লাইফ সাপোর্টেই মারা গেলেন ছাত্রলীগ কর্মী!
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুজ্জামান আসাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে ফেসবুকে লাইভ করার জেরে পিটিয়ে আহত করা ছাত্রলীগ কর্মী জীবন লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় মারা গেছেন। শুক্রবার দুপুর ১ টা ২০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডাক্তার শামীম ইয়াজদানী ও নিহতর চাচা এসএম ফিরোজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জামিল আলিম জীবন নলডাঙ্গা উপজেলার রামশার কাজিপুর এলাকার ফরহাদ হোসেন শাহর ছেলে। তার ৪ মাস বয়সী একটি শিশু সন্তান রয়েছে।
রামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডাক্তার শামীম ইয়াজদানী জানান, দুপুর ১ টা ২০ মিনিটে মারা যাওয়ার পর মরদেহের ময়না তদন্তের প্রস্তুতি চলছে। ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের সদস্যদের হস্তান্তর করা হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিহতর চাচা এসএম ফিরোজ জানান, জীবনের মরদেহ রামেক মর্গে রাখা হয়েছে। মরদেহ পাওয়ার পর বাড়ির উদ্যেশয়ে রওনা দেবেন তারা।
এর আগে গত বুধবার দুপুরে তার মাথায় অপারেশনের জন্য বের করার পরও তা না করে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। এসএম ফিরোজ জানান,ঘটনার পর থেকে জীবনকে অজ্ঞান অবস্থায়, রামেকের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। বুধবার দুপুরে তার মাথায় অপারেশনের জন্য তাকে বের করা হলেও তাৎক্ষনিক অপারেশন করা সম্ভব নয় জানিয়ে ডাক্তাররা চলে যান। এরপর তাকে আবারও লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়।
প্রসঙ্গত নলডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ফেসবুক লাইভে নানা কথা বলার জেরে ১৯ সেপ্টেম্বর রাত ৭ টার দিকে উপজেলার আমতলী এলাকায় তাকে পিটিয়ে জখম করেন উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ। এ সময় তার দুই ভাই তাকে সহযোগীতা করোন। ওই ঘটনায় থানায় মামলা করেছেন জীবনের মা।
নলডাঙ্গা থানার ওসি শফিকুল ইসলাম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ভুক্তভোগির মা জাহানারা বেগম ওই এজাহারটি দাখিল করেন। তিনি জানান, ওই এজাহারটির আলোকে মামলায় ইতোমধ্যেই এক আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার আইও এসআই মানিক কুমার চৌধুরী জানান,মামলা,দায়েরের পর ওই চেয়াম্যানের ভাই,আসামী আলিম আল রাজিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এএজেড