তিন বোন মেম্বার!
বাবা জীবিত থাকতে মেম্বার পদে নির্বাচন করলেও নির্বাচিত হতে পারেননি। এরপর মা সংরক্ষিত আসনের মেম্বার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন। এবার একই নির্বাচনে পৃথক ওয়ার্ডে দুই বোন নির্বাচিত হয়েছেন৷ এর আগে অন্য ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন আরেক বোন। এ নিয়ে দুই ইউনিয়নে সংরক্ষিত আসনের মেম্বার নির্বাচিত হলেন তিন বোন। বিষয়টি এখন টক অব নাটোর।
নির্বাচিত এই মেম্বাররা হলেন নলডাঙ্গা উপজেলার বিপ্রবেলঘড়িয়া ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডে বড় বোন হালিমা বেগম (৪৩), একই ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে মেজ বোন নাসিমা বেগম (৪১)। এর আগে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে সদর উপজেলার ছাতনী ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন ছোট বোন শাহনাজ পারভীন (৩৯)। তাদের মা আলেয়া বেগম ছিলেন বিপ্রবেলঘড়িয়া ইউনিয়নের ৪,৫,৬ ওয়ার্ডের মেম্বার।
গত ইউপি নির্বাচনের ফলাফলে দুই বোনসহ ওই তিনবোন নির্বাচিত হওয়ায় খুশি উপজেলাবাসী।
হালিমা বেগম বলেন, তাদের মরহুম বাবা আব্দুস সাত্তার একবার মেম্বার নির্বাচনে দাঁড়িয়ে পরাজিত হয়েছিলেন। স্বপ্ন ছিল একদিন ইউপি নির্বাচন করবো। ইচ্ছা পুরণ হয়েছে।
নাসিমা বেগম বলেন, আমার মা ইউপি নির্বাচনে বারবার সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে মহিলা মেম্বার নির্বাচিত হয়েছেন। মায়ের কাছ থেকে শিখেছি কীভাবে মানুষের জন্য সেবা করতে হয়। সেই পথ অনুসরণ করে মানুষের সেবা করার সুযোগ পেয়ে নিজকে ধন্য মনে করছি।
শাহনাজ পারভীন বলেন, মানুষ আমাদের ভালোবেসে ভোট দিয়েছে। তাদের যে বিশ্বাস, আস্থা পেয়েছি সেবার মাধ্যমে তার মর্যাদা রাখতে চাই।
নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুখময় সরকার বলেন, ইউপি নির্বাচনে একসঙ্গে তিন বোন নির্বাচিত হওয়ার ঘটনাটি খুব চাঞ্চল্যকর। আমরা চাই নব নিবার্চিত জনপ্রতিনিধিরা সাধারণ মানুষদের পাশে দাঁড়াবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘ওই তিন বোনের মা আলেয়া বেগমও দীর্ঘদিন মেম্বার ছিলেন। মায়ের মতো ওই তিনবোন যেন মানুষের সেবা করতে পারে সেই প্রত্যাশা।’
আলেয়া বেগম বলেন, ‘তিন মেয়ে একসঙ্গে নির্বাচিত হওয়ায় আমি অত্যন্ত খুশি। মানুষের প্রত্যাশা অনুুযায়ী আমার মেয়েরা কাজ করতে পারবে এমন দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে।’
তিন বোনের একমাত্র ভাই আনিছ জানান, ভবিষ্যতে তার নিজের নির্বাচন করার ইচ্ছা নেই। তবে তিন বোনকে নির্বাচিত করায় সংশ্লিষ্ট ভোটারদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
/এএন