সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ | ৮ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

প্রতিষ্ঠিত নারী উদ্যোক্তা শারীরিক প্রতিবন্ধী রেহেনা

শারীরিক প্রতীবন্ধকতা কোনো কাজের বাধা হতে পারে না। স্বপ্ন পূরণের জন্য চাই কঠোর পরিশ্রম, অধ্যাবসায় আর মনোবল। এগুলোর উপর আস্থা রেখেই অনেকেই পৃথিবী জয় করেছেন। যাদের জন্ম দুশ্চিন্তায় ফেলেছিল পরিবারকে। সমাজের একটি আলাদা অংশ ছিল যারা। বলছিলাম শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়েও যারা আজ সাধারণ মানুষের কাতারে সামিল হয়েছে নিজেদের যোগ্যতায়। নিজের চেষ্টা আর দৃঢ় মনোবল তাকে সাফল্যের অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। বলছিলাম জয়পুরহাটের শারীরিক প্রতিবন্ধী রেহেনা আক্তারের কথা।

তিনি দারিদ্র্যের কষাঘাত আর শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে দাখিল পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে গিয়ে নতুন জামা বিক্রি করা স্বপ্ন বিলাসী সেই রেহেনা আক্তার দারিদ্রতা জয়ের এক অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে শুধু এলাকায় নয় বরং দেশের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তার জীবন যুদ্ধের দীর্ঘ সংঘাত, দারিদ্র্যগ্রস্ত জীবন আর শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সত্বেও আজকের সফলতার কাহিনি শোনার জন্য সরেজমিনে কথা হয় জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার শিবপুর চার মাথায় অবস্থিত তার সমন্বিত কৃষি খামারের ভিতরে অতিথিদের জন্য নির্মাণাধীন টিনের ছাউনি ঘরে।

শিবপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদ আকন্দের আট সন্তানের মধ্যে রেহেনা আক্তার পঞ্চম সন্তান। ১৯৮১ সালে তাঁর ছয় বছর বয়সে পোলিও রোগে আক্রান্ত হওয়ায় ডান পা দিয়ে হাঁটতে হয় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় কারণে গ্রামের পাড়াপ্রতিবেশি তো দূরের কথা, পরিবারের লোকই চাইতো না সে লেখাপড়া করুক। কিন্তু তাঁর শিক্ষার প্রতি প্রবল আগ্রহ, ইচ্ছাশক্তি সব বাধাকে পেছনে ফেলে তাকে এগিয়ে নিয়ে যায় অন্য এক আলোর ভুবনে।

তিনি দুই সন্তানের জননী তারঁ বড় ছেলে আব্দুর রহমান জয়পুরহাট সরকারি কলেজে অনার্স তৃতীয় বর্ষে পড়াশোনা করছেন ও তার ছোট ছেলে আব্দুর রহিমকে তিন বছর আগে নিজের কষ্টের উপার্জিত টাকা দিয়ে সৌদি আরবে পাঠিয়েছেন।

স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে রেহেনা আক্তার (৪১) ঢাকা প্রকাশকে বলেন, দাখিল পরীক্ষার ফরম পূরণ করার জন্য যে টাকার প্রয়োজন তা ধনী-গরীব, মধ্যবিত্ত, ব্যবসায়ী, সমাজপতির দ্বারে দ্বারে ধরনা দিয়েও সেই টাকার ব্যবস্থা করতে পারেননি, ফিরে আসতে হয়েছে চোখের জলকে সঙ্গে নিয়ে।

নিজের অনেক কষ্টের দ্বারা অর্জিত টাকা দিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার পূর্বে কিনেছিলেন ৩০৫ টাকা দিয়ে নতুন জামা। শেষ সম্বল সেই জামা বিক্রি করে তার এক বান্ধবীর কাছে বিক্রি করে সেই যাত্রা কোনভাবে সক্ষম হয়েছিলেন প্রবেশপত্র হাতে নেবার ক্ষেত্রে। নিজ বাড়ি থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে পরীক্ষা কেন্দ্র হওয়ায় সেখানে অবস্থান করার জন্য বাড়তি খরচ মেটাতে ধার করা টাকা পরিশোধ করেছেন জাল বুনানো কাজসহ অন্যান্য হাতের কাজের পারিশ্রমিকের অর্থ দিয়ে।

বর্তমানে রেহেনা আক্তার একজন ফাজিল পাস নারী হলেও তার পড়াশোনার খরচসহ গোটা পরিবারের ভরণপোষণের অর্থের যোগান আসতো চাঁদের আলোয় বুনানো জাল বিক্রির টাকা, হাঁস-মুরগী পালন, হোমিও ওষুধ বিক্রি এবং হাতের কাজ করার অর্থ দিয়ে। ১৬ বছর বয়সে বিয়ে হয় একই গ্রামের তার চেয়ে তিন গুণেরও অধিক বয়সী আব্দুর রশিদ মোল্লার সঙ্গে।

এক আবেগঘন পর্যায়ে রেহেনা আক্তার দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ঢাকা প্রকাশকে বলেন, এ বিয়ে ছিলোনা তার জৈবিক চাহিদা কিংবা সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য। এটি ছিল কৈশোরকালীন স্বপ্ন পূরণের ভিত। পরিবার আর সমাজ থেকে নিগৃহীত জীবনের মাঝে থেকে একটা পরিচয়ের পরিচয় দেবার উপলক্ষ মাত্র।

বয়সের অধিক তারতম্য বিদ্যমান থাকায় স্বামীর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ভ্রুকুটিকে আমলে না নিয়ে বেসরকারি সংস্থা টিএমএসএস থেকে ২০০৫ সালে ১৫ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ১২টি সোনালি মুরগি দিয়ে ছোট পরিসরে খামার শুরু করলেও তা একসময় বড় আকার ধারণ করে।

খামারটি যখন স্বপ্ন পূরণের ক্ষেত্রে আলোর মুখ দেখাচ্ছিল ঠিক সেই সময়ে ২০১১ সালে বার্ডফ্লু রোগে তার খামারের ১৩০০ মুরগি সবগুলো মারা যাওয়ার কারণে ৫ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হন। তবুও তিনি থেমে থাকেননি। মুরগি পালন ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে আবার ৯ টি হাঁস দিয়ে শুরু করেন হাঁস পালন। যা পরবর্তীতে ১৭০০ হাঁসে দাঁড়িয়েছে। এছাড়াও গড়ে তুলেছেন ৭-৮টি গরুর খামার ও প্রায় দুই শতাধিকের ওপর কবুতরের খামার।

রেহেনা আক্তার আরও বলেন, গত এক বছরে ডিম বিক্রি ছাড়াই সাড়ে ১৬০০ হাঁস বিক্রি করেছেন ৫ লাখ ৬৩ হাজার টাকায়। একই বছরে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা দিয়ে কেনা ৮টি ছোট আকারের গরু বিক্রি করেছেন ৩ লাখ টাকায়। বর্তমানে খামারে রয়েছে ছোট আকারের ৭টি গরু। তিন বছর আগে ৬টি কবুতর দিয়ে শুরু করা কবুতরের খামারে কবুতরের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ শতেরও অধিক। প্রতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার স্থানীয় বাজারে ১৫-২০ জোড়া কবুতরের বাচ্চা বিক্রি করে আয় করেন ২৭০০-৩৬০০ টাকা। ইতিমধ্যে ১ হাজার হাঁসের বাচ্চার জন্য অর্ডার দিয়েছেন।

রেহেনা আক্তারের জীবনের বড় একটি সাফল্য সেই ৫ শতাংশের ছোট্ট কুটির থেকে এখন তার সম্পদ দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৫ বিঘায় (৩৩ শতক প্রতি বিঘা)। ২০১০ সালে তার এই উদ্যমী কাজের জন্য সিটি ব্যাংক থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকার পুরষ্কৃত অর্থ দিয়ে নির্মাণ করেছেন গরুর শেড, হাঁস-মুরগির শেড। এর মধ্যে ৯৯ বছর মেয়াদি সরকারি এক একর লিজ নেওয়া খাস জমি বাদে বাকি আড়াই বিঘা জমি তার জীবনের কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে কেনা।

নিজ জায়গায় লাগিয়েছেন বিভিন্ন ফলের গাছসহ প্রায় ৩ শতাধিক কলার গাছ। মৎস্য ও হাঁস পালনের রয়েছে ১৫ শতাংশের একটি ছোট পুকুর। রেহেনা আক্তার শুধু আর্থিকভাবে সফলকাম হননি, বেড়েছে তার সামাজিক মর্যাদাও। জেলা ও উপজেলায় বিভিন্ন সভায় তাকে ডাকা হয় যা তার সামাজিক মর্যাদা এনে দিয়েছে বলে নিজেকে এখন গর্বিত মনে করেন।

জয়পুরহাট জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মাহফুজার রহমান ঢাকা প্রকাশকে বলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধী রেহেনা আক্তার একজন প্রতিষ্ঠিত নারী উদ্যোক্তা। তিনি সমস্ত প্রতিকূলতা জয় করে তার একক প্রচেষ্টায় সম্বনিত কৃষি খামার গড়ে তুলেছেন। প্রতিবন্ধী নারী হিসেবে নিঃসন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগ নিয়েছেন। সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদের জন্য উৎকৃষ্ট উদাহরণ রেহেনা আক্তার। প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে তাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে করা হবে।
এএজেড

Header Ad
Header Ad

বিয়ে না করেই পঞ্চাশে অন্তঃসত্ত্বা অভিনেত্রী, তোলপাড় নেটদুনিয়া

বলিউড অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেল। ছবি: সংগৃহীত

বলিউড অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেল আবারও উঠে এসেছেন আলোচনার কেন্দ্রে। তবে এবার কোনো সিনেমা বা গ্ল্যামার নিয়ে নয়, বরং ব্যক্তিগত জীবনের একটি রহস্যজনক ইঙ্গিত নিয়েই সরব নেটিজেনরা। ৪৯ বছর বয়সেও তার স্টাইল ও সৌন্দর্যে মোহিত ভক্তরা, কিন্তু সম্প্রতি দুবাইতে ছুটি কাটাতে গিয়ে পোস্ট করা একটি ছবিতে তাকে ঘিরে শুরু হয়েছে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার জল্পনা।

সবুজ মনোকিনিতে একটি ম্যাঙ্গো আইসক্রিম হাতে, খোলা চুল, চোখে সানগ্লাস আর মাথায় স্টাইলিশ টুপি পরে ক্যামেরার দিকে পোজ দিয়েছেন আমিশা। সাধারণত এমন ছবিতে ভক্তরা প্রশংসায় ভরিয়ে দেন কমেন্ট বক্স। তবে এবার নজর কাড়ে তার পেট। নেটিজেনদের একাংশ মনে করছেন, ছবিতে ‘বেবি বাম্প’ স্পষ্ট। আর সেখান থেকেই প্রশ্ন উঠছে— “তিনি কি অন্তঃসত্ত্বা?” কেউ লিখেছেন, “বিয়ের আগেই বেবি?” আবার কেউ লিখেছেন, “হে ভগবান, এটা কি সত্যি?”

 

বলিউড অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেল। ছবি: সংগৃহীত

এ নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি আমিশা। তবে এর আগে ১৯ বছরের ছোট নির্বাণ বিড়লার সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন চাউর হয়। একটি ছবি ঘিরে তখনো নেটদুনিয়ায় বেশ আলোচনা হয়েছিল, যেখানে নির্বাণকে ‘ডার্লিং’ বলে সম্বোধন করেন আমিশা, আর নির্বাণও তেমনি প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন।

বর্তমানে আমিশার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। এটি নিছক গুজব, আলো ছড়ানো একটি ছবি, না কি সত্যিই জীবনের নতুন অধ্যায়—তা সময়ই বলে দেবে। তবে একথা নিশ্চিত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনায় থাকতে অভিনেত্রী ভালোই জানেন কীভাবে দর্শকদের কৌতূহলী করে তুলতে হয়।

Header Ad
Header Ad

পারভেজের মৃত্যুতে গ্রামের বাড়িতে মাতম, পাগলপ্রায় মা-বাবা ও একমাত্র বোন

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বনানীতে ছুরিকাঘাতে নিহত প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ছাত্রদল কর্মী পারভেজের গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। ছেলে হারিয়ে পাগলপ্রায় মা-বাবা ও একমাত্র বোন। কাঁদছে স্বজন ও গ্রামের মানুষ।

তুচ্ছ ঘটনায় প্রকাশ্যে এমন নির্মম হত্যাকাণ্ডে হতবাক সবাই। ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি স্বজন ও এলাকাবাসির। রাত ৯টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে পারভেজের লাশ।

সন্তান হারানো শোকে আজোড়ে কাঁদছেন আর বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন মা পারভীন আক্তার। বাবা জসিম উদ্দিন যেন শোকে পাথর। এলাকার প্রিয়মুখ পারভেজের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে কাঁদছে গ্রামের মানুষ।

মৃত্যুর আগের রাতে মায়ের সাথে শেষ কথা হয় পারভেজের। শেষবারের মতো ভিডিও কলে দেখেন ছেলের মুখ।

ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে কুয়েত প্রবাসী বাবা জসিম উদ্দিন বাড়ি এসেছেন রোববার ভোরে। একমাত্র ছেলের এমন মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। সন্তান হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেছেন সাবেক ছাত্রদল নেতা বাবা জসিম উদ্দিন।

মা পারভীন আক্তার বলেন, 'যারা আমার ছেলেরে মারছে তাদের আমার সামনে আনো। আমি জিগাইতাম কেরে আমার ছেলের মারছে।'

বাবা জসিম উদ্দিন বলেন, 'আমার আর বাইচ্চা থাইক্যা কি অইবো। আমার ছেলেই তো নাই। হাত-পা ভাইঙ্গা রাখতো, সারাজীবন পালতাম, খালি বাবা ডাকটা শুনতাম। যারা আমার ছেলে মারছে তাদের প্রকাশ্যে ফাঁসি চাই।'

বাবা বিদেশে থাকায় নিজের গ্রামের বাড়িতে নতুন একতলা বাড়ি নির্মাণ করেছিলেন পারভেজ। কিন্তু সে বাড়িতে আর থাকা হলো না তার। ফিরেছে লাশ হয়ে। রোববার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে লাশ আসে গ্রামের বাড়ি ভালুকার বিরুনীয়া ইউনিয়নের গ্রামের বাড়িতে। লাশ আসার পর সৃষ্টি হয় হৃদয় বিধারক পরিবেশ। পাগল প্রায় মা-বাবা-বোনের আহাজারিতে কান্নার রোল পড়ে।

পারভেজের মৃত্যুর খবরে ভালুকার বিরুনীয়া ইউনিয়নের কাইচান গ্রামে ভিড় করেছেন এলাকার মানুষ। এলাকায় স্বজন, ও ভালো ছেলে হিসেবে পরিচিত পারভেজ ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে যুক্ত বলে জানান স্বজন ও এলাকার মানুষেরা। তাদের পুরো পরিবার বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত। ভিডিও ফুটেজে চিহ্নিত পারভেজের খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও ফাঁসি দাবি জানান স্থানীয়রা।

পারভেজের পিতার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা যুবদলের সহ প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম জানান, পারভেজের বাবা বিরুনীয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক নেতা। তাদের পুরো পরিবার বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। পারভেজ এলাকায় আসলে বিএনপি ও ছাত্রদলের কর্মসূচি ও মিছিলে সবসময় অগ্রভাগে থাকতো।

এদিকে ছাত্রদল কর্মী পারভেজ হত্যার প্রতিবাদ এবং জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে রোববার বিকেলে ভালুকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রদল ও স্থানীয়রা। এসময় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক আধা ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে বিক্ষোভকারীরা। এতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

উল্লেখ্য গত শনিবার বিকেলে রাজধানীর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিল পারভেজ। এ ঘটনায় আটজনের নামসহ অজ্ঞাত আসামি করে বনানি থানায় মামলা করেছে নিহতের মামাতো ভাই হুমায়ুন।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশের হয়ে খেলতে রাজি কিউবা মিচেল

বাংলাদেশের হয়ে খেলতে রাজি কিউবা মিচেল। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রবাসী ফুটবলারদের জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্তির ধারা আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। ইংল্যান্ডের ক্লাব সান্ডারল্যান্ডের বয়সভিত্তিক দলে খেলা ১৯ বছর বয়সী মাঝমাঠের খেলোয়াড় কিউবা মিচেল বাংলাদেশের হয়ে খেলতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি ইমরুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কিউবাকে গতকাল একটি ই-মেইল পাঠানো হয়েছিল। আজ বিকেলে সেই ই-মেইলের জবাবে তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশের হয়ে খেলতে তিনি আগ্রহী এবং পরবর্তী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য প্রস্তুত আছেন।

জন্মসূত্রে ইংল্যান্ডের হলেও কিউবার মা বাংলাদেশের এবং বাবা জ্যামাইকান। ইতোমধ্যে সান্ডারল্যান্ডের হয়ে ৮টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। তার ফুটবল যাত্রা শুরু হয়েছিল বার্মিংহাম সিটির যুব দলে।

এর আগে কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব কাভালরির ফুটবলার সামিত সোমও বাংলাদেশের হয়ে খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ইতোমধ্যে তার জন্মনিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে এবং পাসপোর্টের আবেদন প্রক্রিয়াধীন।

ডেনমার্কপ্রবাসী মিডফিল্ডার জামাল ভূঁইয়ার পথ ধরে প্রবাসী ফুটবলারদের বাংলাদেশ দলে খেলার এই ধারা নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। হামজা চৌধুরীর অভিষেকের পর থেকেই বিষয়টি ঘিরে ফুটবলপ্রেমীদের আগ্রহও বেড়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিয়ে না করেই পঞ্চাশে অন্তঃসত্ত্বা অভিনেত্রী, তোলপাড় নেটদুনিয়া
পারভেজের মৃত্যুতে গ্রামের বাড়িতে মাতম, পাগলপ্রায় মা-বাবা ও একমাত্র বোন
বাংলাদেশের হয়ে খেলতে রাজি কিউবা মিচেল
আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করলেন নুর
২০২৫ শেষ হওয়ার আগেই ৫০ সেঞ্চুরিতে দেশের প্রথম এনামুল হক
ভিসা বাতিল করায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ভারতীয় ও চীনা শিক্ষার্থীদের মামলা
একনেকে ২৪ হাজার কোটি টাকার ১৬ প্রকল্প অনুমোদন
বিগত ৩ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার চায় এনসিপি
এপ্রিলে ১৯ দিনেই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ২১ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল
দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়া নিয়ে বিএনপির অভিমত
ফাইয়াজের মামলায় আইন মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার নেই: আসিফ নজরুল
ভারতের উত্তরপ্রদেশে এক ছাত্রীকে ৭ দিন ধরে আটকে ২৩ জন মিলে ধর্ষণ!
বিরামপুরে পিকআপের ধাক্কায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যুবলীগ কর্মী মিঠু গ্রেফতার
ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে উত্তাল মুসলিম সমাজ, হায়দ্রাবাদে গণবিক্ষোভ
ফকিরাপুলে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ
আল-আকসা ভেঙে মন্দির স্থাপনের পরিকল্পনা ফাঁস, ফিলিস্তিনের সতর্কবার্তা
শেখ হাসিনা-কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ মিলেছে: চিফ প্রসিকিউটর
স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে ১৩৮ মিলিয়ন ডলার দেবে চীন : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই তিন রেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী