‘খুলনায় বিএনপির সমাবেশে কোনো বাধা দেওয়া হয়নি’
খুলনায় বিএনপির সমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতারা ‘মিথ্যাচার ও উসকানিমূলক’ বক্তব্য রেখেছেন। এ ছাড়া কয়েকটি গণমাধ্যম অসত্য ও অতিরঞ্জিত সংবাদ পরিবেশন করেছে বলে অভিযোগ করেছেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।
রবিবার (২৩ অক্টোবর) খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তারা। বিএনপির ‘মিথ্যাচার, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও নাশকতার’ প্রতিবাদে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ বলেন, বিভাগের ১০ জেলা থেকে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা এই সমাবেশে যোগ দিয়েছে। তাদের পথে কোথাও কোনো বাধা দেওয়া হয়নি। তবে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনায় তারা নিজেরাই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এই সমাবেশের আগে এ অঞ্চলের মালিক-শ্রমিকরা নিরাপত্তার স্বার্থে এবং তাদের কিছু দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিভিন্ন পরিবহন বন্ধ রাখে। এর সঙ্গে সরকার বা আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক নেই।
তিনি বলেন, বিএনপির মিথ্যা অভিযোগ, উসকানি ও নানা উচ্ছৃঙ্খল আচরণের মুখে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং আওয়ামী লীগ অনেক ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। অবশেষে বিভাগীয় সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হওয়ায় এটাই প্রমাণিত হয় যে, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। বিরোধী পক্ষকে সভা সমাবেশ করতে দেয়।
শেখ হারুনুর রশীদ বলেন, সমাবেশ সুষ্ঠুভাবে শেষ হওয়ায় সোনালী ব্যাংক চত্বর ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়ায় সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ এবং মাইক ব্যবহারসহ আনুষঙ্গিক বিষয়ে অনুমতি দেওয়ায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে খুলনা জেলা ও মহানগর বিএনপি। এতেই প্রমাণিত হয় সমাবেশে কোনো ধরনের বাধা দেওয়া হয়নি। তবে কেন এই মিথ্যাচার করা হলো?
লিখিত বক্তব্যে আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন, গণমাধ্যম সঠিক সংবাদ পরিবেশন করবে এটাই জনগণ প্রত্যাশা করে। কিন্তু সমাবেশকে কেন্দ্র কোনো কোনো প্রচার মাধ্যমের অতি উৎসাহী, অতিরঞ্জিত ও উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ পরিবেশন জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে নেতারা বলেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার কথা থাকলেও খুলনা আধুনিক রেলওয়ে স্টেশন ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। নগরীর দৌলতপুর এলাকার নতুন রাস্তা মোড়ে আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা করে ভাঙচুর করা হয়। এতে ২ জন আহত হয়েছেন। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এসময়ে একটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়।
তারা আরও বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা নগরীর শিববাড়ী মোড় টাইগার গার্ডেন হোটেলের সামনে ৪টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। এতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৮ নেতা-কর্মী আহত হন। অথচ এসব সংবাদ অনেক পত্রিকায় আসেনি। একপেশে সংবাদ পরিবেশন করায় জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি বাবুল রানা, জেলা সাধারণ সম্পাদক সুজিত কুমার অধিকারী, সংসদ সদস্য আখতারুজ্জামান বাবু, কামরুজ্জামান জামাল, আশরাফুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মো. সাইফুল ইসলাম, সৈয়দ আলী, সফিকুর রহমান পলাশ, আসাদুজ্জামান রাসেল প্রমুখ।
এসজি