তাজমহলের আদলে ২৫০ বছরের মসজিদ
বারো আউলিয়ার পুণ্যভূমিখ্যাত চট্টগ্রামে পুরাতাত্ত্বিক কিছু স্মৃতিচিহ্ন আছে পবিত্র মসজিদকে ঘিরে। তবে সময়ের স্রোতে হারিয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রামের প্রাচীন সব স্থাপত্য নিদর্শন। মোগল আমলের তৈরি এমনই এক প্রাচীন স্থাপত্যের নাম আসগর আলী চৌধুরী জামে মসজিদ।
ভারতের তাজমহলের আদলে নির্মিত আজগর আলী মসজিদটি চট্টগ্রাম নগরীর উত্তর হালিশহরের চৌধুরীপাড়ায় অবস্থিত। আনুমানিক ১৭৯৫ সালে মসজিদটি নির্মাণ করেন হালিশহরের সম্ভ্রান্ত চৌধুরী পরিবারের প্রয়াত আজগর আলী চৌধুরী।
১০ শতক জায়গায় তৈরি মসজিদটির সামনে আছে বিশাল এক পুকুর, যা প্রায় ১০০ শতক জায়গাজুড়ে। মসজিদের দক্ষিণে ২০ শতক জায়গায় আছে কবরস্থান। উত্তরে ২৬ শতক জায়গার ওপর আছে চৌধুরী পরিবারের প্রতিষ্ঠিত উত্তর হালিশহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এছাড়া মসজিদের ছাদে শোভা পেয়েছে বড় তিনটি গম্বুজ ও ২৪টি মিনার। মসজিদের দেয়ালে পুড়া মাটির বিভিন্ন কারুকাজের নির্মিত নানা রকম নকশা যা দর্শনার্থীদের নজর কাড়ে। তবে মজার ব্যাপার হলো, এই মসজিদে প্রচলিত কোনো জানালা নেই।
মসজিদটি নামাজ পড়ার অনুপযোগী হওয়ায় চৌধুরী বংশ ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় এর পেছনে চার কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন মসজিদটি নির্মাণ করেন।যা দেখতে অনেকটাই সংসদ ভবনের মত, এর তিন পাশেই রাখা হয়েছে জলাধার,যা দর্শনার্থীদের নজর কাড়ে।
চট্টগ্রামের ইতিহাস ঐতিহ্যের ধারাকে লালন করে দাঁড়িয়ে আছে দৃষ্টিনন্দন প্রাচীন আজগর আলী চৌধুরী জামে মসজিদটি।যার সৌন্দর্য দেখতে দেখার জন্য প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে শত দর্শনার্থী ভিড় জমায়।
নাসিরাবাদের বাসিন্দা আমিনুল বাহার বলেন,প্রচীন এই মসজিদটি দেখতে নাসিরাবাদ থেকে এসেছি।প্রথম দেখায় মনে হল ষাট গম্বুজ মসজিদ।তবে ষাট গম্বুজ মসজিদ বলেন আর তাজমহলই বলেন কোনো অংশে দিক থেকে কম নয় এই মসজিদটি।
স্থানীয় বাসিন্দা জানান, মুসল্লীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সামনের অংশে তূর্কির নকশায় আরেকটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়।যা দেখতে অনেকটাই সংসদ ভবনের মত।যাতে দেশিয় কোনো ইট, পাথর এমনকি সিমেন্ট পর্যন্ত ব্যবহার হয়নি। মূলত বেলজিয়াম পাথরের তৈরি হয়েছে তিন তলা ভবন। যিনি এর প্রতিষ্ঠাতা তিনি জীবিত নেই। তার বংশধররা এটি পরিচালনা করেন।
এএজেড