শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | ৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

খুলনায় ওএমএসের চাল-আটা পাচারে জড়িত কারা

গরিব ও দুস্থ মানুষের জন্য ওএমএসের মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে চাল বিক্রির ব্যবস্থা করে সরকার। সেই চাল বিক্রি না করে অসাধু ব্যবসায়ীরা কালোবাজারে চাল বিক্রি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) থেকে র‌্যাব খুলনা মহানগরীর বার্মাশীল রোডে কয়েকটি গোডাউন গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখে। তারই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব সেখানে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১৪ হাজার কেজি চাল উদ্ধার করে।

এ সময় গোডাউন মালিক নাদিম আহমেদ ও তার কর্মচারী রবিউল ইসলামকে আটক করা হয়। র‌্যাব জানায়, কিছু সংখ্যক ডিলার দরিদ্রদের কাছে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি না করে সেই চাল কালোবাজারে বেশি দামে বিক্রি করে দেন। নাদিম আহমেদ অসাধু ডিলারদের কাছ থেকে চাল কিনে তা বিভিন্ন বাজার ও দোকানে বিক্রি করতেন।

র‌্যাব জানায়, আটক হওয়া ওই দুই ব্যক্তি ৮ জন ডিলারের নাম বলেছে। এ ছাড়া খাদ্য বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী এ কাজে সহযোগিতা করে বলেও উল্লেখ করেছে।

র‌্যাবের অনুসন্ধানে জানা গেছে, নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে ন্যায্যমূল্যে চাল ও আটা বিক্রি না করে অধিক দামে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে গোপনে বিক্রি করছেন বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ডিলার। খুলনার বড় বাজারের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী এসব চাল কিনছে বলে অভিযোগ রয়েছে। যাদের মধ্যে রয়েছে কাজী অ্যান্ড সন্স, পলি এন্টারপ্রাইজ,কাশফিয়া এন্টারপ্রাইজ,রাবেয়া এন্টারপ্রাইজ, আশরাফ ভাণ্ডার, উজ্জ্বল ব্রিডার্স, বিসমিল্লাহ স্ট্রোর ও উজ্জ্বল ট্রেডার্স। এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকরা ডিলারদের কাছ থেকে কম দামে চাল কিনে বস্তা পরিবর্তন করে বেশি দামে অন্য দোকানে বিক্রি করে। এদের গোডাউন বার্মাশিল রোড, কালীবাড়ি এলাকায় ও কোহিনুর গলিতে অবস্থিত।

র‌্যাব আরও জানায়, মোটা চাল নুরজাহান মার্কা বস্তায় এবং চিকুন চাল প্লাস্টিকের জোড়া কবুতর মার্কা বস্তায় ভরে বিক্রি হচ্ছে। আটা মিল মালিকরা কিনে তাদের নিজস্ব বস্তায় ভরে বিক্রি করেন। খোলা বাজারে বিক্রির (ওএমএস) চাল ও আটা ব্যাপক লুটপাট করছেন ডিলার ও খাদ্য কর্মকর্তারা। যারা মনিটরিং করার দায়িত্বে, তাদের যোগসাজশেই বস্তা বদল করে রাতারাতি সরকারি কম মূল্যে বিক্রির এই খাদ্যপণ্য চলে যাচ্ছে আড়তদারের ঘরে। মাঝখানে সংশ্লিষ্ট খাদ্য কর্মকর্তাদের সিন্ডিকেট ও মধ্যস্বত্বভোগীদের পকেটে ঢুকছে লাখ লাখ টাকার কমিশন। এভাবে গরিবের চাল লুটপাটের ভয়াবহ ঘটনা ঘটছে খুলনায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী জানান, কোটি কোটি টাকার ভর্তুকি দিয়ে সরকার যে ওএমএস চালু রেখেছে তার সুফল গরিব মানুষ না পেলেও পেয়ে যাচ্ছে ওএমএসের ডিলারেরা। ওএমএস চালের এই দুর্নীতি এখন ওপেন সিক্রেট। প্রশাসনের সবাই জানে অথচ কেউ ধরা পড়ে না। কারো লাইসেন্স বাতিল হয় না, কেউ শাস্তিও পায় না। এটা একটা আজব ব্যাপার।

অভিযোগ রয়েছে, খুলনার নতুন বাজারে এক ডিলার রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। অথচ এই ওএমএস ছাড়া তার আর কিছুই ব্যবসা-বাণিজ্য নেই। সরকারি চাল ও আটার লাইসেন্স থাকলে এত টাকার মালিক হওয়া যায় তা এসব ডিলার দেখলেই বোঝা যায়। অনেক ডিলার তো আটার বস্তা গোডাউন থেকেই পাইকারি বাজারে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করে দেন। অধিকাংশ ডিলার সরকার দলীয় লোক হওয়ায় সাধারণ মানুষ কোনো প্রতিবাদ করে না।

সচেতন মহল বলছেন, এভাবে ওএমএসের চাল চোরাই পথে বাজারে চলে আসার কারণে সরকার বাজারদর নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে চোরাকারবারিদের হাত ঘুরে আসা খোলাবাজারের চাল সাধারণ মানুষকে উচ্চ মূল্যে কিনতে হচ্ছে। সঙ্গত কারণে ওএমএস কর্মসূচি কার্যত কাজে আসছে না।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা যায়, খুলনা মহাগরীতে ৯২ জন ডিলারের মাধ্যমে চাল বিক্রি করা হয়। প্রতিদিন ৩৭ জন ডিলার চাল তুলতে পারেন। এর মধ্যে ১৩টি ট্রাকে বিক্রি করা হয় এবং বাকিগুলো দোকানে বিক্রি করা হয়।

সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) খুলনার সাবেক সভাপতি অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, অতি দরিদ্র মানুষের কষ্ট লাঘবে সরকার ওএমএসের মাধ্যমে চাল-আটা বিক্রির কর্মসূচি নিয়েছে। উদ্দেশ্য অতি মহৎ হলেও অতি দরিদ্র লোকজন তা থেকে খুব বেশি উপকৃত হতে পারছে না। কিছু নিম্ন রুচির অতি লোভী মানুষের কারসাজিতে সেই চাল ঠিকমতো দরিদ্রদের হাতে পৌঁছে না। ডিলাররা চাল তুলে কালোবাজারে বিক্রি করে। যারা অতি দরিদ্রদের চাল ও আটা এভাবে আত্মসাৎ করে তারা অতি ঘৃণ্য অপরাধী। তাদের কঠোর শাস্তি না হলে আত্মসাৎ বন্ধ হবে না, সরকারের কোনো কর্মসূচিও লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে না। ব্যক্তিগত স্বার্থে সরকারি সম্পদের অপব্যবহার করার দায়ে ডিলারশিপ বাতিল করা হোক। একই সঙ্গে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।

র‌্যাব-৬ খুলনার সিনিয়র এএসপি পহন চাকমা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন গোয়েন্দা নজরদারি চালিয়ে আসছিলাম। আমাদের কাছে তথ্য ছিল চোরাকারবারিরা নিয়মিত গরিবের জন্য বরাদ্দ দেওয়া সরকারি চাল বাইরের ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে আসছিল। এর ভিত্তিতে আমরা গত মঙ্গলবার অভিযান চালাই বড় বাজারে। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ চাল জব্দ করা হয়।

তিনি বলেন, আমরা তদন্তের স্বার্থে এখনই কারা এ চোরাকারবারের সঙ্গে জড়িত তা বলতে পারছি না। তবে আটক হওয়া ওই দুই ব্যবসায়ী ৮ জন ডিলারের নাম বলেছে। এ ছাড়া খাদ্য বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী এ কাজে সহযোগিতা করে বলেও উল্লেখ করেছে। এখন তাদের দেওয়া নামগুলো নিয়ে যাচাই-বাছাই করছি।

এ বিষয়ে খুলনা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. বাবুল হোসেন বলেন, আমরা পত্রিকার মাধ্যমে ওএমএসের চাল উদ্ধারের বিষয়টি জানতে পেরেছি। সেটির তদন্তে জেলা সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক শেখ মো. জাহিদুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি কোনো প্রতিবেদন না দিলে আমরা কিছুই বলতে পারছি না।

তদন্ত কমিটির প্রধান শেখ মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, চাল উদ্ধারের দিন খবর পেয়ে আমি থানায় যাই। সেটি ওএমএসের চাল কিনা জানি না। তবে বস্তাগুলো ছিল খাদ্য বিভাগের। আমি চাল দেখিনি। তদন্তের বিষয়ে তিনি বলেন, এখনো কোনো চিঠি পাইনি। দায়িত্ব এলে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেব।

এসএন

Header Ad
Header Ad

দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা

পুলিশ কনস্টেবল শামীম হোসেন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্টে ইমিগ্রেশন বিভাগে কর্মরত পুলিশ কনস্টবল শামীম হোসেন (৩০) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে সহকর্মীরা শয়নকক্ষের জানালা দিয়ে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।

নিহত শামীম কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ঝুটিয়াডাঙ্গা গ্রামের হাশেম আলীর ছেলে। তার কনস্টবল নং ৫৩২।

চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ এসআই রমজান আলী জানান, শামীম হত অক্টোবরে দর্শনা ইমিগ্রেশনে যোগদান করে। যোগদানের পর থেকেই গত ৬ মাস ধরে নতুন ইমিগ্রেশন ভবনের ২য় তলার একটি কক্ষে বাস করে আসছিলেন। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় কয়েকজন সহকর্মী খোঁজ নিতে গেলে শামীম হোসেনের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান।

খবর পেয়ে সকালে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা, সহকারী পুলিশ সুপার দামুড়হুদা -জীবননগর) সার্কেল জাকিয়া সুলতানা, দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমীর ঘটনাস্থলে আসেন। এরপর বেলা ১১ টায় মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আত্মহত্যা। তবে ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।

পুলিশ কনস্টেবল শামীম হোসেন ২০১৫ সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করে।

Header Ad
Header Ad

দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ

সংবাদ সম্মেলন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর আত্রাইয়ে বিষ প্রয়োগ করে দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে সানজিদা (১৬) নামে এক কিশোরীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকালে নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন নিহত কিশোরীর স্বজনেরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত কিশোরীর মামা ফজলুর রহমান। এ সময় অন্যদের মধ্যে ওই কিশোরীর মা খুশি বেগম, নানা মোসলেম প্রামাণিক, চাচা সাইফুল ইসলাম মন্ডল, মামা হামিদুল প্রামাণিক উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্য ফজলুর রহমান বলেন, নিহত কিশোরী সানজিদা আত্রাই উপজেলার আন্দার কোটা গ্রামের বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী শামসুল মন্ডলের মেয়ে। সানজিদা উপজেলার ঘোষগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল। তার বাবা কাজের সূত্রে দীর্ঘদিন ধরে সৗদি আরবে ও আরব আমিরাতে (দুবাই) অবস্থান করছেন। শামসুল মন্ডলের স্ত্রী খুশি বেগম মেয়ে সানজিদাকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে বাস করে আসছিলেন। শামসুল বসতবাড়ির বসতভিটার উত্তর পাশে বাবা মোসলেম মন্ডলের কাছ থেকে জমি কিনে নিয়ে ৪ বছর আগে মাটির বাড়ি তৈরি করেন। সেই বাড়িতেই সানজিদা ও তার মা বসবাস করতো। পরে ওই জায়গায় পাকা বাড়ি করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করলে শামসুলের বাবা মোসলেম ও ভাই সাজিম মন্ডল বাঁধ সাজে। সানজিদার দাদা শামসুলকে বসতভিটার উত্তর পাশে পাকা বাড়ি না করে দক্ষিণ পাশে নীচু জায়গায় বাড়ি করার জন্য বলে আসছিল। এ নিয়ে বিরোধ শুরু হয়। সানজিদার বাবা ও ভাই বিদেশে থাকায় বাড়ি করা নিয়ে বিরোধের জেরে সানজিদা ও তার মায়ের সঙ্গে তাঁর দাদা মোসলেম ও চাচা সাজিমের প্রায় পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো। এই কলহের জেরে দাদা মোসলেম মন্ডল ও সাজিম মন্ডল হত্যার উদ্দেশ্যে গত ৯ এপ্রিল হত্যার উদ্দেশ্যে সানজিদার শরীরে বিষ প্রয়োগ করে। পরবর্তীতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২ এপ্রিল রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে সানজিদা বলে গেছে তার দাদা ও চাচা তাঁর শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে বিষ প্রয়োগ করেছে। তাঁর এই বক্তব্যের ভিডিও ধারণ করা আছে। এ ঘটনায় রাজশাহী রাজপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে মোসলেম মন্ডল ও সাজিম মন্ডল পলাতক রয়েছেন।

লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, গত ৯ এপ্রিল সকালে সানজিদা প্রাইভেট পড়ার জন্য ঘোষগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ে যায়। প্রাইভেট পড়ে সে বেলা ১১টার দিকে বাড়িতে আসে। এ সময় সাংসারিক কাজে সানজিদার মা খুশি বেগম বাড়ির বাইরে ছিলেন। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সানজিদার দাদা মোসলেম ও চাচা সাজিম সানজিদার ঘরের ভেতরে যায়। দাদা মোসলেম সানজিদার পাশে বসে একপর্যায়ে তাকে জাপটে ধরে এবং চাচা সাজিম পকেট থেকে বিষের ইনজেকশন বের করে তার বাম হাতের শিরায় জোর ইনজেকশন প্রয়োগ করে। তারা সানজিদাকে হুমকি দিয়ে বলে এ কথা কাউকে বললে তার মতো বাবা ও ভাইকেও হত্যা করবে। সানজিদার মা খুশি বেগম বাড়িতে এসে মেয়েকে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পেয়ে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় মেয়েকে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে ওই দিনই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১২ এপ্রিল রাতে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সানজিদার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত মোসলেম ও সাজিমের ফাঁসি দাবি করা হয়।

সাজিম মন্ডলের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়ে তা বন্ধ পাওয়ায় অভিযোগের বিষয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাবুদ্দীন বলেন, ‘যে মেয়েটি মারা গেছে তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় যোগাযোগ করা হয়েছিল। এ ঘটনায় রাজশাহী রাজপাড়া থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। সেখানেই নিহত কিশোরীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

Header Ad
Header Ad

গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি : প্রেসসচিব

ছবি: সংগৃহীত

গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দেশে গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই সরকারের প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পান শফিকুল আলম।

সরকারের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রায় ৯ মাসে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছ থেকে কী অর্জন করেছেন, তা তুলে ধরেছেন তিনি।

আজ শুক্রবার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোষ্টে শফিকুল আলম লিখেছেন, ‘গত নয় মাসে আমি কী অর্জন করেছি: এক চিমটি ঘৃণা, একমুঠো অবিশ্বাস ও এক আকাশ ভালোবাসা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা
দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ
গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি : প্রেসসচিব
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে আগ্রহ দেখায়নি বেসরকারি চ্যানেল, দেখাবে বিটিভি
সন্ত্রাসী তালিকা থেকে তালেবানকে বাদ দিলো রাশিয়া
ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে, জানালেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক
ব্রাজিলের ভক্তদের ‘বানরের’ সঙ্গে তুলনা, নিষেধাজ্ঞার মুখে আর্জেন্টিনা
নারীরা কেন বয়সে ছোট পুরুষের সঙ্গে প্রেমে জড়াচ্ছেন?
জুলাই-মার্চ মাসে ৩০.২৫ বিলিয়ন ডলার পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশ
সংঘর্ষে উড়ে গেছে বাসের ছাদ, তবুও ১০ কিলোমিটার চালিয়ে ৬০ যাত্রীকে বাঁচালেন চালক
কোলের সন্তান বিক্রি করে অলংকার, মোবাইল কিনলেন মা
চুয়াডাঙ্গায় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে দু’জন নিহত
ইয়েমেনের তেল বন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ৩৮
হবিগঞ্জে ট্রাক-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪
সৌদি আরব-মরক্কো থেকে ৪৬৬ কোটি টাকার সার কিনবে সরকার
গাইবান্ধায় মাদক মামলায় ৩ যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
তোপের মুখে ওয়াক্‌ফ আইন স্থগিত করল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
নিজেকে বরিশাল সিটির মেয়র ঘোষণার দাবিতে মামলা করলেন ফয়জুল করীম
ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিতের আহ্বান বাংলাদেশের