সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১১ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

যে কারণে কামারুজ্জামানের মরদেহ রাজশাহীতে

দেশের স্বাধীনতা পরবর্তী ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে হত্যার পর ৩ নভেম্বর কারাগারের ভেতরে এমন পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড জাতিকে হতবাক করে। পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল ওই রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামারুজ্জামানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

এই হত্যাকাণ্ডের পর জাতীয় চার নেতার লাশ ঢাকার বনানীতেই দাফন করতে চেয়েছিলো খুনিরা। জাতীয় তিন নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলীর লাশ সেখানেই দাফন করা হয়। কিন্তু জাতীয় চার নেতার অন্যতম এএইচএম কামারুজ্জামানের মরাদেহ রাজশাহীতে পাঠাতে বাধ্য হয় স্বাধীনতা বিরোধী খুনিচক্র।

কামারুজ্জামানের সন্তান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন সেদিনের স্মৃতিচারণ করে বলেন, মায়ের কাছে শুনেছি, সে রাতে একটা জলপাই রঙের জিপ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে এসেছিলো। গাড়ি থেকে লাফিয়ে নামে কালো পোশাক পরিহিত কয়েকজন অস্ত্রধারী যুবক।

তারা গাড়ি থেকে নেমেই কারারক্ষীদের গেট খোলার নির্দেশ দেয়। 'ওপরের' নির্দেশ ছাড়া কারারক্ষীরা গেট খুলবেন না জানালে বঙ্গভবনে ফোন করে অস্ত্রধারীরা। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে যে নির্দেশ এসেছিলো তা অজানা নেই। উপরের নির্দেশ পেয়ে গেট খোলে কারারক্ষীরা। এরপর ভেতরে ঢুকে জাতীয় চার নেতাকে ১ নম্বর সেলে একত্র করে খুনি মোসলেম বাহিনী ব্রাশফায়ারে হত্যা করে।

লিটন বলেন, ৩ নভেম্বর সকালে বাবাসহ দেশের সূর্য সন্তানদের মৃত্যুর সংবাদ শুনে ভেঙে পড়েন মা। যে মানুষটি কখনো আশাহত হন নি, সেই মানুষটি বাবার মৃত্যুতে মুষড়ে পড়েছিলেন। সে সময় খুনিরা লাশ বনানীতে দাফন করতে চেয়েছিলো। কিন্তু মা চাইছিলেন বাবার মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করতে। মায়ের অটল সিদ্ধান্তের কারণে পিছু হটতে বাধ্য হয়ে বাবার মরদেহ রাজশাহীতে আনার অনুমতি দেয় ঘাতকরা।

আফসোসের কন্ঠে কামারুজ্জামানের সন্তান খায়রুজ্জামান বলেন, সেদিন ঘাতকরা মরাদেহ আনার অনুমতি দিলেও কাউকে দেখতে দেওয়া হয় নি। নির্মমভাবে হত্যা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি এই এতো অবিচার কেন করা হলো? এর উত্তর কে দিবে?

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বলেন, রাজশাহীকে নিয়ে বাবার অনেক স্বপ্ন ছিল। রাজশাহীর উন্নয়নে তিনি আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছেন। তিনি যখনই সুযোগ পেতেন, রাজশাহীর কথা জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরতেন। কিন্তু ওই ঘাতক গোষ্ঠী বাবার প্রাণ কেড়ে নিয়ে পুরো জাতিকে কলঙ্কিত করেছে। আমার স্মৃতির পাতায় জেলহত্যা এক বেদনাবিধুর ঘটনা। যেদিন বাবা শহীদ হলেন, সেদিন আমি ও আমার ছোট ভাই স্বপন কলকাতায় রামকৃষ্ণ মিশন স্কুলে লেখাপড়া করছি। বাবার মৃতদেহ দেখার সৌভাগ্য হয় নি।

তিনি আরও বলেন, শহীদ কামারুজ্জামান ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের এক অতন্দ্র সৈনিক। জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত তিনি সেই আদর্শে অবিচল ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সহযোদ্ধা হিসেবে অন্যায়ের সঙ্গে কখনোই আপস করেন নি।

এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ১৯৮১ সালের ১৯ মে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে পিতা বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের খুনিদের বিচারের সঙ্গে জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচারের দাবিতেও সোচ্চার ছিলেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় চার নেতার পরিবারের সদস্যদের অতি আপনজনের মতো আগলে রেখেছেন।
এএজেড

Header Ad
Header Ad

আমাদের ব্যর্থতা আছে অস্বীকার করার উপায় নেই: আসিফ নজরুল

আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। ছবি: সংগৃহীত

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করেছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, আমাদের ব্যর্থতা আছে, এটা অস্বীকার করার কোনো কারণ নাই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এমন যে আমাদের আত্মতুষ্টির সুযোগ নাই।

তবে আমাদের চেষ্টা আছে এবং আত্ম-জিজ্ঞাসা আছে। ব্যর্থতা উত্তরণের জন্য আমাদের প্রচণ্ড চেষ্টা আছে, তাড়না আছে। প্রত্যেকটা ব্যর্থতার ক্ষেত্রে প্রচণ্ড চেষ্টা আছে।

‘দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের ওপর গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগ’ বিষয়ক কর্মশালায় যোগদানের পূর্বে সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন। আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহীর পিটিআই মিলনায়তনে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

এ সময় আইন উপদেষ্টা বলেন, আমরা একটা ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান নিয়ে কাজ করছি; বিশেষ করে পুলিশ প্রশাসন ও বিচার বিভাগ। সেখান থেকে দাঁড়াতে আমাদের সময় লাগছে।

তিনি আরও বলেন, পতিত ফ্যাসিস্ট শক্তির হাতে হাজার হাজার কোটি টাকা আছে, টাকা থাকলে এবং বদ মতলব থাকলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট করা সম্ভব। সে বিষয়টিও দেখা হচ্ছে। আমাদের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে কাজ করছেন এবং আমাদের কো-অর্ডিনেশন মিটিংয়েও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।

চলমান বিচার পদ্ধতি নিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের শক্ত প্রমাণ আছে তাদের বিরুদ্ধে যেন যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আর যারা নির্দোষ তাদের যেন অযথা হয়রানি করা না হয় সে বিষয়টিও সমন্বয় করে দেখার নির্দেশনা দেওয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

মিঠাপুকুরে ধর্ষকের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও কুশপুত্তলিকা দাহ

ধর্ষকের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

রংপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) মিঠাপুকুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী, ভূমিহীন সংগঠন ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচি পালন করেছেন।

আন্দোলনকারীরা মিঠাপুকুর উপজেলা চত্বর থেকে মিছিল সহ পদযাত্রা করে মিঠাপুকুর থানায় পৌঁছান এবং সেখান থেকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এবং কুশপুত্তলিকা দাহ করেন। এতে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।

এসময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ধর্ষকের গ্রেফতার, সর্বোচ্চ শাস্তি এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি কার্যকরের পাশাপাশি মিঠাপুকুর থানার বর্তমান ওসিকে অপসারণের দাবি জানান।

মিঠাপুকুর থানার বর্তমান ওসিকে অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

পরবর্তীতে প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, যদি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষক গ্রেফতার না হয়, তবে আরও বড় ধরনের আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন।

Header Ad
Header Ad

এবার মেহেদি হাসান ও বিপ্লব কুমার চাকরি থেকে বরখাস্ত

যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার ও ট্রাফিকের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার এস এম মেহেদি হাসান। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিএমপি) পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) বিপ্লব কুমার সরকার ও ডিএমপির ট্রাফিকের (দক্ষিণ) যুগ্ম পুলিশ কমিশনার এস এম মেহেদি হাসানকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখা থেকে জারিকৃত সিনিয়র সচিব নাসিমুল গণির সই করা পৃথক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ দেওয়া হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড গোয়েন্দা-দক্ষিণ) বিপ্লব কুমার সরকার এবং ডিএমপির ট্রাফিকের (দক্ষিণ) যুগ্ম পুলিশ কমিশনার এস এম মেহেদী হাসান গত বছরের ৬ আগস্ট থেকে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে মৌখিক বা লিখিতভাবে অবহিত না করে বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন।

সেহেতু, বিপ্লব কুমার সরকার এবং এস এম মেহেদী হাসানকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ২ (চ) বিধি অনুযায়ী ২০২৪ সালের ৬ আগস্ট থেকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আমাদের ব্যর্থতা আছে অস্বীকার করার উপায় নেই: আসিফ নজরুল
মিঠাপুকুরে ধর্ষকের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও কুশপুত্তলিকা দাহ
এবার মেহেদি হাসান ও বিপ্লব কুমার চাকরি থেকে বরখাস্ত
এমসি কলেজ শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় জামায়াত আমিরের দায় স্বীকার  
লালমনিরহাটে জামাত-শিবিরের কলেজ দখলের চেষ্টা
গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার  
এলিফ্যান্ট রোডের একটি বাসা থেকে ঢাবি ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
চ্যানেল ‘চ্যানেল ওয়ান’ সম্প্রচারে বাধা নেই  
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভাঙার অভিযোগ  
‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে নিউজল্যান্ডের বিপক্ষে আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশ
আ:লীগ পাচার হওয়া অর্থ দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা  
বনশ্রীতে ব্যবসায়ীকে গুলি করে ২০০ ভরি সোনা ছিনতাই    
চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রশিবিরের হামলা
সেমিফাইনালের পথে ভারত, কোহলির সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের হার
নাহিদের পদত্যাগ নিয়ে যা জানা গেল
দুর্ঘটনায় আহত ছেলেকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার পথে সড়কে প্রাণ গেল মায়ের
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা দ্রুত মৃত্যু ডেকে আনে!
জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না: ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা, সরকারি ছুটি নিয়ে যা জানা গেল!
ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন, ছাত্রদলের নিন্দা