হত্যা মামলায় ৫ ভাইয়ের যাবজ্জীবন
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় কৃষক রেজাউল হত্যা মামলায় ৫ ভাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (৩১ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ অতিরিক্ত আদালত-১ এর বিচারক তাজুল ইসলাম এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন দুই আসামি। একই সঙ্গে রায়ে আসামিদের ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং তা অনাদায়ে আরও এক বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের মাছগ্রাম খালপাড়া গ্রামের রহমত শেখের পাঁচ ছেলে উজ্জল, সেজ্জাদ প্রকাশ সুজাত, সুজন, আ. গফুর এবং জালাল উদ্দিন।
রায় ঘোষণার সময় আ. গফুর ও জালাল উদ্দিন উপস্থিত থাকলেও বাকি তিন আসামি উজ্জল, সেজ্জাদ প্রকাশ সুজাত ও সুজন পলাতক রয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালের ১১ জুন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের খোদ্দবনগ্রাম এলাকার আনসার উদ্দিন শেখের ছেলে রেজাউল বাড়ি থেকে সেচ ব্লকে আসার পথে মাজগ্রাম খালপাড়া গাফাইয়ের বাড়ির পশ্চিমে খালের উপরে পৌঁছালে পূর্ব শত্রুতার জেরে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা রামদা, চাপাতি, ছোরা, হাঁসুয়াসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রেজাউল ও তার ভাই জামালকে ঘিরে ধরে। এসময় হত্যার উদ্দেশ্যে রেজাউলকে রামদা দিয়ে ঘাড়ে আঘাত করে মারাত্মক জখম করে। পরবর্তীতে আসামিরা ছোরা হাঁসুয়া দিয়ে রেজাউলের মাথা, বুকে আঘাত করে। এসময় রেজাউলের চিৎকারে স্থানীয়রা এসে ধানের ব্লক থেকে তাকে উদ্ধার করে। স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয় চিকিৎসক ওহাবের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সময় রেজাউল সাক্ষীদের কাছে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা তাকে মেরেছে বলে জবানবন্দি দেয়। পরে চিকিৎসকের বাড়িতে নেওয়ার পরে রেজাউলের মৃত্যু হয়।
ঘটনার পরদিন ১২ জুন নিহত রেজাউলের ভাই ফজলুর রহমান বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় দীর্ঘ তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা কুমার়খালী থানার উপপুলিশ পরিদর্শক মো. শফিকুল আলম সিদ্দিকী ২০০৮ সালের ৭ জানুয়ারি আদালতে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এসজি