সারের অবৈধ মজুদ ১২০০ বস্তা সার জব্দ, জরিমানা আদায়
ঝিনাইদহব্যাপী কৃত্তিম সার সংকটের মধ্যে অভিযান শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। বৃহস্পতিবার অবৈধ ভাবে সার মজুদ রাখার দায়ে দুই ব্যবসায়ীকে এক লাখ কুড়ি হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সাথে ১২০০ বস্তা সার জব্দ করা হয়েছে। দুপুরে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হাটগোপালপুরে অভিযান চালিয়ে এ দন্ডাদেশ প্রদাণ করেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমীন আক্তার সুমী।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল করিম জানান, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রাসায়নিক সারের অবৈধ মজুদ করে কৃত্তিম সংকট সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার হাটগোপালপুরে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সার ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামের গোডাউন থেকে ৮০০ বস্তা ও অন্য একটি দোকান থেকে ৪০০ বস্তা ডিএপি, টিএসপি ও ইউরিয়া সার জব্দ করা হয়। এ অপরাধে ব্যবসায়ী কৃষ্ণ গোপাল দত্তকে ১ লাখ ও কামরুল জোয়ার্দ্দারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে জব্দকৃত সার সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের কাছে বিক্রির জন্য ডিলার ও সাব-ডিলারদের মাঝে সরবরাহ করা হয়।
কৃষকরা জানিয়েছেন, ঘরে সার থাকতেও কতিপয় ডিলার সার দিচ্ছে না। আবার বেশি দাম দিলে সার দিচ্ছে। এখন সারের ভরা মৌসুম। জমিতে সার দিতে না পারলে ধানের ক্ষতি হবে। জেলার শৈলকুপা, হরিণাকুন্ডু, মহেশপুর ও কোটচাঁদপুরের সাব ডিলাররা সার নিয়ে কারসাজি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আবার অনেক সার ডিলার গ্রামের বাজার ঘাটে ব্যবসা না করে শহরে বসে সার বিক্রি করছেন। শৈলকুপায় এমন অভিযোগ সবচে বেশি।
ঝিনাইদহ সার ডিলার মালিক সমিতির সভাপতি হাজী জাহাঙ্গীর বলেন, সারা জেলায় মোট ডিলার আছে ৭৩ জন। এসব ডিলারের আবার সাব ডিলার আছে ৬৫৭ জন। সাব ডিলাররা মুলত কৃত্তিম সার সংকট সৃষ্টির জন্য কৃষকদের মাঝে পেনিক সৃষ্টি করছে। তাছাড়া জেলায় কোন সারের সংকট নেই। হাজী জাহাঙ্গীর আরো জানান, জেলার ৬ উপজেলায় কথিত সার সংকট সৃষ্টির বিরুদ্ধে প্রশাসনের সহায়তায় অভিযান চালানো হচ্ছে।
এএজেড