সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪ | ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ইলিশা ফেরিঘাটের বড় আপদ ইউসুফ-আজিজের চাঁদাবাজি

ইউসুফ পাটোয়ারি ও আজিজের চাঁদাবাজি বড় আপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটের পরিবহন চালকদের জন্য। তাদের চাঁদাবাজিতেই নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে ইলিশা ফেরিঘাট। আর এ চাঁদাবাজি কিছুতেই থামছে না। তাই এটি একটি অপ্রতিরোধ্য বিষয় বলেও দাবি তুলছেন ফেরি পারাপারের জন্য ঘাটে আসা যানবাহন চালকরা।

জানা গেছে, ইউসুফ পাটোয়ারি বিজেপির সাবেক নেতা এবং নব্য ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্পাদক।

ভুক্তভোগী ড্রাইভারদের অভিযোগ, ইউসুফ ও আজিজের নির্দিষ্ট পরিমাণ চাহিদা পূরণ না করলে ফেরিতে গাড়ি উঠতে দেওয়া হয় না। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে ফেরিঘাটে আসা যানবাহন চালকদের জিম্মি করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগও উঠেছে।

ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটে আশা ট্রাকচালকরা জানান, ইউসুফ পাটোয়ারির চাঁদার আতঙ্কে আমরা অতিষ্ঠ। তবে চালকরা প্রশংসা করেন সাবেক মন্ত্রী আলহাজ্ব তোফায়েল আহাম্মেদের । তারা বলেন, জাতীয় নেতা তোফায়েল আহাম্মেদের সুনাম বিনষ্ট করার জন্য ইলিশা ঘাটে এ রকম ধান্দার কাউন্টার বসান বিজেপির সাবেক নেতা ইউসুফ পাটোয়ারি ও আজিজ ।

ড্রাইভাররা জানান, গত দুই বছর আগে তোফায়েল আহাম্মেদের নির্দেশে ইলিশাঘাট থেকে এক চাঁদাবাজকে আটকের পরে কিছুদিন আমরা স্বস্তিতে ছিলাম। কিন্তু তিনি অসুস্থ হওয়ার পরে আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ইউসুফসহ তার সহযোগীরা।

চাঁদাবাজরা নিজেদের স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মী পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করছে বলেও জানান ভুক্তভোগী একাধিক চালক ও হেলপাররা। জানা গেছে, চাঁদা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় হাতুড়ি দিয়ে পেটানোর মতো ঘটনাও ঘটেছে এ ঘাটে।

আরও জানা গেছে, ইলিশা ঘাটে পন্যবাহী ট্রাক আসলেই লাইন খরচের টাকার নাম করে হাত বাড়ায় ইউসুফ পাটোয়ারি। তবে মাছ বহনকারী গাড়ি হলে এক লাফে চাঁদার পরিমাণ বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে যায়।

এ ব্যাপারে একাধিকবার অভিযুক্তদের প্রতি ব্যবস্থা নিলেও বন্ধ হয়নি চাঁদাবাজি, বেপরোয়া রয়েই গেছে ইউসুফ গংরা। এখানকার ফেরির উদ্দেশে আসা সকল যানবাহনকেই অপেক্ষা করা থেকে সব ধাপেই সংশ্লিষ্টদের চাহিদা পূরণ করতে হয় চালকদের। প্রশাসন বিভিন্ন সময় এর প্রতিকার নিলেও চাঁদাবাজি থামছে না কিছুতেই। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপে কিছুদিন বন্ধ থাকলেও পরে আবারও চাঁদাবাজি শুরু হয় নতুন কৌশলে। ধাপে ধাপে শুধু কৌশল পরিবর্তন হয় কিন্তু চাঁদামুক্ত হয় না।

এই ফেরিঘাটে স্থাপন করা সিসি ক্যামেরা। তারপরও থামানো যায়নি ইউসুফদের চাঁদাবাজি। তাদের চাঁদাবাজির বেশ কিছু ভিডিও ক্লিপ সংরক্ষিত রয়েছে প্রতিবেদকের হাতে। তবে সিসি ক্যামেরার সুফল না পাওয়ার কথাও ব্যক্ত করেন চালকরা। এক ভিডিওতে দেখা যায়, ইউসুফ পাটোয়ারি তার সহযোগীকে আদেশ দিচ্ছে রেডেক্স থেকে ৪০০ টাকা লও এক পয়সাও কম হবে না । আবার সোনার বাংলার আরেক চালককে বলছেন ওর কাছে টাকা দেন সমস্যা নাই । ইউসুফ নিজেও চাঁদা আদায় করছে এমন বেশ কিছু ভিডিও ক্লিপও রয়েছে। তাতে প্রমাণ হয় যে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারে ঠেকানো যায়নি এ ঘাটের চাঁদার ধান্দা।

এদিকে ঘাটে চাঁদাবাজির ধরনেও ছোঁয়া লেগেছে নানা আধুনিকতার, পাল্টে গেছে চাঁদার পরিমাণ ও স্টাইল। প্রশাসনের লোক কিংবা সংবাদকর্মীদের উপস্থিতি টের পেলেই নতুনরা তুলেন নির্ধারিত পরিমাণের টাকা।

ইলিশা ফেরিঘাটের অপেক্ষমান ট্রাক চালকরা বলেন, পরিবহন সেক্টরে বিস্তর চাঁদাবাজি। পরিবহন সেক্টরের এই চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্য থামানোর সাধ্য যেন কারোই নেই।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে একজন চালক বলেন, সাবেক বিজেপির ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা ইউসুফ এখন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলের সঙ্গে মিশে এই চাঁদা কালেকশন করেন। কেউ তাকে জিজ্ঞেস করলে সে বলেন, আমি পুল্টনের টোল ইজারাদার । কিন্তু পুল্টনের টোল আদায়ের ৭৫ টাকা আদায় রশিদের মাধ্যমে বিআইডব্লিউটিসির ফেরি ভাড়া আদায়ের সঙ্গেই নেওয়া হয় এমনটাই দেখা গেছে সরেজমিনে। তাহলে ইউসুফ পাটোয়ারি লাইনের দোহাই ও পার্কিং দোহাই দিয়ে যে টাকা নেন তা চাঁদা নয় কি? এমন প্রশ্ন চালকদের কিন্তু ইলিশার প্রভাবশালী নেতার ছত্রছায়াই থাকা ইউসুফ কে থামাবে কে?

চালকরা জানান, চাঁদাবাজ ইউসুফের পক্ষে স্থানীয় নেতা ও ঘাট ইজারাদারের অসাধু কর্তাব্যাক্তি অবস্থান নেওয়ায় প্রশাসনের সব উদ্যোগ ভেস্তে যাচ্ছে । এ পয়েন্টের চাঁদাবাজি এখন অপ্রতিরোধ্য বিষয়ে রূপ নিয়েছে।

চালকরা বলেন, জ্বালানি তেলের দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই বেড়েছে এখানকার চাঁদার হার । দেশের পূর্ব-দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাসমূহের একটি প্রবেশদ্বার ভোলা-লক্ষ্মীপুর ফেরি। এ রুটে চলাচলরত দুই সহস্রাধিক যানবাহন থেকে চলছে ইউসুফদের আদায় বানিজ্য ।

ইউসুফের টাকা কালেকশনের বিষয়ে ঘাট ইজারাদার হোসেন সহিদ সোহরাওয়ার্দী মাষ্টার বলেন, আসলে আমাদের মাসে ৪ লাখ টাকা কালেকশন দরকার। পদ্মা সেতু হওয়াতে কালেকশন কম হচ্ছে ।

তিনি আরও বলেন, গাড়ি প্রতি আদায়কৃত টাকা আমি একা পাই না। বিষয়টি পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিসি ওদের দিয়ে কালেকশন করে আমাদেরকে একটি অংশ দেয় ।

তবে বিআইডব্লিউটিসি’র টোল ইজারার বাহিরে ইউসুফ রশিদ ছাড়া যে টাকা তুলেন সেই বিষয়টি কিভাবে দেখছেন বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তারা তা নিশ্চিত নয় যানবাহন চালকরা। এ বিষয়ে জানতে ভোলা বিআইডব্লিউটিসির ইনচার্জ পারভেজ আহাম্মদের ফোনে কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

ইলিশা ফেরিঘাটে চাঁদা আদায়ের বিষয়ে ভোলা সদর সার্কেলের এএসপি মো. ফরহাদ সরদার বলেন, আমি আপনাদের মাধ্যমে চাঁদা আদায়ের বিষয়টি জেনেছি । এখানে চাঁদা আদায়ের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানান তিনি।

এসআইএইচ 

Header Ad

শেখ হাসিনার নতুন ফোনালাপ ফাঁস, প্রবাসীদের নিয়ে ভয়াবহ ষড়যন্ত্র!

ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের তোপে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন। তবে বিদেশে থাকলেও কদিন পর পরই ফাঁস হচ্ছে অডিও কল রেকর্ড। সেখানে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেশের নানা বিষয় নিয়ে কথা বলতে শোনা যায় তাকে। ফোন কলেই ছুড়ে দিচ্ছেন নানা রকম হুমকিও।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) আবারও শেখ হাসিনার ‘কণ্ঠে’ নতুন একটি ফোনালাপ ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এই ফোনালাপে শেখ হাসিনার কণ্ঠের মতো একদল প্রবাসী নেতাকর্মীদের বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেন।

অডিও থেকে জানা যায়, সুইডেন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দেশটিতে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন দলটির নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা ফোন কলে নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং বিভিন্ন পরামর্শ দেন। অনুষ্ঠান শেষে শেখ হাসিনাকে উপস্থিত বাবু সুভাষ ঘোষ, লিংকন মোল্ল্যা, খোকন মজুমদার, নঈম বাবু, মোহম্মদ শহীদ, মাহবুবুর রহমান, লিমন, কবির, সাব্বিরসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দের নাম ঘোষণা করতে শোনা যায়।

অডিওর শুরুতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং সমন্বয়কদের খুনি অ্যাখ্যা দিয়ে এসময় নেতাকর্মীদের ফোনকল রেকর্ড করার কথা বলা হয়। অডিওতে বলা হয়, এই অবৈধ সরকারের অত্যাচারে সারা দেশের মানুষ জর্জরিত। কৃষক-শ্রমিকরা বেকার হয়ে গেছেন। শ্রমিক আন্দোলন করেছেন, সঙ্গে সঙ্গে গুলি করে মেরে ফেলা হয়েছে।

অডিওতে বলা হয়, এই অবৈধ সরকারের অত্যাচারে সারা দেশের মানুষ জর্জরিত। কৃষক-শ্রমিকরা বেকার হয়ে গেছে। শ্রমিক আন্দোলন করেছে, সাথে সাথে গুলি করে মেরে ফেলা হয়েছে। চাকরির বয়স নিয়ে আন্দোলন করতে যমুনার সামনে গেলো, সাথে সাথে গুলি করলো। সেখানে একজন মারা গেলো এবং পিটিয়ে উঠিয়ে দিলো।

শেখ হাসিনা বলেন, ৭ জুলাই থেকে এই ছাত্ররা যখন আন্দোলন করে ১৪ জুলাই পর্যন্ত। তারা সহিংস হওয়ার আগে গায়ে একটা টোকাও পড়েনি। তাদের মতো তারা আসছে-বসছে, আমরা তো তাদের কিছুই বলিনি। পুলিশের কাছে কোনো মেটাল বুলেট ছিল না। নির্দেশ দিয়েছি কোনো গুলি করবা না। পুলিশ ব্যারিকেড উঠিয়ে তারা ইচ্ছে মতো আন্দোলন করেছে। শুরু থেকে তো অনেক কিছু করা যেতো, আমরা তো সেসব করিনি।

তিনি বলেন, এই কোটা তো আমিই বাতিল করে দিয়েছি। যেখানে কোনো কোটাই নাই, সেখানে আন্দোলনটা কিসের জন্যে ছিল? তারপর আমাদের মন্ত্রীরা তাদের বসে, তাদের সব দাবি মানা হয়। দাবি মানার পরে আবার এক দফা। শেখ হাসিনাকে খুন করো, এই তো কথা? তাদের টার্গেট ছিল আমাকে হত্যা করা।

তিনি আরও বলেন, এখান আবার হত্যা মামলা দিয়ে বলে গণহত্যার বিচার হবে। গণহত্যার বিচার আমার না, বিচার হবে ইউনূসের। এই সমস্ত খুনের দায়-দায়িত্ব ইউনূসকে নিতে হবে। সে যে হত্যার সাথে জড়িত, তার প্রমাণ তো পাওয়ায় যায়। কারণ জেলখানায় যত জঙ্গি আটক ছিল, তাদেরকে ইউনূস ছেড়ে দিয়েছে। তাদের সঙ্গে ইউনূসের একটা যোগসাজশ ছিল। বাংলাদেশটাকে সে একটা জঙ্গি দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, শেয়ার মার্কেটের টাকা উধাও, ব্যাংকে টাকা নাই। ব্যাংকের টাকা উধাও। সেসব টাকা গেরো কোথায়? ২০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য আমি রেখে আসছি। ১ কোটি পরিবারের জন্যে টিসিবি কার্ড দিয়েছি।

তিনি বলেন, দেশে যে অরাজকতা চলছে তার বিচার হবে ইনশাল্লাহ। এদের বিচার আমি করবোই ইনশাল্লাহ।

Header Ad

এস আলমের শেয়ার বিক্রি করে ১০ হাজার কোটি টাকা আদায় করবে ইসলামী ব্যাংক

এস আলমের শেয়ার বিক্রি করে ১০ হাজার কোটি টাকা আদায় করবে ইসলামী ব্যাংক। ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

ইসলামী ব্যাংক পিএলসির যেসব শেয়ার বাংলাদেশ ব্যাংক জব্দ করেছে, সেগুলো বিক্রির পরিকল্পনা করছে ইসলামী ব্যাংক। এই শেয়ার বিক্রি করে ১০ হাজার কোটি টাকা আদায় করতে চায় ব্যাংকটি। এই শেয়ারগুলোর বেশিরভাগ ছিল বিতর্কিত এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ এ তথ্য জানান। তিনি জানান, পাচার করা টাকা পুনরুদ্ধার কৌশলের অংশ হিসেবে এসব শেয়ার বিক্রি করা হবে।

ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেন, এস আলম ইসলামী ব্যাংকের ১৭টি শাখা থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে। শুধু টাকা নেয়নি, আন্তর্জাতিক ব্যাংকগুলোর সঙ্গে ব্যাংকের যে সম্পর্ক ছিল, সেটাও ধ্বংস করে দিয়েছে। পাশাপাশি পুরোনো উদ্যোক্তা সৌদি প্রতিষ্ঠান আল রাজিকে আনার চেষ্টা চলছে। আইএফসিকেও যুক্ত করার চেষ্টা করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, সব ব্যাংককে রক্ষা করা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্ব। পরিচালনায় বদল এনেও যেসব ব্যাংক এখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি, তাদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সব আমানতকারীকে রক্ষা করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী ব্যাংকের পুনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানসহ পরিচালকেরা উপস্থিত ছিলেন।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, অনিয়মের মাধ্যমে যারা ব্যাংক থেকে টাকা নিয়েছেন, সেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আলাদাভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। কোনো প্রতিষ্ঠান মরতে দেওয়া হবে না। কারণ, সব প্রতিষ্ঠান জাতীয় সম্পদ। এর সঙ্গে ব্যাংকের বিনিয়োগ, উৎপাদন ও সরবরাহ জড়িত। এস আলমের শাস্তির জন্য আদালতে মামলা দায়ের হবে। সেখানেই সিদ্ধান্ত হবে, তাদের কী হবে।

ইসলামী ব্যাংকের উন্নতি হচ্ছে জানিয়ে ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ জানান, ৩ মাসে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা আমানত বেড়েছে। প্রবাসী আয় বাড়ছে। নতুন বিনিয়োগ দেওয়া বন্ধ আছে। ব্যাংকের ২ হাজার ৭০০ এজেন্ট পয়েন্টে তিনজন করে কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। তাঁরা ব্যাংকের আমানত বাড়াতে ভূমিকা পালন করতে পারেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে মালিকানা পরিবর্তনের পর ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের বিদেশি বিনিয়োগকারীরা শেয়ার ছাড়তে শুরু করেন। এস আলম গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আগে ইসলামী ব্যাংকের ৫০ শতাংশের বেশি মালিকানা বিদেশিদের হাতে ছিল। এখন যা কমে ১৩ শতাংশে নেমেছে।

এস আলম গ্রুপ ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর ধীরে ধীরে শেয়ার ছেড়ে দেয় ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইডিবি), দুবাই ইসলামী ব্যাংক, ইসলামিক ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড করপোরেশন দোহা, ইসলামিক ব্যাংকিং সিস্টেম ইন্টারন্যাশনাল হোল্ডিং লুক্সেমবার্গ, শেখ আহমেদ সালেহ জামজুম, শেখ ফুয়াদ আবদুল হামিদ আল-খতিব, আল-রাজি গ্রুপ, কুয়েতের সরকারি ব্যাংক কুয়েত ফাইন্যান্স হাউস, সৌদি কোম্পানি আরবসাস ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিস্ট এজেন্সিসহ বেশির ভাগ বিদেশি উদ্যোক্তা ও সাধারণ শেয়ারধারী প্রতিষ্ঠান।

Header Ad

অন্তর্বর্তী সরকার যত বেশি সময় নেবে, তত বেশি সমস্যা তৈরি হবে: মির্জা ফখরুল

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকার সময় যত বেশি নেবে, তত বেশি সমস্যা তৈরি হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার (১৮ নভেম্বর) মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, এই সরকার নির্বাচিত নয়। তাই সরকারকেই সেটি চিন্তা করতে হবে। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয় সেখানে অন্তর্বর্তী সরকারকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা বর্তমান সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি এবং দেব। তবে ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনও বসে আছে। তারা সংস্কার করতে দেবে না। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেখছি না। এগুলো দৃশ্যমান করুন।

দেশ একটি ক্রান্তিকাল পার হচ্ছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, গতকাল (রোববার) আমাদের প্রধান উপদেষ্টা ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে বক্তব্য রেখেছেন, ভালো হয়েছে। অনেকে আশান্বিত হয়েছেন, আমি একটু আশাহত হয়েছি। আমি আশা করেছিলাম, প্রধান উপদেষ্টা তার সমস্ত প্রজ্ঞা দিয়ে সমস্যাটা চিহ্নিত করে নির্বাচনের একটি রূপরেখা দেবেন। আমি কেন বার বার নির্বাচনের কথা বলছি। কারণ নির্বাচন দিলে অর্ধেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। বিএনপি ক্ষমতায় যাক, না যাক, সেটা বড় বিষয় নয়। কিন্তু আজকে যারা দেশের ক্ষতি করতে চাচ্ছে, দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চাচ্ছে, দেশকে সংঘাতে জড়াতে চাচ্ছে, তারা তখন পিছিয়ে যেতে বাধ্য হবে। কারণ ওই সরকারের পেছনে জনগণের সমর্থন থাকবে। এটা চিন্তা করতে হবে।

তিনি বলেন, এখন যে পরিবর্তন এসেছে তা বুঝতে হবে। বুঝতে হবে, ছেলেরা কি বলছে। আমরা ১৫ বছর ধরে লড়াই-সংগ্রাম করেছি, যান দিয়েছি, প্রাণ দিয়েছি, মামলা খেয়েছি, জেলে গেছি। তারপরও শেষ লাথিটা গোলে কে মেরেছে? ছাত্ররা মেরেছে।

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, আমরা (বিএনপি) যখন সারা দেশে বিভাগীয় সমাবেশ করছি, তখন আমি আমার বক্তব্যে একটা কথা খুব জোর দিয়ে বলতাম। কোথায়, আমরা তো নবীনদের দেখতে পাচ্ছি না, তরুণদের দেখতে পাচ্ছি না, ছাত্রদের দেখতে পাচ্ছি না। ছাত্র-তরুণরা যদি সঙ্গে না আসে, তাহলে বুক পেতে গুলি নেবে কে? বুক পেতে গুলি নেয়ার প্রতীক ছাত্র, তরুণ, যুবক। যার পিছুটান নেই, যে ভ্যানগার্ড। আমরা মধ্য বয়সী, বয়স্করা পরিবারের কথা চিন্তা করি। আমরা ছেলে-মেয়েদের কথা চিন্তা করি। আমি যদি আজ গুলি খেয়ে পড়ে যাই, আমার পরিবারের কি হবে সেই চিন্তা করেছি- তাই না? কিন্তু বুক পেতে দাঁড়িয়ে থাকা, সাঈদ রংপুরে যেভাবে দাঁড়ালো, দ্যাট ওয়াজ দ্য টার্নিং পয়েন্ট অব মুভমেন্ট। এ বিষয়টি আমাদের চিন্তা করতে হবে। সুতরাং, ছাত্রদের সঙ্গে আমাদের কখনোই দূরত্ব সৃষ্টি করা যাবে না।

তিনি বলেন, দেশ ও জাতির মঙ্গলের জন্য দ্রুত নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন। কারণ এ ধরনের সরকার (অন্তর্বর্তী সরকার) যতদিন বেশি থাকে, তত সমস্যা তৈরি হবে। কারণ এর তো ম্যান্ডেট নেই। এ তো নির্বাচিত সরকার নয়। এর পেছনে শক্তিটা কোথায়? এ জন্যই এই সরকারকে চিন্তা করতে হবে, যত দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্ভব, প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো করে নির্বাচন দিতে হবে। আমরাও সংস্কার চাই, তবে তা যৌক্তিক সময়ের মধ্যে করতে হবে। এমন সময় যেন না নেয়, যে সময় নিতে গেলে জনগণের মধ্যে ভ্রান্ত ধারণা হয়, যে আপনি (অন্তর্বর্তী সরকার) থেকে যেতে চাইছেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, হাসিনা পালিয়ে গেছে কেন? হাসিনা পালিয়ে গেছে, তিনি চিন্তা করতে ভুল করেছেন। আমরা বার বার বলেছি, দেয়ালের লিখন পড়েন, মানুষের চোখের ভাষা বোঝেন। মানুষ এখন আর আপনাদের চায় না। আপনারা দেশটাকে ধ্বংস করেছেন। আমাদের কথা তারা শোনেনি। না শুনে উল্টো নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে, ছাত্রদের গুলি করে হত্যা করেছে এবং শেষ পর্যন্ত পালিয়ে গেছে। আমরা কেউ যেন এমন কাজ না করি, যা দেশকে আবার অনিশ্চয়তা, অস্থিরতার দিকে নিয়ে যাবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

শেখ হাসিনার নতুন ফোনালাপ ফাঁস, প্রবাসীদের নিয়ে ভয়াবহ ষড়যন্ত্র!
এস আলমের শেয়ার বিক্রি করে ১০ হাজার কোটি টাকা আদায় করবে ইসলামী ব্যাংক
অন্তর্বর্তী সরকার যত বেশি সময় নেবে, তত বেশি সমস্যা তৈরি হবে: মির্জা ফখরুল
ট্রেলারেই রেকর্ড গড়ল ‘পুষ্পা ২’
হাতজোড় করে দোয়া চাইলেন জুনাইদ আহমেদ পলক
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে উপদেষ্টা হাসান আরিফ, করলেন কবর জিয়ারত
ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যক্তিগত কোনো সমস্যা নেই: প্রধান উপদেষ্টা
সরকার চাইলে তারেক রহমানকে দেশে ফিরতে সহায়তা করবে যুক্তরাজ্য
সৌদি আরবে কনসার্ট করবেন জেমস
৩০ দিনের মধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ
মৃত্যুর আগে ফেসবুক লাইভে অডিও বার্তা, পত্নীতলায় সুমন হত্যা ঘিরে রহস্য
গিলেস্পিই থাকছেন পাকিস্তানের প্রধান কোচ
প্রাক্তনকে স্বপ্নে দেখা কিসের ইঙ্গিত?
তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ
বেনাপোল বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু
অগ্রাহায়নের শুরুতেই চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত, দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড
শীতকালে যেসব ইবাদতের কথা বলেছেন নবীজি (সা.)
প্রেমের টানে বিয়ের দাবিতে ভারতীয় তরুণী বাংলাদেশে
মাল্টিপ্লেক্সে রেকর্ড আয় করল শাকিবের ‘দরদ’
মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ১৩ জন ট্রাইব্যুনালে হাজির