বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২২ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash

খুলনায় ওএমএসের চাল-আটা পাচারে জড়িত কারা

গরিব ও দুস্থ মানুষের জন্য ওএমএসের মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে চাল বিক্রির ব্যবস্থা করে সরকার। সেই চাল বিক্রি না করে অসাধু ব্যবসায়ীরা কালোবাজারে চাল বিক্রি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) থেকে র‌্যাব খুলনা মহানগরীর বার্মাশীল রোডে কয়েকটি গোডাউন গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখে। তারই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব সেখানে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১৪ হাজার কেজি চাল উদ্ধার করে।

এ সময় গোডাউন মালিক নাদিম আহমেদ ও তার কর্মচারী রবিউল ইসলামকে আটক করা হয়। র‌্যাব জানায়, কিছু সংখ্যক ডিলার দরিদ্রদের কাছে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি না করে সেই চাল কালোবাজারে বেশি দামে বিক্রি করে দেন। নাদিম আহমেদ অসাধু ডিলারদের কাছ থেকে চাল কিনে তা বিভিন্ন বাজার ও দোকানে বিক্রি করতেন।

র‌্যাব জানায়, আটক হওয়া ওই দুই ব্যক্তি ৮ জন ডিলারের নাম বলেছে। এ ছাড়া খাদ্য বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী এ কাজে সহযোগিতা করে বলেও উল্লেখ করেছে।

র‌্যাবের অনুসন্ধানে জানা গেছে, নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে ন্যায্যমূল্যে চাল ও আটা বিক্রি না করে অধিক দামে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে গোপনে বিক্রি করছেন বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ডিলার। খুলনার বড় বাজারের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী এসব চাল কিনছে বলে অভিযোগ রয়েছে। যাদের মধ্যে রয়েছে কাজী অ্যান্ড সন্স, পলি এন্টারপ্রাইজ,কাশফিয়া এন্টারপ্রাইজ,রাবেয়া এন্টারপ্রাইজ, আশরাফ ভাণ্ডার, উজ্জ্বল ব্রিডার্স, বিসমিল্লাহ স্ট্রোর ও উজ্জ্বল ট্রেডার্স। এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকরা ডিলারদের কাছ থেকে কম দামে চাল কিনে বস্তা পরিবর্তন করে বেশি দামে অন্য দোকানে বিক্রি করে। এদের গোডাউন বার্মাশিল রোড, কালীবাড়ি এলাকায় ও কোহিনুর গলিতে অবস্থিত।

র‌্যাব আরও জানায়, মোটা চাল নুরজাহান মার্কা বস্তায় এবং চিকুন চাল প্লাস্টিকের জোড়া কবুতর মার্কা বস্তায় ভরে বিক্রি হচ্ছে। আটা মিল মালিকরা কিনে তাদের নিজস্ব বস্তায় ভরে বিক্রি করেন। খোলা বাজারে বিক্রির (ওএমএস) চাল ও আটা ব্যাপক লুটপাট করছেন ডিলার ও খাদ্য কর্মকর্তারা। যারা মনিটরিং করার দায়িত্বে, তাদের যোগসাজশেই বস্তা বদল করে রাতারাতি সরকারি কম মূল্যে বিক্রির এই খাদ্যপণ্য চলে যাচ্ছে আড়তদারের ঘরে। মাঝখানে সংশ্লিষ্ট খাদ্য কর্মকর্তাদের সিন্ডিকেট ও মধ্যস্বত্বভোগীদের পকেটে ঢুকছে লাখ লাখ টাকার কমিশন। এভাবে গরিবের চাল লুটপাটের ভয়াবহ ঘটনা ঘটছে খুলনায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী জানান, কোটি কোটি টাকার ভর্তুকি দিয়ে সরকার যে ওএমএস চালু রেখেছে তার সুফল গরিব মানুষ না পেলেও পেয়ে যাচ্ছে ওএমএসের ডিলারেরা। ওএমএস চালের এই দুর্নীতি এখন ওপেন সিক্রেট। প্রশাসনের সবাই জানে অথচ কেউ ধরা পড়ে না। কারো লাইসেন্স বাতিল হয় না, কেউ শাস্তিও পায় না। এটা একটা আজব ব্যাপার।

অভিযোগ রয়েছে, খুলনার নতুন বাজারে এক ডিলার রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। অথচ এই ওএমএস ছাড়া তার আর কিছুই ব্যবসা-বাণিজ্য নেই। সরকারি চাল ও আটার লাইসেন্স থাকলে এত টাকার মালিক হওয়া যায় তা এসব ডিলার দেখলেই বোঝা যায়। অনেক ডিলার তো আটার বস্তা গোডাউন থেকেই পাইকারি বাজারে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করে দেন। অধিকাংশ ডিলার সরকার দলীয় লোক হওয়ায় সাধারণ মানুষ কোনো প্রতিবাদ করে না।

সচেতন মহল বলছেন, এভাবে ওএমএসের চাল চোরাই পথে বাজারে চলে আসার কারণে সরকার বাজারদর নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে চোরাকারবারিদের হাত ঘুরে আসা খোলাবাজারের চাল সাধারণ মানুষকে উচ্চ মূল্যে কিনতে হচ্ছে। সঙ্গত কারণে ওএমএস কর্মসূচি কার্যত কাজে আসছে না।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা যায়, খুলনা মহাগরীতে ৯২ জন ডিলারের মাধ্যমে চাল বিক্রি করা হয়। প্রতিদিন ৩৭ জন ডিলার চাল তুলতে পারেন। এর মধ্যে ১৩টি ট্রাকে বিক্রি করা হয় এবং বাকিগুলো দোকানে বিক্রি করা হয়।

সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) খুলনার সাবেক সভাপতি অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, অতি দরিদ্র মানুষের কষ্ট লাঘবে সরকার ওএমএসের মাধ্যমে চাল-আটা বিক্রির কর্মসূচি নিয়েছে। উদ্দেশ্য অতি মহৎ হলেও অতি দরিদ্র লোকজন তা থেকে খুব বেশি উপকৃত হতে পারছে না। কিছু নিম্ন রুচির অতি লোভী মানুষের কারসাজিতে সেই চাল ঠিকমতো দরিদ্রদের হাতে পৌঁছে না। ডিলাররা চাল তুলে কালোবাজারে বিক্রি করে। যারা অতি দরিদ্রদের চাল ও আটা এভাবে আত্মসাৎ করে তারা অতি ঘৃণ্য অপরাধী। তাদের কঠোর শাস্তি না হলে আত্মসাৎ বন্ধ হবে না, সরকারের কোনো কর্মসূচিও লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে না। ব্যক্তিগত স্বার্থে সরকারি সম্পদের অপব্যবহার করার দায়ে ডিলারশিপ বাতিল করা হোক। একই সঙ্গে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।

র‌্যাব-৬ খুলনার সিনিয়র এএসপি পহন চাকমা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন গোয়েন্দা নজরদারি চালিয়ে আসছিলাম। আমাদের কাছে তথ্য ছিল চোরাকারবারিরা নিয়মিত গরিবের জন্য বরাদ্দ দেওয়া সরকারি চাল বাইরের ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে আসছিল। এর ভিত্তিতে আমরা গত মঙ্গলবার অভিযান চালাই বড় বাজারে। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ চাল জব্দ করা হয়।

তিনি বলেন, আমরা তদন্তের স্বার্থে এখনই কারা এ চোরাকারবারের সঙ্গে জড়িত তা বলতে পারছি না। তবে আটক হওয়া ওই দুই ব্যবসায়ী ৮ জন ডিলারের নাম বলেছে। এ ছাড়া খাদ্য বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী এ কাজে সহযোগিতা করে বলেও উল্লেখ করেছে। এখন তাদের দেওয়া নামগুলো নিয়ে যাচাই-বাছাই করছি।

এ বিষয়ে খুলনা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. বাবুল হোসেন বলেন, আমরা পত্রিকার মাধ্যমে ওএমএসের চাল উদ্ধারের বিষয়টি জানতে পেরেছি। সেটির তদন্তে জেলা সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক শেখ মো. জাহিদুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি কোনো প্রতিবেদন না দিলে আমরা কিছুই বলতে পারছি না।

তদন্ত কমিটির প্রধান শেখ মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, চাল উদ্ধারের দিন খবর পেয়ে আমি থানায় যাই। সেটি ওএমএসের চাল কিনা জানি না। তবে বস্তাগুলো ছিল খাদ্য বিভাগের। আমি চাল দেখিনি। তদন্তের বিষয়ে তিনি বলেন, এখনো কোনো চিঠি পাইনি। দায়িত্ব এলে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেব।

এসএন

Header Ad
Header Ad

খুলনায় ছাত্র-জনতার উচ্ছ্বাস, বুলডোজারের আঘাতে মাটিতে মিশে গেল ‘শেখ বাড়ি’

ছবি: সংগৃহীত

খুলনার ময়লাপোতা এলাকায় ‘শেখ বাড়ি’ নামে পরিচিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র আজ (বুধবার) রাতে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের আহ্বানে বিপুলসংখ্যক ছাত্র-জনতা সেখানে জড়ো হয়ে বাড়িটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এবং সিটি করপোরেশনের দুটি বুলডোজার দিয়ে বাড়িটি ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আন্দোলনকারীরা শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এর আগে গত ৪ আগস্ট ‘শেখ বাড়ি’তে প্রথম দফায় আগুন লাগানো হয়। সেদিন বাড়িটি খালি থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর আবারও ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালানো হয়। একসময় যেখান থেকে খুলনা অঞ্চলের আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ন্ত্রিত হতো, আজ সেটির অস্তিত্ব ধ্বংসস্তূপে পরিণত হলো।

প্রসঙ্গত, ‘শেখ বাড়ি’ ছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচার মালিকানাধীন। এ বাড়িতে তাঁর চাচাতো ভাই, সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, শেখ সোহেল উদ্দিনসহ আরও কয়েকজন পরিবারের সদস্য বসবাস করতেন। তবে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে এ বাড়ি দীর্ঘদিন ধরে ফাঁকা ছিল।

বুলডোজার চালানোর সময় ছাত্র-জনতার বিপুল উচ্ছ্বাস লক্ষ করা যায়। তাঁদের দাবি, বৈষম্যমূলক রাজনৈতিক শাসনের প্রতীক হয়ে উঠেছিল এই বাড়ি, তাই এটিকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করাই ছিল তাঁদের লক্ষ্য।

Header Ad
Header Ad

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ছাত্র-জনতার ঢল, বুলডোজার ছাড়াই গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ছাত্র-জনতার ঢল নেমেছে। আজ বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে, সন্ধ্যা ৮টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা জড়ো হয়। তারা স্লোগান দিতে দিতে জাদুঘরের গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং ভাঙচুর শুরু করে। বিক্ষোভকারীরা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালসহ জাদুঘরের বিভিন্ন স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত করে।

নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়ার ঘোষণার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভকারীরা শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল ভাষণের বিরোধিতা করে এবং তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।

বিক্ষোভের আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে 'লং মার্চ টু ধানমন্ডি-৩২' নামে একটি কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়, যেখানে বিক্ষোভকারীরা ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানায়। তবে, বুলডোজার ছাড়াই তারা নিজ হাতে ভাঙচুর চালায়।

এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও বিক্ষোভকারীদের থামাতে ব্যর্থ হয়। বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

উল্লেখ্য, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি জাদুঘর হিসেবে পরিচিত, যেখানে তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত হওয়ার আগে বসবাস করতেন।

Header Ad
Header Ad

আমরা কী করলাম, সেটি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিচার করবে : প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা কী করলাম বা করলাম না- ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সেটি দিয়ে আমাদের বিচার করবে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. ইউনূস বলেন, দেশের রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য এসব প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে এবং এর ভিত্তিতেই সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে। তিনি আরও বলেন, "এটি জাতির জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ। আমি জাতির পক্ষ থেকে কমিশনের দুই চেয়ারম্যানসহ সকল সদস্যকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।"

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "এই দুটি প্রতিবেদন দেশের প্রতিটি মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলবে। আপনি দরিদ্র, মধ্যবিত্ত বা ধনী যেই হোন না কেন, এই সংস্কারের প্রভাব থেকে কেউই বাদ যাবেন না।"

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, "কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে নাগরিকরা তাদের প্রকৃত অধিকার ফিরে পাবেন। আমরা যেন সত্যিকারের নাগরিক হিসেবে মর্যাদা পাই, সেটিই আমাদের প্রত্যাশা।"

সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জনগণ, রাজনৈতিক দল ও সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশনের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানান ড. ইউনূস। তিনি বলেন, "যাতে সবাই মনে করতে পারে, এখানে প্রকৃত সত্য বলা হয়েছে, ভুক্তভোগীদের বাস্তব চিত্র উঠে এসেছে। আমাদের তো পণ্ডিত হতে হবে না এটি বোঝার জন্য, কারণ প্রতিদিনই আমরা নানা অবিচারের শিকার হই।"

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, "সংস্কার কমিশনের কাজ শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, এটি বিশ্বব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। বিশ্বের দরবারে এটি তুলে ধরতে হলে এর ইংরেজি অনুবাদ করা প্রয়োজন।"

কমিশনের সদস্যদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, "আপনাদের প্রজ্ঞা, অভিজ্ঞতা ও গবেষণার সংমিশ্রণে এই প্রতিবেদন তৈরি হয়েছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক স্মরণীয় দলিল হয়ে থাকবে।"

তিনি আরও বলেন, "আমরা কী করলাম বা করলাম না, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের সেই কাজের জন্যই বিচার করবে। তারা প্রশ্ন করতে পারে, আপনারা তো পেয়েছিলেন, তাহলে বাস্তবায়ন করেননি কেন? কারণ, সবকিছু তো বইয়ের পাতায় লেখা আছে। এই কাজ জাতির জন্য এক মূল্যবান স্মারক হয়ে থাকবে।"

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খুলনায় ছাত্র-জনতার উচ্ছ্বাস, বুলডোজারের আঘাতে মাটিতে মিশে গেল ‘শেখ বাড়ি’
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ছাত্র-জনতার ঢল, বুলডোজার ছাড়াই গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা
আমরা কী করলাম, সেটি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিচার করবে : প্রধান উপদেষ্টা
হাসিনার বিচারের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: তারেক রহমান
মুক্তিপনের প্রতিবাদ করায় ছাত্রদল নেতাকে কুড়াল দিয়ে কোপালেন আ'লীগের কর্মিরা
খুব দ্রুতই জবি ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হবে: ছাত্রদল সভাপতি
বগুড়ায় ৫০ টাকা অফারে টি-শার্ট কিনতে গিয়ে হুলস্থুল কান্ড, নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী
নওগাঁ সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
মোহাম্মদপুরে বিড়াল হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা, তদন্তের নির্দেশ
চুয়াডাঙ্গায় সার কাণ্ডে বিএনপি ও যুবদলের ৫ নেতা বহিষ্কার
আজ বন্ধুর সাথে গোসল করার দিন
২ আলাদা বিভাগসহ দেশকে ৪ প্রদেশে ভাগ করার সুপারিশ
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় হাইকোর্টের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ আসামিসহ সবাই খালাস
হাসিনার লাইভ প্রচারের আগেই নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজ উধাও
হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা
বিচারবিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর
গাজীপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সবজিবাহী পিকআপ খাদে, চালকসহ নিহত ৩
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনে জনগনের মতামত চাইলো হাসনাত  
এই ফটো তোলোস কেন? আদালত চত্বরে শাহজাহান ওমর  
মনে হচ্ছে বিবিসি বাংলা গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার ভক্ত : প্রেস সচিব