সিলেটে অপহরণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৪, শুনানি আজ

সিলেটে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (১২ অক্টোবর) শুনানির দিন ধার্য করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল হাসান তালুকদার।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার খরজখালী গ্রামের মৃত আব্দুস ছামাদের ছেলে মো.তমিজ আলী (৪০), সিলেটের এয়ারপোর্ট থানার বাদামবাগিচা এলাকার মৃত এংরেজ মিয়ার ছেলে মো. সাজ্জাদ মিয়া (৪৫), একই থানার আম্বরখানা বড়বাজার এলাকার মৃত শেখ মজিদ মিয়ার ছেলে মো.নয়ন মিয়া (৩৫) ও কোতোয়ালি থানাধীন মিরাবাজার এলাকার বসুন্দরা-৪ এর মৃত রমেন্দ্র নারায়ন দেবের ছেলে তপু রঞ্জন দেব (৩৫)। সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে দক্ষিণ সুরমার হুমায়ুন রশীদ চত্বর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গত ৭ অক্টোবর ভোর ৫টার দিকে সৈয়দ এমরান হোসেন (৪৫) নামের একজন কাপড় ব্যবসায়ী ব্যবসার মালামাল আনার জন্য ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশে দক্ষিণ সুরমার কদমতলী পয়েন্টে আসলে সে ওই জায়গার আল-সাফা রেস্ট হাউজের সামনে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় উল্লিখিত ৪ আসামি ২টি মোটরসাইকেলযোগে ঘটনাস্থলে এসে এমরানের গলায় ছুরি ধরে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
পরে তাকে নগরীর জিন্দাবাজারস্থ সবুজ বিপনী রেস্ট হাউজের ৪র্থ তলার একটি রুমে নিয়ে তাকে আটক করেন এবং হুমকি ও ভয়-ভীতি দেখিয়ে তার কাছে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন অভিযুক্তরা। এ সময় এমরানের সঙ্গে থাকা ৮৫ টাকা ছিনিয়ে নেন তারা। এ ছাড়াও আরও চাঁদা আদায়ের জন্য এমরানের গলায় চাকু ধরে স্ত্রী তাহমিনা বেগমের ইমুতে ভিডিও কল দেয় এবং সেটি দেখান আসামিরা। স্বামীর জীবন বাঁচাতে অপহরণকারীদের কথামতো বিকাশের মাধ্যমে ১ লাখ টাকা পাঠান তাহমিনা। পরদিন (৮ অক্টোবর) রাত ২টার দিকে অপহরণকারীরা তাকে ছেড়ে দেন। এ ঘটনায় পরবর্তীতে দক্ষিণ সুরমা থানায় এমরান মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় অপহরণকারীদের ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেলও জব্দ করা হয়।
এসআইএইচ
