মেঘমুক্ত ঝলমলে রোদ, স্বস্থি ফিরেছে জনমনে
খাগড়াছড়িতে জনমনে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আতঙ্ক ছিলো গত দুই দিন। বিদ্যুৎ বিহীন পাহাড়ি এলাকায়, ছোট ছোট ঘর। বৃষ্টি আর বাতাসে জান-মালের ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কায় নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন পার্বত্য খাগড়াছড়ি এলাকার অধিকাংশ মানুষ। সোমবার সকাল থেকে জেলা জুড়ে বিদ্যুৎ ছিলো না। টানা দুই দিন বিদ্যুৎ না থাকায় অধিকাংশ মানুষ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিলো। আকাশ ছিলো বৃষ্টি আর বাতাসে ভারি। গত ২ দিন টানা বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলো।
জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ,জেলার নয়টি উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী অফিসারগন পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা করেছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রে সরে আসার বিষয়ে মাইকিংসহ প্রচার প্রচারনা করে জনসচেতনতা তৈরি করেছে। এছাড়াও প্রতিটি উপজেলায় একটি কন্ট্রোল রুম খোলা রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং জেলার বিভিন্ন স্থানে গাছপালা ভেঙ্গে বিদ্যুতের খুটির উপরে পরেছে।এছাড়া তেমন বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
আজ মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ভোর থেকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের উদ্বেগ-আতঙ্ক কাঁটিয়ে স্বস্তি ফিরেছে জনমনে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে সকাল থেকে আবহাওয়া পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে ,তবে আকাশে মেঘ আর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি থাকলেও দুপুর বেলায় খাগড়াছড়ির আকাশে মেঘমুক্ত ঝলমলে রোদের দেখা মিলেছে ।পাশাপাশি বিকাল বেলায় দেখা মিলেছে বিদ্যুতের।
এ ব্যাপারে খাগড়াছড়ি আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো: মনিরুজ্জামান জানান, খাগড়াছড়িতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব কেটে গেছে। জেলাজুড়ে তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা বলেন, গত দুই দিন ঝড়-বৃষ্টির কারনে আতংকে ছিলেন। ভোর থেকে পরিস্থিতি উন্নতি হতে শুরু করে। এখন আকাশে রোদ উঠেছে। এলাকায় বিদ্যুৎ সচল হয়েছে। স্বস্তি ফিরেছে।
এএজেড