ফেনীতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের রেকর্ড
রাজনৈতিক অঙ্গনে ২০২১-এ সবসময় আলোচনায় ছিল ফেনী। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার রেকর্ড ভেঙেছে ফেনী। বিদায়ী বছরে অনুষ্ঠিত উপজেলা, পৌরসভা ও ইউপি নির্বাচনেও একই কায়দায় জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন প্রার্থীরা।
বিভিন্ন সূত্রের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৯৭ সালে জেলায় কেবল তিনটি ইউনিয়ন পরিষদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন। এরা হলেন ধর্মপুরে আজহারুল হক আরজু, আনন্দপুরে একরামুল হক একরাম, দাগনভূঞা সদরে মোহাম্মদ হোসেন। ২০১৬ সালে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছাড়াও ১৫টি সাধারণ সদস্য ও পাঁচটি সংরক্ষিত নারী সদস্য পদের সবগুলোতে সরকার দলীয় প্রার্থীরা বিনা ভোটে নির্বাচিত হন।
এর আগে পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও মেয়র, কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান ও সদস্য পদে বিপুলসংখ্যক প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। তখন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ‘ফেনী স্টাইল’ ব্যাপক আলোচিত হয়। ২০১৫ সালের নির্বাচনে ফেনী পৌরসভায় মেয়র এবং সংরক্ষিত ও সাধারণ ওয়ার্ডের ২৩টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিল। এর আগের নির্বাচনেও ফেনীর তিনটি পৌরসভায় ভোটের আগেই ৯০ শতাংশের বেশি প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ‘জয়ী হওয়ার নজির ছিল। ২০২১ সালের নভেম্বর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের শূন্য পদে খায়রুল বাশার মজুমদার তপন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পান।
গেল বছর ২০২১ সালে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বি.কম এর মৃত্যুতে শূন্য হওয়া উপ-নির্বাচনে অন্য কেউ প্রার্থী না হওয়ায় ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ দলীয় প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেন। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জেলার দাগনভূঞা উপজেলার ৬টির মধ্যে ৫টি, ফুলগাজীতে ২, পরশুরামে ১, ছাগলনাইয়ায় ২, সোনাগাজীর দুটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পান। সদর উপজেলার ১২ ইউনিয়নে ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় ভোটগ্রহণের আগেই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ৭ জন। একক প্রার্থী হওয়ায়, এসব নৌকার প্রার্থীদের নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।
বছরের শুরুর দিকে পরশুরাম পৌরসভায় মেয়র, সংরক্ষিত ও সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদের সবকটিতে আওয়ামী লীগের নেতারা একক প্রার্থী হওয়ায় তারাও বিনা ভোটে নির্বাচিত হন। একই বছরের ১৬ জানুয়ারি দাগনভূঞা পৌর নির্বাচনে সাধারণ ওয়ার্ডের চারজন ও সংরক্ষিত তিনটি ওয়ার্ডের সবাই বিনা ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ফেনী পৌরসভার ২৪টি সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদের মধ্যে ১০জন সাধারণ সদস্য ও ৫ জন সংরক্ষিত নারী সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন। সোনাগাজী পৌরসভা নির্বাচনে ৪,৫ ও ৬নং ওয়ার্ডে তাছলিমা আক্তার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন।
/এএন