শেষ হলো রংপুর পুলিশের চতুর্থ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান
শৃংখলা-আস্থা-প্রগতি এই তিন মন্ত্রে গৌরব, ঐতিহ্য, সাফল্য ও সংগ্রামের চতুর্থ বর্ষপূর্তি সম্পন্ন করেছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এক আড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ আয়োজনের শেষ হলো। আইনশৃংখলা বাহিনীর পাশে থাকার দৃঢ় অঙ্গীকার নিয়ে পুরো আয়োজনের সহযোগী ছিল দেশের অন্যতম বৃহৎ ইস্পাত প্রস্তুতকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম।
কেএসআরএম ব্যবসার পাশাপাশি এমন সব সামাজিক উন্নয়ন ও দায়বদ্ধতার কাজ করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নূরে আলম মিনার (বিপিএম-বার, পিপিএম) সভাপতিত্বে প্রীতিভোজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি মো. আবদুল আলীম মাহমুদ বিপিএম (রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রথম কমিশনার)।
বক্তব্যে তিনি বলেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ অত্যন্ত সফলতা ও দক্ষতার সাথে চার বছরে পদার্পন করেছে। এ আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি অত্যন্ত গর্বিত ও আনন্দিত। এ সময় তিনি পুলিশের পাশে থেকে বর্ষপূতিকে উৎসবের আমেজ দেওয়ায় কেএসআরএমের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন।
এছাড়াও পাশে থাকার ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সভাপতির বক্তব্যে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার নূরে আলম মিনা বলেন, আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠার চার বছর পূর্তি উদযাপন করা হচ্ছে। আয়োজনে সহযোহী হওয়ায় কেএসআরএমকে ধন্যবাদ। এ উপলক্ষে রংপুর শহরজুড়ে ব্যানার ফেস্টুন টাঙানো হয়েছে। নগরজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। আমরা চেষ্টা করছি আনন্দ মুখরভাবে দিনটি উদযাপন করতে।
দিনব্যাপী আয়োজনের মূল পর্বের অতিথি ছিলেন রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তাফা, জেলা প্রশাসক আসিব আহসান, কেএসআরএমের মার্কেটিং রিচার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট উইংস মহাব্যবস্থাপক কর্নেল (অব.) প্রকৌশলী মো. আশফাকুল ইসলাম, সহকারী মহাব্যবস্থাপক (মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস) মো. মাসুম বিল্লাহসহ বিভাগীয় পর্যায়ের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা।
এছাড়াও রাজনৈতিক নেতা, কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ও সুধীজনরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের সমাপনী পর্যায়ে সভাপতি রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নূরে আলম মিনা চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রকাশিতব্য স্মরণিকা 'প্রগতি' সম্প্রীতির স্মারক হিসেবে এ আয়োজনের পৃষ্ঠপোষক কেএসআরএমের মহাব্যবস্থাপক আশফাকুল ইসলামের হাতে তুলে দেন। পরবর্তীতে র্যাফেল ড্র, প্রীতিভোজ ও পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
এএজেড