ফুলকপি হত্যা!
রবিবার সন্ধ্যায় ক্ষেতে কাজ করে বাসায় ফিরেছেন কৃষক সাদ্দাম হোসেন। সোমবার (৩১ অক্টোবর) সকালে উঠে দেখেন ক্ষেতজুড়ে পড়ে আছে কাটা ফুলকপি। হতবুদ্ধি হয়ে যান ক্ষণিকের জন্য। সম্বিত ফিরে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন সাদ্দাম। কে কেন এত বড় সর্বনাশ করল বুঝতে পারছেন না তিনি।
নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার সোনাপুর-দীঘাপাড়া এলাকার সবের আলীর ছেলে কৃষক সাদ্দাম হোসেন। ২০ শতাংশ জমি লিজ নিয়ে প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ করে ফুলকপির চাষ করেন তিনি। দিন রাত পরিশ্রম করে এসব চারার যত্ন করে বড় করেছেন। এরই মধ্যে গত দুই দিনে তিনি ২০ কেজি ওই সবজি বিক্রি করেছেন। প্রতি কেজি ফুলকপি বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকায়। প্রতিটি ফুলকপি ১ থেকে দেড় কেজি ওজন হয়েছে। ওই জমিতে ছিল আরও ২৮০০ ফুলকপি। ফলে প্রতিটি ফুলকপি ১ কেজি করে ওজন ধরলেও তা বিক্রি করে তিনি পেতেন আরও ২ লাখ ২৪ হাজার টাকার মতো। কিন্তু রাতের আঁধারে কে বা কারা ওই সবজিগুলো কেটে কুচি কুচি করে চলে গেছে।
কৃষক সাদ্দাম জানান, রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি ওই জমিতে কাজ করেছেন। সোমবার সকালে তার ভাগ্নে প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে ওই দৃশ্য দেখে। খবর পেয়ে তিনি জমিতে গিয়ে দৃশ্যটি দেখে হতাশ আর অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও জানান, তার কোনো শত্রু আছে এমন জানা নেই। অথচ এমন ক্ষতি কেন করা হয়েছে তা বুঝতে পারছেন না। এবছর তিনি ওই জমি ছাড়াও আরও ৭-৮ বিঘা জমি লিজ নিয়ে ১৪ রকমের সবজি চাষ করেছেন। এমন অবস্থায় অন্যান্য জমির সবজির নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কিত। তিনি ওই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বাগাতিপাড়া থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম জানান, ওই ঘটনায় অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসএন