শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

শিক্ষার্থীর তৈরি পকেট নেবুলাইজার, মিলবে ৫শ টাকায়!

নেবুলাইজার একটি বিশেষ ধরনের শ্বাস-প্রশ্বাসের ডিভাইস বা যন্ত্র যা ফুসফুসের বিভিন্ন সমস্যা যেমন অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা, সিস্টিক ফাইব্রোসিস ইত্যাদিতে কষ্ট পাওয়া রোগীদের শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সহযোগীতা করে। ফুসফুসে ওষুধ প্রয়োগের বহুল পরিচিত এই যন্ত্রটির দিয়ে তরল ওষুধকে সংকুচিত করে বায়ু বা অক্সিজেন দিয়ে স্প্রে বা অ্যারোসলে রূপান্তরিত করা হয়, যা খুব সহজেই নিঃশ্বাসের সঙ্গে ফুসফুসের শ্বাসনালী ও অ্যালভিউলিতে ঢুকে শ্বাসকষ্ট দূর করে।

এই যন্ত্রে ব্রঙ্কোডাইলেটার, স্টেরয়েড ও প্রিভেন্টিভ...এই তিন ধরনের ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। শ্বাসনালি ক্লিয়ার রাখতেই এর ব্যবহার। ওষুধ, স্টেরিলাইজড ওয়াটার ও অক্সিজেন একসঙ্গে ভেপার তৈরি করে। নেবুলাইজারের মাধ্যমে তা পৌঁছে যায় ফুসফুসে। ফলে ওষুধ খেলে কাজ শুরু করতে যা সময় নেয়, তার চেয়ে অনেক কম সময়েই কাজ শুরু করে নেবুলাইজার। এতে চিকিৎসা ত্বরান্বিত হয়ে রোগীর দ্রুত কষ্ট লাঘব হয়।

আমাদের দেশে যে নেবুলাইজার পাওয়া যায় তা বিদেশ থেকে আমদানী করা। এগুলোর বাজারমূল্য ৪-৫ হাজার টাকা। ফলে অনেকেই টাকার অভাবে কিনতে পারেননা ওই যন্ত্র। কিছু হলেই ছুটতে হয় হাসপাতাল বা ক্লিনিকে। তবে এবার এক ক্ষুদে শিক্ষার্থী তৈরী করেছেন ওই নেবুলাইজার। চলছে উন্নয়নের কাজ। কাজ শেষ হলে সহজেই মাত্র ৫০০ টাকায় কিনতে পারবেন যে কেউ।

ওই ক্ষুদে আবিস্কারকের নাম রাকেশ সাহা। তিনি নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার চাঁদপুর এলাকার রতন কুমার সাহা ও শিবানী রানী সাহার বড় ছেলে। তিনি স্থানীয় সিংড়া দমদমা পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের ১০ম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। তরুণ উদ্ভাবক রাকেশ পড়ালেখার পাশাপাশি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছেন।

পারিবারিক জীবনে দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনিই বড়। ছোটভাই শিশু শ্রেণীর শিক্ষার্থী। বাবা একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। আর মা গৃহিনী। পারিবারিক অস্বচ্ছলতার কারণে কিনতে পারেননি কোন কম্পিউটার বা ল্যাপটপ। তবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করার জন্য ব্যবহার করেন মিনি প্রসেসর আরডুইনো।

তিনি ইতোমধ্যেই চলতি বছর ৪৩ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলায় সিংড়া দমদমা পাইলট স্কুল থেকে অংশগ্রহণ করে সিংড়া উপজেলা থেকে প্রথম স্থান, নাটোর জেলা থেকে দ্বিতীয় স্থান অর্জন সহ বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে অংশগ্রহণ করে সিংড়া উপজেলা থেকে "সেরা মেধাবী" শিক্ষার্থীর স্থান অর্জন করেছেন।

রাকেশ সাহা জানান, কিছুদিন হল কোন প্রতিযোগিতা না থাকায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিছু প্রজেক্ট তৈরীর চিন্তা ভাবনা করলাম। এরপর আমার মাথায় এলো নেবুলাইজার মেশিন এর কথা। করোনার সময় থেকে দেখা যাচ্ছে অনেক মানুষ শ্বাসকষ্টে মারা যাচ্ছে। হাসপাতালে নেওয়ার মতো সময় ও তাদের হচ্ছে না। ফলে শ্বাসকষ্টের রোগীরা ব্যক্তিগতভাবে নেবুলাইজার মেশিন কিনতে চাচ্ছেন এবং অনেকে কিনছেনও।

তবে নেবুলাইজার মেশিনগুলো আমাদের দেশে তৈরি নয়। আমাদের দেশে আমদানি করতে হয়। তাই এইসব নেবুলাইজার মেশিন এর দাম প্রত্যেকটি ৪০০০ থেকে ৫০০০ টাকা। যা অনেক ব্যয়বহুল। তাই সবার সামর্থ্যও হয় না একটা নেবুলাইজার মেশিন ব্যক্তিগত ভাবে কেনার। এই বিষয়টি নিয়ে দুইদিন যাবত রিসার্চ করলাম। গুগল ইউটিউব সব জায়গায় আমি এসব তথ্য খুঁজতে লাগলাম। কেউ কি সব থেকে ছোট নেবুলাইজার মেশিন বানিয়েছে? কেউ কি কম খরচে নেবুলাইজার মেশিন বানিয়েছে? Google, youtube উইকিপিডিয়া এসব জায়গায় অনেক খোঁজাখুঁজি করলাম।

এরপর সেদিনই সিদ্ধান্ত নিলাম যে আমিই তৈরি করব পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট, পকেটে বহনযোগ্য এবং সাশ্রয়ী নেবুলাইজার মেশিন। আমি কাজ শুরু করে দিলাম। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ব্যবস্থা করলাম। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুলো সাত দিনের মধ্যে পেয়ে গেলাম। কাজ শুরু করলাম একটা নেবুলাইজার মেশিন তৈরির। মাত্র তিনদিনের ভেতর আমার কাঙ্খিত যন্ত্রটি আবিষ্কার এ আমি সক্ষম হলাম।

তিনি আরো বলেন, আমার স্কুলের ফেরদৌস স্যারের সহযোগিতায় নেবুলাইজার মেশিনে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র সংগ্রহ করলাম। স্যার আমাকে দুইটা ঔষধের নাম লিখে দিলেন। আমি ঔষধ গুলো নিকটস্থ ফার্মেসী থেকে কিনে আনলাম। ঔষধ গুলো আমার তৈরি পকেট নেবুলাইজার মেশিনে দিলাম। এরপর আমি এটি নিজেই ব্যবহার করে দেখলাম।

তিনি দাবী করেন, আমি নিজেই একজন শ্বাসকষ্টের রোগী। গত কয়েক বছর যাবত এটার জন্য আমি কলকাতায় চিকিৎসা করছি। আমাকে ইনহেলার ব্যবহার করতে হয়। আমার ইনহেলার টা শেষ হয়ে যাওয়ায় একটি ব্যবহার করে আমি খুব ভালো ফল পাচ্ছি।

রাকেশ আরো বলেন, আমার তৈরি এই মিনি পকেট নেবুলাইজারটি বেশ কাজে দিচ্ছে। বড় বড় নেবুলাইজার মেশিনগুলো ব্যবহার করার জন্য বিদ্যুৎ সংযোগের প্রয়োজন হয়।

এসব মেশিন থেকে অনেক শব্দ সৃষ্টি হয়। আমার তৈরি এই পকেট নেবুলাইজার মেশিনটি ছোট , দেখতে সুন্দর এবং পকেটে বহনযোগ্য। এমনকি এটি রিচার্জেবল হওয়ায় এটি ব্যবহারের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগের কোন প্রয়োজন নেই। আমার তৈরি এই পকেট নেবুলাইজার মেশিনটি বড় মেশিনের মত শব্দ সৃষ্টি হয় না।

এই পকেট নেবুলাইজার মেশিনটি তৈরি করতে আমার প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা খরচ হয়েছে। ফলে এটি আমি অনেক কম খরচেই তৈরি করে সাধারণ মানুষের হাতে আমি পৌঁছে দিতে সক্ষম হব। তিনি বলেন, এটি অনেক কম দামে কিনতে পারবে সকলেই। এটা করা গেলে বড় বড় নেবুলাইজার মেশিনের আমদানি করতে হবে না।

এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে পকেট নেবুলাইজার মেশিনগুলো আমাদের দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানী করে আমাদের দেশ অনেক বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করতে পারবো বলে আমি আশা করছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ওই পকেট নেবুলাইজারে একটি ডিভাইস ব্যবহার করা হয়েছে। ওই ডিভাইসের মাধ্যমে উচ্চমাত্রার শব্দ কম্পন তৈরী করে এর মাধ্যমে নেবুলাইজারে সরবরাহ করা তরল ঔষধ বাষ্পে পরিণত হয়ে ফুসফুসে পৌছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান,তিনি ইতোমধ্যেই ওই নেবুলাইজার পরীক্ষার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের ডাক্তারদের দেখিয়েছেন। ডাক্তাররা ওই নেবুলাইজারটির কার্যকারীতা বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে কিছু আপগ্রেড করতে বলেছেন। সেই কাজটিই এখন চলছে। তবে ওই নেবুলাইজার উৎপাদন ও বাজারজাত করতে অর্থনৈতিক সহযোগীতার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমতি প্রয়োজন।

এজন্য তিনি তার শুভাকাঙ্খিসহ আইসিটি প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলক,স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রধানমন্ত্রীর সহযোগীতা কামনা করেন। সিংড়া দমদমা স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক আফছার আলী জানান,তিনি তার ওই ছাত্রের বিষয়ে জানেন। ওই কাজে সবসময়ই উৎসাহ দিয়েছেন দাবী করে বলেন, ওই ছাত্রর স্বপ্ন পূরণ ও নেবুলাইজারটি তৈরী ও বাজারজাত করতে প্রয়োজনীয় সকল সহযোগীতা করবেন তিনি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আমিনুল ইসলাম জানান,ওই নেবুলাইজারটি তিনি ছাড়াও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আব্দুর রাজ্জাক ও আরএমও ডাক্তার শিবলী নোমানী পরীক্ষা করে কার্যকারীতা ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন।

তবে ওই নেবুলাইজারে এন--95 মাস্কের বদলে অন্য এক ধরণের মাস্ক ব্যবহার ও নেবুলাইজারটি কিছুটা আপগ্রেড করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে দাবী করে তিনি বলেন, ফুসফুসে সংক্রমণ হলে বা ওষুধ দিতে হলে নেবুলাইজারের মাধ্যমেই তা দেওয়া হয়ে থাকে। এতে কাজ হয় তাড়াতাড়ি। ওই শিক্ষার্থীকে ওই নেবুলাইজার তৈরীর অনুমোদনসহ সংশ্লিষ্ট সকল সহযোগীতা করা হবে এমন আশ্বাস দেন তিনি।
এএজেড

Header Ad

গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের শ্রীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উদয়খালী গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মৃত তিন শিক্ষার্থী হলেন- মোজাম্মেল হোসেন নাঈম (২৪), মোস্তাকিম রহমান মাহিন (২২) ও জোবায়ের আলম সাকিব (২২)।

জানা গেছে, শনিবার সকালে গাজীপুর মহানগরের বোর্ড বাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের প্রায় ৪৬০ জন শিক্ষার্থী বিআরটিসির ৬টি ডাবল ডেকার বাস ও ৩টি মাইক্রোবাসে করে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উত্তর পেলাইদ গ্রামের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামীণ আঞ্চলিক সড়ক ধরে রিসোর্টের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় উত্তর পেলাইদ গ্রামের উদয়খালী বাজারে পৌঁছালে বিআরটিসির ডাবল ডেকার একটি বাস পল্লী বিদ্যুতের তারের স্পর্শে আসে। এ সময় বাসটি বিদ্যুতায়িত হলে কয়েকজন শিক্ষার্থী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক জাকিউল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তিনজনকেই মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। আহত সংখ্যা এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি। আমরা জরুরি বিভাগে যাচ্ছি।

Header Ad

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া

ছবি: সংগৃহীত

মিল্ক বিউটিখ্যাত দক্ষিনি অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া নতুন বছরে তার জীবনের একটি বিশেষ অধ্যায়ে পা রাখতে যাচ্ছেন। খলচরিত্র করে আলোড়ন তোলা অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন চলছিল অনেক দিন ধরেই। তবে এ নিয়ে কেউই মুখ খোলেননি। এবার তাদের সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তামান্না। এমনকি ২০২৫ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়ার সম্ভাবনা আছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রোমোশনাল ইন্টারভিউতে তামান্না তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জানান, প্রেমের সম্পর্কের জন্য জীবনে দুবার হৃদয় ভেঙেছে তার। সেই সময়টা তামান্নার জন্য খুবই ভয়াবহ ছিল।

তিনি আরও জানান, তিনি খুব কম বয়সে একজন ছেলের সঙ্গে প্রথম ভালোবাসায় জড়িয়েছিলেন এবং তার দ্বিতীয় সম্পর্কটি ছিল তার অভিনয় ক্যারিয়ারের শিখরে থাকা অবস্থায়। তবে সে সময় তিনি অনুভব করেন যে, সেই ছেলে তার সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের জন্য সঠিক ব্যক্তি নয়।

তবে এত কিছুর পরও বাহুবলিখ্যাত তামান্না প্রেমিকের নাম প্রকাশ করেননি। এর আগে গুঞ্জন ছিল যে, তিনি ভারতীয় অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে ডেট করছেন। পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় বহুবার ফ্রেমবন্দি হয়েছেন তারা। যদিও নিজেদের এ সম্পর্ক আড়ালে রাখতে বদ্ধপরিকর দুজনই। এখন দেখার অপেক্ষা তামান্না জীবনসঙ্গী হিসেবে কাকে বেছে নেন।

সবশেষ তামান্না ভাটিয়াকে আইটেম গার্ল হিসেবে দেখা যায় অমর কৌশিক পরিচালিত ‘স্ত্রী ২’ সিনেমায়। এ সিনেমায় আরও অভিনয় করেন রাজকুমার রাও, শ্রদ্ধা কাপুর, পঙ্ক ত্রিপাঠিসহ আরও অনেকে।

Header Ad

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...

ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকার বিনিময়ে নয় মাসের শিশু সন্তানকে দত্তক দেন শরীফা খাতুন নামে মানসিক ভারস্যমহীন এক মা। বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ওই নবজাতককে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের সহায়তায় ওই শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফেরত দেন।
মানসিক ভারসাম্যহীন নারী শরীফা খাতুন বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের জেমজুট মুসলিমবাগ এলাকায় তিন সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালান।

প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, গত এক বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় শরীফা খাতুনের। এর পর সন্তানদের নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে চলত তার পরিবার।

গত মঙ্গলবার নিজের ৯ মাসের কন্যা সন্তানকে পঞ্চগড় পৌরসভার দক্ষিণ তেলিপাড়া এলাকায় একটি হলুদ খেতে রেখে ভিক্ষা করতে যান শরীফা খাতুন। এ সময় শিশুটিকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে স্থানীয় রুনা আক্তার নামে এক নারী; একইসঙ্গে শরীফাকেও নিজ বাড়িতে নেন তিনি। রুনা নামে ওই নারীর নিজ সন্তান না থাকায় শিশুটিকে দত্তক নিতে চাইলে, ৫০০ টাকার বিনিময়ে রেখে চলে যান শরীফা।

এরপর চার দিন পর অবশেষে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় নিজ পরিবারের কাছে ফিরেছে শিশুটি। বর্তমানে শিশুটিকে দেখভাল করছেন মানসিক ভারসামহীন শরীফার ১৬ বছরের বড় ছেলে নয়ন।

এ বিষয়ে শরীফার ছেলে নয়ন ইসলাম বলেন, গত চার দিন আগে মা বোনকে নিয়ে হঠাৎ পঞ্চগড়ে যান। পরে একসময় বাড়িতে একাই এসে ঘরে তালা লাগিয়ে বন্দি অবস্থায় থাকতে শুরু করেন। বোন কোথায় তা জানতে চাইলে কোনো কিছুই জানাচ্ছিলেন না।

পরে অনেক কৈশলে বোনের অবস্থান জানতে পারি। এরপর সেই বাড়িতে গিয়ে বোনকে ফেরত চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করেন। আরও জানতে পারি মা বোনকে নেবেন না বললে তারা ৫০০ টাকা মাকে খেতে দিয়ে একটা কাগজে স্বাক্ষর করে নেন। শুক্রবার সাংবাদিক ও পুলিশ এসে তদন্ত করে আমার বোনকে আনতে নির্দেশ দিলে মাকে সঙ্গে নিয়ে বোনকে বাড়িতে নিয়ে আসি।

স্থানীয় মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনেক আগে থেকে ওই নারীকে দেখছি। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে পরিবার চালান। তবে কয়েকদিন আগে নিজের সন্তানকে মানুষের কাছে দিয়ে প্রায় পাগল হয়ে বেড়াচ্ছিলেন।

কাজলা নামে স্থানীয় এক নারী বলেন, সকালে শরিফা আমার কাছে এসে আমার পা জড়িয়ে ধরেছেন আর বলেছেন আপু যেভাবেই পারো আমার মেয়েকে এনে দাও।

প্রতিবেশীরা বলেন, স্বামী না থাকায় পরিবারটা চালাতে শরীফা খাতুন ভিক্ষা করতেন। এর মাঝে এমন কাণ্ড ঘটে তিনি পাগল হয়ে গেছেন। তার তিনটা সন্তান। একটা ছেলে ও দুটি মেয়ে। এদের কি হবে আমরা জানি না। তবে সরকারি সহায়তা পেলে তাদের গতি হতো।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, আগের বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি। খবর পাওয়ার পর পঞ্চগড় সদর থানার ওসিকে জানানো হয়। বিষয়টি পুলিশের হস্তক্ষেপে সুষ্ঠু সমাধান করে ভারসাম্যহীন নারীর কাছে তার বাচ্চা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, যেহেতু ওই নারীর বাড়ি বোদা উপজেলায়, সেখানকার ইউএনওকে জানিয়ে সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ