বিএনপির সমাবেশ ঠেকাতে ফোন দিয়ে বাধার অভিযোগ

রংপুরে বিএনপির সমাবেশে জনসমাগম ঠেকাতে নেতাকর্মীদের বাধা দেয়ার অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও সাংসদ হারুনুর রশিদ। বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুরের সমাবেস্থল কালেক্টরেট ঈদগাহ ময়দানে এসে সাংবাদিকদের এসব অভিযোগের কথা জানান। তিনি বলেন, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের বিএনপির আহবায়ককে র্যাব ফোন দিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে, অফিসে ডাকছে। আমি র্যাব অফিসে ফোন দিয়ে জানতে চাইলে তারা এ ঘটনা অস্বীকার করে।
এর আগের সমাবেশগুলোতে বিপুল সমাগম হয়েছে। সেজন্য সমাবেশ বিঘ্নিত করতে সরকার বিভিন্ন অপকৌশল নিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, স্মরণকালের সবচাইতে বড় সমাবেশ হবে এখানে। প্রমাণিত হবে দেশের মানুষ বিএনপির সাথে আছে এবং তারা আওয়ামী লীগ সরকারের পতন চায়। সমাবেশ ঘিরে বিভিন্ন হয়রানি তো আছেই তবে কোনো হয়রানি এই সমাবেশকে বিঘ্নিত করতে পারবে না। মানুষ সমাবেশকে সফল করতে এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছে।
আওয়ালীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের সাহেব বলেছেন ১০ তারিখে ঢাকায় খেলা দেখাব,আমরা খেলা দেখছি, ২৯ তারিখে রংপুরে খেলা দেখাব। রংপুরের এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিপুল জামায়েত করার টার্গেটে বিকল্প কৌশল নিয়েছে বিএনপি। যেকোন বাধা উপেক্ষা করে সমাবেশ সফল হবে আশা নেতাকর্মীদের। এদিকে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের আগে রংপুরে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে জেলা মোটর মালিক সমিতি।
ময়মনসিংহ ও খুলনার সমাবেশের আগে যে কারনে ধর্মঘট শুরু হয়েছিল একই কারনে রংপুরেও ধর্মঘট ডাকা হলো। মহাসড়কে নসিমন, করিমন, ভটভটিসহ তিন চাকার যানবাহন বন্ধসহ নানা দাবিতে এ ধর্মঘট ডাকা হয়েছে বলে জানানো হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতির সভাপতি এ কে এম মোজাম্মেল হক। রাত ১২টা থেকে এ ধর্মঘট শুরু হয়ে শনিবার রাত পর্যন্ত চলবে। এর আগে দুপুরে তিনি মোটর মালিক সমিতির সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত সভায় নেয়ার কথা বললেন।
মোটর মালিক সমিতির এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রংপুর জেলা ও মহানগর বিএনপি। মহানগর বিএনপি'র আহবায়ক সামসুজ্জামান সামু বলেন, সমাবেশে জনসমাগম ঠেকাতে সরকারের অপকৌশলের অংশ এটি। কোন বাধাই এই সমাবেশকে বিঘ্নিত করতে পারবে না। যে কোন মূল্যে সমাবেশ সফল করা হবে।
এএজেড
