ারিং প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

সেনাপ্রধান বলেন, আমরা ভাবছিলাম যে দ্রুত কাজ শেষ করে ক্যান্টনমেন্টে ফিরে যাব, কিন্তু কাজটা দীর্ঘদিন ধরে করে যেতে হচ্ছে। কাজ যেহেতু বহুদিন ধরে করে যেতে হচ্ছে তাই আমাদের ধৈর্য রাখতে হবে এবং পেশাদারিত্বের সাথে দেশ ও জাতির জন্য আমাদের কাজ করে যেতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা দেশে যতদিন না একটা নির্বাচিত সরকার পাই, ততদিন শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় আমাদের কাজ করে যেতে হবে। দায়িত্ব পালনের সময় উশৃংখল কাজ করা যাবে না, এটা আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।

কাজ করতে গিয়ে বল প্রয়োগ করা যাবে না উল্লেখ করে ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, যতটুকু না করলেই না হয় সেটুকু বল প্রয়োগ করে কাজ করতে হবে।

এসময় সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান আরও বলেন, একজন সেনা সদস্যের পেশাগত উৎকর্ষ অর্জনে ফায়ারিংয়ের দক্ষতা অত্যন্ত জরুরি। এটা মৌলিক প্রশিক্ষণের অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রতিবছর এই প্রতিযোগিতা সেনা সদস্যদের কাঙ্ক্ষিত মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

এর আগে সেনাপ্রধান ফায়ারিং প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ ৩ ফায়ারারকে সেনাবাহিনীর শ্রেষ্ঠ ফায়ারিং পুরস্কার প্রদান করেন। প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় ৩৩ পদাতিক ডিভিশন আর অরানার্সআপ হয়েছে ৭ পদাতিক ডিভিশন।

অনুষ্ঠানে, ৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মঈন খানসহ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পুরস্কার বিতরণ শেষে সেনা সদস্যদের উৎসাহ দিতে সেনাপ্রধান নিজেও ফায়ারিংয়ে অংশ নেন। এসময় নির্দিষ্ট টার্গেট করে কয়েক রাউন্ড ফায়ার করেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

সাজেকে ৭ রিসোর্ট ও কটেজে আগুন, নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সেনাবাহিনী(ভিডিও)

সাজেকে ৭ রিসোর্ট ও কটেজে আগুন। ছবি: সংগৃহীত

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার পর্যটন কেন্দ্র সাজেক ভ্যালিতে ৭টি রিসোর্টে ভয়াবহ আগুন লেগেছে। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে অবকাশ রিসোর্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানা যায়। মুহূর্তেই আগুন আশপাশের রিসোর্টে ছড়িয়ে পড়ে।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আকতার আগুনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুপুরের দিকে সাজেকের একটি রিসোর্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে সেনাবাহিনী ও স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। সাজেকে ফায়ার সার্ভিসের কোনো ইউনিট না থাকায় খাগড়াছড়ির দীঘিনালা থেকে ফায়ার সার্ভিস রওনা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

১০৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম-পিপিএম পদক প্রত্যাহার

১০৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম-পিপিএম পদক প্রত্যাহার। ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনসহ ১০৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম ও পিপিএম পদক প্রত্যাহার করা হয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের দায়িত্বে ছিলেন এই ১০৩ পুলিশ কর্মকর্তা।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব তৌসিফ আহমেদ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বিতর্কিত ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত নিম্নবর্ণিত ১০৩ জন কর্মকর্তার অনুকূলে প্রদানকৃত বাংলাদেশ পুলিশ পদক-২০১৮ এর বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)/বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম-সেবা)/রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)/রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম-সেবা) নির্দেশক্রমে প্রত্যাহার করা হলো।

পদক প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ কর্মকর্তাদের নামের তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যে নির্দেশনা দিলেন সেনাপ্রধান
সাজেকে ৭ রিসোর্ট ও কটেজে আগুন, নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সেনাবাহিনী(ভিডিও)
১০৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম-পিপিএম পদক প্রত্যাহার
বাংলাদেশ থেকে আসা বিদ্বেষী বার্তায় অসন্তুষ্ট নয়াদিল্লি: জয়শঙ্কর
কক্সবাজারে বিমান বাহিনী ঘাঁটিতে দুর্বৃত্তদের হামলা, নিহত ১
আমাদের ব্যর্থতা আছে অস্বীকার করার উপায় নেই: আসিফ নজরুল
মিঠাপুকুরে ধর্ষকের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও কুশপুত্তলিকা দাহ
এবার মেহেদি হাসান ও বিপ্লব কুমার চাকরি থেকে বরখাস্ত
এমসি কলেজ শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় জামায়াত আমিরের দায় স্বীকার  
লালমনিরহাটে জামাত-শিবিরের কলেজ দখলের চেষ্টা
গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার  
এলিফ্যান্ট রোডের একটি বাসা থেকে ঢাবি ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
চ্যানেল ‘চ্যানেল ওয়ান’ সম্প্রচারে বাধা নেই  
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভাঙার অভিযোগ  
‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে নিউজল্যান্ডের বিপক্ষে আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশ
আ:লীগ পাচার হওয়া অর্থ দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা  
বনশ্রীতে ব্যবসায়ীকে গুলি করে ২০০ ভরি সোনা ছিনতাই    
চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রশিবিরের হামলা
সেমিফাইনালের পথে ভারত, কোহলির সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের হার
নাহিদের পদত্যাগ নিয়ে যা জানা গেল