জবাবদিহি না থাকায় দেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে: ফখরুল
জবাবদিহি না থাকায় দেশ আজ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঠাকুরগাঁও শহরের কালিবাড়ি নিজ বাসভবনে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কী করছে না করছে তার কোনো জবাবদিহি নেই। এমপি, চেয়ারম্যানদের কাজের কোনো হিসাব নেওয়া হচ্ছে না। তারা যা খুশি তাই করছে। বড় বড় মেগা প্রজেক্টের নামে হরিলুট হচ্ছে। খরচ হচ্ছে ১০ হাজার কোটি আর বলা হচ্ছে ৪০-৫০ হাজার কোটি টাকা। জবাবদিহি না থাকায় দেশ আজ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের জনগণের বেঁচে থাকা এখন কষ্টকর হয়ে পড়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম আকাশ ছোঁয়া। শিক্ষার্থীদের খরচ বেড়েছে। স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও প্রত্যেকটি উপকরণের দাম বেড়েছে। হাসপাতালে গিয়ে মানুষ ঠিকমতো চিকিৎসা পায় না। কয়েকদিনেই প্রায় ৫০টি ওষুধের দাম ৫০ থেকে ১০০ ভাগ বেড়েছে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা হয়েছে। একজন শিক্ষক যদি ১২ লাখ টাকার বিনিময়ে চাকরি নেন তাহলে সেই শিক্ষক সমাজকে কী শিক্ষা দিবেন? বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, পুলিশ-প্রশাসনসহ নানান শ্রেণির মানুষদের টাকা, বাড়ি, গাড়ি, প্লট দেওয়া হচ্ছে যাতে তারা চুপ থাকে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, যখন একটি সরকার জনগণের সমর্থন হারায়, রাষ্ট্রীয় যন্ত্রগুলোকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে থাকে এবং নির্বাচন করে তখন দেশে গণতন্ত্র থাকে না। আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনা। সেজন্য ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছিলাম। বাহাত্তরের সংবিধান তৈরি হয়েছিল। পরবর্তীতে স্বৈরাচার এরশাদকে হটিয়ে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছিলাম।
মুক্ত গণমাধ্যম নিয়ে তিনি বলেন, অনেক আগেই মুক্ত সাংবাদিকতা আওয়ামী লীগ ধ্বংস করে ফেলেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করে ও সাংবাদিক নির্যাতন করে কণ্ঠ চেপে ধরা হয়েছে। বর্তমানে কেউ সত্য কথা লিখতে বা বলতে পারে না। বললেই মামলা-হামলা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনছারুল হকসহ বিএনপির অন্যান্য নেতারা।
এসজি