শিক্ষকের বিরুদ্ধে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ছাত্রী বর্তমানে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় শুক্রবার ছাত্রীর মামা বাদী হয়ে শিক্ষক মুহিদ মিয়ার (৪৫) বিরুদ্ধে সরাইল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ধর্ষণের শিকার ছাত্রী একই বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী।
মামলার এজাহার, মামলার বাদী ও স্থানীয়রা জানায়, ওই ছাত্রীর মা ও বাবা প্রবাসে থাকেন। ছাত্রী তার মামা রহিম মিয়ার বাড়িতে থেকে পড়াশুনা করছিল। বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে ওই ছাত্রী যথারীতি বিদ্যালয়ে যায়। ওই দিন বিরামহীনভাবে মুষলধারে প্রচুর বৃষ্টি পড়ছিল। বিকাল সাড়ে ৩টায় বিদ্যালয় ছুটি হয়। কিন্তু শিক্ষক মুহিদ মিয়া কৌশলে ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে ঝাড়ু দেওয়ার কথা বলে রেখে দেন। বাকি সবাইকে বাড়ি যেতে বলেন। স্যারের কথা মতো ঝাড়ু দেওয়ার কাজ শুরু করে ওই শিক্ষার্থী। বাইরে বৃষ্টির তীব্রতা আরও বেড়ে যায়। তখন শিক্ষক মুহিদ মিয়া দরজা বন্ধ করে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। চিৎকার করার চেষ্টা করলে ছাত্রীকে একটি ছোরা দেখিয়ে হত্যার হুমকি দেন শিক্ষক। ছাত্রী বাড়িতে গিয়ে কান্নাকাটি করে তার নানুর কাছে সবকিছু খুলে বলে। ছাত্রীর মামা রহিম মিয়া ওই শিশুকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে শিশুটি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ব্যাপারে শিক্ষক মুহিদ মিয়ার সঙ্গে কথা বলতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার দুটি নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
সরাইল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ বলেন, বিষয়টি শুনেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেব।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। ছাত্রীর মামা বাদী হয়ে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। আমরা আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। অতি শিগগিরিই আসামি ধরতে সক্ষম হব।
এসএন