দুই গারো কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় আরও ৫ গ্রেপ্তার
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে দুই গারো কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ডিবি পুলিশ আরও ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের ময়মনসিংহ ডিবি অফিসে রাখা হয়েছে।
শুক্রবার গভীর রাতে হালুয়াঘাট, গাজিপুর ও তারাকান্দায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার ৫ জনের মধ্যে ৪ জন এজাহারভুক্ত, একজন সন্দেহভাজন রয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ ও র্যাব অভিযান চালাচ্ছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, শরীফ মিয়া ( ২০), মিজানুর রহমান (২২), মিয়া হোসেন (২৯), আব্দুল হামিদ (১৯) এবং রুকন মিয়া (২১)।
মামলার প্রধান আসামি সোলায়মান হোসেন রিয়াদকেও (২২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তাকে ময়মনসিংহের গফরগাঁও থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ ডিসেম্বর রাতে হালুয়াঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী ৫নং গাজিরভিটা ইউনিয়নের ডুমনিকুড়া গ্রামের দুই কিশোরী পাশের গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিল। বাড়ি ফেরার পথে হত্যার ভয় দেখিয়ে তাদের সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে স্থানীয় একদল বখাটে।
ভুক্তভোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে পরিবারের সদস্যরা তাদের খুঁজতে বের হয়। পরে তাদের দুজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
ভুক্তভোগী কিশোরীদের পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণের ঘটনা কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দেওয়ায় আদিবাসী পরিবারের লোকজন ভয়ে মুখ খুলতে পারছিলেন না।
ঘটনাটি জানাজানি হলে ২৯ ডিসেম্বর হালুয়াঘাট থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এরপর গত ৩০ ডিসেম্বর ১০ জনকে আসামি করে হালুয়াঘাট থানায় একটি মামলা করেন নির্যাতিতা এক কিশোরীর বাবা।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, সোলায়মান হোসেন রিয়াদ (২২), শহীদ মিয়ার ছেলে শরিফ (২০), এজাহার হোসেন (২০), রমজান আলী (২১), কাউছার (২১) আছাদুল (১৯) শরিফুল ইসলাম (২১), মিজান (২২), রুকন (২১) ও মামুন (২০)।
একে/এএন