শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্রতিষ্ঠিত নারী উদ্যোক্তা শারীরিক প্রতিবন্ধী রেহেনা

শারীরিক প্রতীবন্ধকতা কোনো কাজের বাধা হতে পারে না। স্বপ্ন পূরণের জন্য চাই কঠোর পরিশ্রম, অধ্যাবসায় আর মনোবল। এগুলোর উপর আস্থা রেখেই অনেকেই পৃথিবী জয় করেছেন। যাদের জন্ম দুশ্চিন্তায় ফেলেছিল পরিবারকে। সমাজের একটি আলাদা অংশ ছিল যারা। বলছিলাম শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়েও যারা আজ সাধারণ মানুষের কাতারে সামিল হয়েছে নিজেদের যোগ্যতায়। নিজের চেষ্টা আর দৃঢ় মনোবল তাকে সাফল্যের অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। বলছিলাম জয়পুরহাটের শারীরিক প্রতিবন্ধী রেহেনা আক্তারের কথা।

তিনি দারিদ্র্যের কষাঘাত আর শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে দাখিল পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে গিয়ে নতুন জামা বিক্রি করা স্বপ্ন বিলাসী সেই রেহেনা আক্তার দারিদ্রতা জয়ের এক অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে শুধু এলাকায় নয় বরং দেশের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তার জীবন যুদ্ধের দীর্ঘ সংঘাত, দারিদ্র্যগ্রস্ত জীবন আর শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সত্বেও আজকের সফলতার কাহিনি শোনার জন্য সরেজমিনে কথা হয় জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার শিবপুর চার মাথায় অবস্থিত তার সমন্বিত কৃষি খামারের ভিতরে অতিথিদের জন্য নির্মাণাধীন টিনের ছাউনি ঘরে।

শিবপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদ আকন্দের আট সন্তানের মধ্যে রেহেনা আক্তার পঞ্চম সন্তান। ১৯৮১ সালে তাঁর ছয় বছর বয়সে পোলিও রোগে আক্রান্ত হওয়ায় ডান পা দিয়ে হাঁটতে হয় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় কারণে গ্রামের পাড়াপ্রতিবেশি তো দূরের কথা, পরিবারের লোকই চাইতো না সে লেখাপড়া করুক। কিন্তু তাঁর শিক্ষার প্রতি প্রবল আগ্রহ, ইচ্ছাশক্তি সব বাধাকে পেছনে ফেলে তাকে এগিয়ে নিয়ে যায় অন্য এক আলোর ভুবনে।

তিনি দুই সন্তানের জননী তারঁ বড় ছেলে আব্দুর রহমান জয়পুরহাট সরকারি কলেজে অনার্স তৃতীয় বর্ষে পড়াশোনা করছেন ও তার ছোট ছেলে আব্দুর রহিমকে তিন বছর আগে নিজের কষ্টের উপার্জিত টাকা দিয়ে সৌদি আরবে পাঠিয়েছেন।

স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে রেহেনা আক্তার (৪১) ঢাকা প্রকাশকে বলেন, দাখিল পরীক্ষার ফরম পূরণ করার জন্য যে টাকার প্রয়োজন তা ধনী-গরীব, মধ্যবিত্ত, ব্যবসায়ী, সমাজপতির দ্বারে দ্বারে ধরনা দিয়েও সেই টাকার ব্যবস্থা করতে পারেননি, ফিরে আসতে হয়েছে চোখের জলকে সঙ্গে নিয়ে।

নিজের অনেক কষ্টের দ্বারা অর্জিত টাকা দিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার পূর্বে কিনেছিলেন ৩০৫ টাকা দিয়ে নতুন জামা। শেষ সম্বল সেই জামা বিক্রি করে তার এক বান্ধবীর কাছে বিক্রি করে সেই যাত্রা কোনভাবে সক্ষম হয়েছিলেন প্রবেশপত্র হাতে নেবার ক্ষেত্রে। নিজ বাড়ি থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে পরীক্ষা কেন্দ্র হওয়ায় সেখানে অবস্থান করার জন্য বাড়তি খরচ মেটাতে ধার করা টাকা পরিশোধ করেছেন জাল বুনানো কাজসহ অন্যান্য হাতের কাজের পারিশ্রমিকের অর্থ দিয়ে।

বর্তমানে রেহেনা আক্তার একজন ফাজিল পাস নারী হলেও তার পড়াশোনার খরচসহ গোটা পরিবারের ভরণপোষণের অর্থের যোগান আসতো চাঁদের আলোয় বুনানো জাল বিক্রির টাকা, হাঁস-মুরগী পালন, হোমিও ওষুধ বিক্রি এবং হাতের কাজ করার অর্থ দিয়ে। ১৬ বছর বয়সে বিয়ে হয় একই গ্রামের তার চেয়ে তিন গুণেরও অধিক বয়সী আব্দুর রশিদ মোল্লার সঙ্গে।

এক আবেগঘন পর্যায়ে রেহেনা আক্তার দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ঢাকা প্রকাশকে বলেন, এ বিয়ে ছিলোনা তার জৈবিক চাহিদা কিংবা সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য। এটি ছিল কৈশোরকালীন স্বপ্ন পূরণের ভিত। পরিবার আর সমাজ থেকে নিগৃহীত জীবনের মাঝে থেকে একটা পরিচয়ের পরিচয় দেবার উপলক্ষ মাত্র।

বয়সের অধিক তারতম্য বিদ্যমান থাকায় স্বামীর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ভ্রুকুটিকে আমলে না নিয়ে বেসরকারি সংস্থা টিএমএসএস থেকে ২০০৫ সালে ১৫ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ১২টি সোনালি মুরগি দিয়ে ছোট পরিসরে খামার শুরু করলেও তা একসময় বড় আকার ধারণ করে।

খামারটি যখন স্বপ্ন পূরণের ক্ষেত্রে আলোর মুখ দেখাচ্ছিল ঠিক সেই সময়ে ২০১১ সালে বার্ডফ্লু রোগে তার খামারের ১৩০০ মুরগি সবগুলো মারা যাওয়ার কারণে ৫ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হন। তবুও তিনি থেমে থাকেননি। মুরগি পালন ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে আবার ৯ টি হাঁস দিয়ে শুরু করেন হাঁস পালন। যা পরবর্তীতে ১৭০০ হাঁসে দাঁড়িয়েছে। এছাড়াও গড়ে তুলেছেন ৭-৮টি গরুর খামার ও প্রায় দুই শতাধিকের ওপর কবুতরের খামার।

রেহেনা আক্তার আরও বলেন, গত এক বছরে ডিম বিক্রি ছাড়াই সাড়ে ১৬০০ হাঁস বিক্রি করেছেন ৫ লাখ ৬৩ হাজার টাকায়। একই বছরে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা দিয়ে কেনা ৮টি ছোট আকারের গরু বিক্রি করেছেন ৩ লাখ টাকায়। বর্তমানে খামারে রয়েছে ছোট আকারের ৭টি গরু। তিন বছর আগে ৬টি কবুতর দিয়ে শুরু করা কবুতরের খামারে কবুতরের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ শতেরও অধিক। প্রতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার স্থানীয় বাজারে ১৫-২০ জোড়া কবুতরের বাচ্চা বিক্রি করে আয় করেন ২৭০০-৩৬০০ টাকা। ইতিমধ্যে ১ হাজার হাঁসের বাচ্চার জন্য অর্ডার দিয়েছেন।

রেহেনা আক্তারের জীবনের বড় একটি সাফল্য সেই ৫ শতাংশের ছোট্ট কুটির থেকে এখন তার সম্পদ দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৫ বিঘায় (৩৩ শতক প্রতি বিঘা)। ২০১০ সালে তার এই উদ্যমী কাজের জন্য সিটি ব্যাংক থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকার পুরষ্কৃত অর্থ দিয়ে নির্মাণ করেছেন গরুর শেড, হাঁস-মুরগির শেড। এর মধ্যে ৯৯ বছর মেয়াদি সরকারি এক একর লিজ নেওয়া খাস জমি বাদে বাকি আড়াই বিঘা জমি তার জীবনের কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে কেনা।

নিজ জায়গায় লাগিয়েছেন বিভিন্ন ফলের গাছসহ প্রায় ৩ শতাধিক কলার গাছ। মৎস্য ও হাঁস পালনের রয়েছে ১৫ শতাংশের একটি ছোট পুকুর। রেহেনা আক্তার শুধু আর্থিকভাবে সফলকাম হননি, বেড়েছে তার সামাজিক মর্যাদাও। জেলা ও উপজেলায় বিভিন্ন সভায় তাকে ডাকা হয় যা তার সামাজিক মর্যাদা এনে দিয়েছে বলে নিজেকে এখন গর্বিত মনে করেন।

জয়পুরহাট জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মাহফুজার রহমান ঢাকা প্রকাশকে বলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধী রেহেনা আক্তার একজন প্রতিষ্ঠিত নারী উদ্যোক্তা। তিনি সমস্ত প্রতিকূলতা জয় করে তার একক প্রচেষ্টায় সম্বনিত কৃষি খামার গড়ে তুলেছেন। প্রতিবন্ধী নারী হিসেবে নিঃসন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগ নিয়েছেন। সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদের জন্য উৎকৃষ্ট উদাহরণ রেহেনা আক্তার। প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে তাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে করা হবে।
এএজেড

Header Ad

গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের শ্রীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উদয়খালী গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মৃত তিন শিক্ষার্থী হলেন- মোজাম্মেল হোসেন নাঈম (২৪), মোস্তাকিম রহমান মাহিন (২২) ও জোবায়ের আলম সাকিব (২২)।

জানা গেছে, শনিবার সকালে গাজীপুর মহানগরের বোর্ড বাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের প্রায় ৪৬০ জন শিক্ষার্থী বিআরটিসির ৬টি ডাবল ডেকার বাস ও ৩টি মাইক্রোবাসে করে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উত্তর পেলাইদ গ্রামের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামীণ আঞ্চলিক সড়ক ধরে রিসোর্টের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় উত্তর পেলাইদ গ্রামের উদয়খালী বাজারে পৌঁছালে বিআরটিসির ডাবল ডেকার একটি বাস পল্লী বিদ্যুতের তারের স্পর্শে আসে। এ সময় বাসটি বিদ্যুতায়িত হলে কয়েকজন শিক্ষার্থী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক জাকিউল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তিনজনকেই মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। আহত সংখ্যা এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি। আমরা জরুরি বিভাগে যাচ্ছি।

Header Ad

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া

ছবি: সংগৃহীত

মিল্ক বিউটিখ্যাত দক্ষিনি অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া নতুন বছরে তার জীবনের একটি বিশেষ অধ্যায়ে পা রাখতে যাচ্ছেন। খলচরিত্র করে আলোড়ন তোলা অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন চলছিল অনেক দিন ধরেই। তবে এ নিয়ে কেউই মুখ খোলেননি। এবার তাদের সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তামান্না। এমনকি ২০২৫ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়ার সম্ভাবনা আছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রোমোশনাল ইন্টারভিউতে তামান্না তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জানান, প্রেমের সম্পর্কের জন্য জীবনে দুবার হৃদয় ভেঙেছে তার। সেই সময়টা তামান্নার জন্য খুবই ভয়াবহ ছিল।

তিনি আরও জানান, তিনি খুব কম বয়সে একজন ছেলের সঙ্গে প্রথম ভালোবাসায় জড়িয়েছিলেন এবং তার দ্বিতীয় সম্পর্কটি ছিল তার অভিনয় ক্যারিয়ারের শিখরে থাকা অবস্থায়। তবে সে সময় তিনি অনুভব করেন যে, সেই ছেলে তার সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের জন্য সঠিক ব্যক্তি নয়।

তবে এত কিছুর পরও বাহুবলিখ্যাত তামান্না প্রেমিকের নাম প্রকাশ করেননি। এর আগে গুঞ্জন ছিল যে, তিনি ভারতীয় অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে ডেট করছেন। পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় বহুবার ফ্রেমবন্দি হয়েছেন তারা। যদিও নিজেদের এ সম্পর্ক আড়ালে রাখতে বদ্ধপরিকর দুজনই। এখন দেখার অপেক্ষা তামান্না জীবনসঙ্গী হিসেবে কাকে বেছে নেন।

সবশেষ তামান্না ভাটিয়াকে আইটেম গার্ল হিসেবে দেখা যায় অমর কৌশিক পরিচালিত ‘স্ত্রী ২’ সিনেমায়। এ সিনেমায় আরও অভিনয় করেন রাজকুমার রাও, শ্রদ্ধা কাপুর, পঙ্ক ত্রিপাঠিসহ আরও অনেকে।

Header Ad

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...

ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকার বিনিময়ে নয় মাসের শিশু সন্তানকে দত্তক দেন শরীফা খাতুন নামে মানসিক ভারস্যমহীন এক মা। বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ওই নবজাতককে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের সহায়তায় ওই শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফেরত দেন।
মানসিক ভারসাম্যহীন নারী শরীফা খাতুন বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের জেমজুট মুসলিমবাগ এলাকায় তিন সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালান।

প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, গত এক বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় শরীফা খাতুনের। এর পর সন্তানদের নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে চলত তার পরিবার।

গত মঙ্গলবার নিজের ৯ মাসের কন্যা সন্তানকে পঞ্চগড় পৌরসভার দক্ষিণ তেলিপাড়া এলাকায় একটি হলুদ খেতে রেখে ভিক্ষা করতে যান শরীফা খাতুন। এ সময় শিশুটিকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে স্থানীয় রুনা আক্তার নামে এক নারী; একইসঙ্গে শরীফাকেও নিজ বাড়িতে নেন তিনি। রুনা নামে ওই নারীর নিজ সন্তান না থাকায় শিশুটিকে দত্তক নিতে চাইলে, ৫০০ টাকার বিনিময়ে রেখে চলে যান শরীফা।

এরপর চার দিন পর অবশেষে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় নিজ পরিবারের কাছে ফিরেছে শিশুটি। বর্তমানে শিশুটিকে দেখভাল করছেন মানসিক ভারসামহীন শরীফার ১৬ বছরের বড় ছেলে নয়ন।

এ বিষয়ে শরীফার ছেলে নয়ন ইসলাম বলেন, গত চার দিন আগে মা বোনকে নিয়ে হঠাৎ পঞ্চগড়ে যান। পরে একসময় বাড়িতে একাই এসে ঘরে তালা লাগিয়ে বন্দি অবস্থায় থাকতে শুরু করেন। বোন কোথায় তা জানতে চাইলে কোনো কিছুই জানাচ্ছিলেন না।

পরে অনেক কৈশলে বোনের অবস্থান জানতে পারি। এরপর সেই বাড়িতে গিয়ে বোনকে ফেরত চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করেন। আরও জানতে পারি মা বোনকে নেবেন না বললে তারা ৫০০ টাকা মাকে খেতে দিয়ে একটা কাগজে স্বাক্ষর করে নেন। শুক্রবার সাংবাদিক ও পুলিশ এসে তদন্ত করে আমার বোনকে আনতে নির্দেশ দিলে মাকে সঙ্গে নিয়ে বোনকে বাড়িতে নিয়ে আসি।

স্থানীয় মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনেক আগে থেকে ওই নারীকে দেখছি। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে পরিবার চালান। তবে কয়েকদিন আগে নিজের সন্তানকে মানুষের কাছে দিয়ে প্রায় পাগল হয়ে বেড়াচ্ছিলেন।

কাজলা নামে স্থানীয় এক নারী বলেন, সকালে শরিফা আমার কাছে এসে আমার পা জড়িয়ে ধরেছেন আর বলেছেন আপু যেভাবেই পারো আমার মেয়েকে এনে দাও।

প্রতিবেশীরা বলেন, স্বামী না থাকায় পরিবারটা চালাতে শরীফা খাতুন ভিক্ষা করতেন। এর মাঝে এমন কাণ্ড ঘটে তিনি পাগল হয়ে গেছেন। তার তিনটা সন্তান। একটা ছেলে ও দুটি মেয়ে। এদের কি হবে আমরা জানি না। তবে সরকারি সহায়তা পেলে তাদের গতি হতো।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, আগের বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি। খবর পাওয়ার পর পঞ্চগড় সদর থানার ওসিকে জানানো হয়। বিষয়টি পুলিশের হস্তক্ষেপে সুষ্ঠু সমাধান করে ভারসাম্যহীন নারীর কাছে তার বাচ্চা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, যেহেতু ওই নারীর বাড়ি বোদা উপজেলায়, সেখানকার ইউএনওকে জানিয়ে সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ