বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতি, নদীগর্ভে বিলীন সহস্রাধিক বাড়িঘর

হাজারো মানুষের আহাজারি, মানবন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশেও টনক নড়েনি কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের। মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে সহস্রাধিক বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভেঙ্গে গেছে চিলমারী ও উলিপুর রক্ষা বাঁধ, পুরান বজরা হাটসহ শতাধিক সরকারি-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান। বন্যার পানি ঢুকে প্লাবিত হচ্ছে পুরো এলাকা। তীব্র ভাঙ্গনে যেকোনও মুহূর্তে হারিয়ে যেতে পারে ঐতিহ্যবাহী চিলমারী নদীবন্দর।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভাঙ্গন কবলিত এলাকাগুলোতে বরাদ্দ হলেও কাজ হচ্ছে তুলনামুলক কম। বিভিন্ন ভাঙ্গন পয়েন্টে জরুরি বরাদ্দের টাকা নয়-ছয়, বরাদ্দকৃত সাড়ে ছয় কোটি টাকার কাজ না করেই শেষ করার চেষ্টার অভিযোগ স্থানীয়দের। তাদের দাবি, বড় ভাঙ্গনে ফেলা সামান্য জিও ব্যাগ স্রোতের টানে ভেসে যাচ্ছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের এ ধরনের গাফিলতি ও টেকসই পরিকল্পনা না থাকার কারণেই নদী ভাঙ্গন বেশি হচ্ছে। এতে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। হাজার হাজার একর আবাদি জমি। নি:স্ব হচ্ছে লাখ লাখ মানুষ। দীর্ঘদিন থেকে নদী ভাঙন থাকলেও দীর্ঘমেয়াদী কোনও পরিকল্পনাই নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ।

হরিপুর ইউনিয়নের চর মাদারি পাড়া কারেন্ট বাজার এলাকা ঘুরে জানা যায়, জরুরি ভাঙন রোধে এলাকাটির জন্য সাড়ে ছয় কোটি টাকার বরাদ্দ দেয় সরকার। কিন্তু চার মাসেও কাজ শুরু করতে পারেনি কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড। মূল ঠিকাদার একদিনও এলাকায় আসেননি। মিলন প্রফেসর নামের একজন ব্যক্তি কয়েক হাজার বস্তা বালু ভরে নদীর কিনারে রেখেছেন। মাঝে মাঝে পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন আসেন। দেখে যান কিন্তু কাজের অগ্রগতি বিষয়ে কিছু বলেন না।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস সূত্রে জানা গেছে, কাজটি রংপুরের ঠিকাদার আসিবুল হাসান সুজনের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নামে হলেও তিনি কাজটি করছেন না। পানি উন্নয়ন বোর্ড কুড়িগ্রাম অফিস সরাসরি কাজটি তত্ত্বাবধান করছেন। সঙ্গে রয়েছেন স্থানীয় জাতীয় সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। তিনি তার বিশ্বস্থ সুন্দরগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার মিজানুর রহমান মিলনকে দিয়ে প্রকল্প তদারকি করছেন।

ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত কাশিম বাজার এলাকার আব্দুস সবুর বাবু(৬২), পাড়াসাদুয়া এলাকার আলহ্বাজ আজিজুল হক(৭১), মাদারিপাড়া এলাকার গোলজার হোসেন(৮৫) বলেন, ‘কয়েকদিন পর পর পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন এসে নদী ভাঙন এলাকা দেখে যায়। এমপি, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এসে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান। গরিব মানুষদের চিড়া-গুড় দিয়ে যান। আমাদের কথা হলো-নদী ভাঙ্গন এলাকার মানুষ তো আর খিদার জ্বালায় মরছেন না, তারা বাপ-দাদার ভিটে হারানোর জ্বালায় মরছেন। আবাদি জমি হারানোর জ্বালায় মরছেন। আমরা চিড়া গুড় চাই না। আর কোন প্রতিশ্রুতিও চাই না। আমরা নদী ভাঙন থেকে টেকসই রক্ষা চাই।’

হরিপুর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান ফরিশ বলেন, ‘আমরা এমপির লোক হওয়ায় কাজটি করতে মিলন সাহেবকে সহযোগিতা করছি। কিন্তু তিনি আমাদের পাওনা নিয়ে নয়-ছয় করছেন। এ নিয়ে তার বাসায় বৈঠক করেছি। কাজটি সঠিকভাবে হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তিনি।

এদিকে কাজ শুরু হতে না হতেই ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে এমপির লোক মিলনের সঙ্গে হরিপুর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে। জিও ব্যাগ নদীতে ফেলা শুরু না হতেই ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে একাধিক বৈঠকও হয়েছে তাদের। তবে সমঝোতা না হওয়ায় কাজ বন্ধ রয়েছে। যে এলাকাটি রক্ষায় সাড়ে ছয় কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল কর্তৃপক্ষের উদাসিনতা ও কাজ নিয়ে এমপির লোকদের মধ্যে দ্বন্দ্বে সেই এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে নতুন করে হুমকির মুখে পড়েছে মাত্র আধা কিলোমিটার দুরে নির্মাণাধীন সাড়ে সাতশ কোটি টাকা ব্যয়ে চিলমারী-হরিপুর তিস্তা ব্রিজ প্রকল্প।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় জাতীয় সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছি। দ্রুত নদী ভাঙন প্রতিরোধে কাজ শুরু করা হবে।

এ সময় কারেন্ট বাজার এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধে নিজের লোক দিয়ে কাজ করার ব্যাপারে তিনি বলেন, মূল ঠিকাদার কাজ করছেন। শুধুমাত্র স্থানীয় লোকজন দেখাশোনা করছেন।

এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, লখিয়ার পাড়, মাদারিপাড়া, পাড়া সাদুয়া ও পন্ডিত পাড়া এলাকার নদী ভাঙন প্রতিরোধের কাজ গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। কারেন্ট বাজারের নদী ভাঙন প্রতিরোধের কাজ চলমান রয়েছে। টাস্ক ফোর্স পরিদর্শন করে অনুমোদন প্রদান করলে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু হবে।

এদিকে নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে নতুন করে ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে, বজরা, কাশিম বাজার, কারেন্ট বাজার, পাত্রখাতা এলাকা। আর নদীর ভাঙন আরো তীব্র হলে এবং বন্যার পানি বৃদ্ধি পেলে কাশিম বাজার, পন্ডিতপাড়া দিয়ে পানি ঢুকে চিলমারী প্লাবিত হবে। অপরদিকে হাসিয়ার ডেরা, ভোলার ছড়ার তীব্র স্রোতেও বাঁধ ভেঙ্গে পানি ঢুকতে পারে চিলমারী। বন্যা ও নদী ভাঙ্গনের বহুমুখী চাপে হারিয়ে যেতে পারে চিলমারী নদী বন্দর।

এসআইএইচ

 

Header Ad

ভারতের বিবৃতি বন্ধুত্বের চেতনার পরিপন্থি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ছবি: সংগৃহীত

সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তারের ঘটনা কিছু মহল ভুলভাবে তুলে ধরছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভারত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিকে জানিয়েছে, চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি দুই প্রতিবেশীর মধ্যে বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়ার চেতনার পরিপন্থি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে সকল ধর্মের জনগণের মধ্যে বিদ্যমান যে সম্প্রীতি রয়েছে এবং সরকারের যে অসাম্প্রদায়িকতার প্রতিশ্রুতি ও প্রচেষ্টা রয়েছে ভারতের বিবৃতিতে তা প্রতিফলিত হয়নি। বাংলাদেশে জনগণের ওপর গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি চলে আসছিল তা সমাপ্ত করার বিষয়ে সরকারের যে দৃঢ়প্রতিজ্ঞা রয়েছে এবং সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘুদের একই নজরে দেখার যে দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, ভারতের বিবৃতিতে সে বিষয়টি সম্পূর্ণ উপেক্ষা করা হয়েছে।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে যে বিবৃতি দিয়েছে, তা সরকারের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। অত্যন্ত হতাশা ও গভীর দুঃখের সঙ্গে সরকার উল্লেখ করছে যে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে নির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেপ্তার করার পর কিছু মহল ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে। ভারতের এ ধরনের ভিত্তিহীন বিবৃতি শুধু ভুল তথ্য ছড়ানো নয়, বরং দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়া চেতনার পরিপন্থি।

বাংলাদেশ সরকার সকল ধর্মের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে উল্লেখ্য করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে নিশ্চিত করছে যে প্রত্যেক বাংলাদেশির তার ধর্মীয় পরিচয় নির্বিশেষে, নিজ নিজ ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান প্রতিষ্ঠা, বজায় রাখা বা পালন করার বা বাধা ছাড়াই মতামত প্রকাশ করার অধিকার রয়েছে। সকল নাগরিকের বিশেষ করে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বাংলাদেশ সরকারের একটি দায়িত্ব। গত মাসে বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা পালনের মাধ্যমে এটি আবারও প্রমাণিত হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকার বিচার বিভাগের উপর হস্তক্ষেপ করে না জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার বিচার বিভাগের কাজে হস্তক্ষেপ করে না। আর চিন্ময় দাসের বিষয়টি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন। সরকার দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বিবৃতিতে উল্লেখ্য করা হয়, চট্টগ্রামে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে সরকার গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। যে কোনো মূল্যে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য কর্তৃপক্ষ বন্দর নগরীতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে।

Header Ad

আইনজীবী সাইফুল হত্যার বিচারের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগরে বিক্ষোভ মিছিল

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে সংঘটিত বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ এবং আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাত সোয়া ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

মিছিলে শিক্ষার্থীদের ‘সাইফুল হত্যার বিচার চাই, করতে হবে করতে হবে’, ‘উকিল মরে আদালতে, এই সরকার কি করে’, ‘হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই, উগ্রবাদের ঠাঁই নাই’, ‘উগ্রবাদের আস্তানা,ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘ভারতের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘ফ্যাসিবাদের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

সমাবেশে বক্তারা চট্টগ্রামের সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলাকে জাতীয় নিরাপত্তা ও বিচার ব্যবস্থার জন্য চরম হুমকি বলে অভিহিত করেন। তারা আইনজীবী সাইফুল ইসলামের নির্মম হত্যাকাণ্ডের দ্রুত এবং সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান।

তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আব্দুর রশীদ জিতু বলেন, আমরা সম্প্রীতি নিয়ে এদেশে বসবাস করতে চাই। কিন্তু একটি পরাজিত শক্তি দিল্লিতে বসে বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার চক্রান্ত করছে। আমার ভাই সাইফুলকে চট্টগ্রামের আদালত চত্বরে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এই হত্যার তীব্র নিন্দা জানাই। যারা বাংলাদেশের সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলব।

দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী জি এম এম রায়হান কবির বলেন, চট্টগ্রামের সন্ত্রাসী হামলা শুধু একটি হত্যাকাণ্ড নয় বরং এটি মানবতার ওপর আঘাত। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত এবং প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। জাহাঙ্গীরনগরের শিক্ষার্থীরা সবসময় ন্যায় ও মানবতার পক্ষে অবস্থান করেছে। আজকের এই মিছিল তারই উদাহরণ। আমরা কোনো উগ্রবাদী শক্তিকে বাংলাদেশে মাথা তুলতে দেব না।

Header Ad

ইউক্রেনে এক মাসে লন্ডনের অর্ধেকের সমান এলাকা দখল রাশিয়ার

ছবি: সংগৃহীত

ক্রমশ উত্তেজনা বাড়াচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। টানা আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাচ্ছে রাশিয়া। মাঝে এই যুদ্ধে কিছুটা ধীরগতি দেখা গেলেও সম্প্রতি হামলা বেশ জোরদার করেছে রাশিয়া।

মূলত ইউক্রেনে এখন আগের যেকোনও সময়ের তুলনায় দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে রুশ সৈন্যরা। এমনকি গত এক মাসে লন্ডনের অর্ধেকের সমান আয়তনের এলাকা ইউক্রেনের কাছ থেকে দখল করে নিয়েছে রাশিয়া।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ান বাহিনী ২০২২ সালের আক্রমণের প্রথম দিনগুলোর চেয়ে ইউক্রেনে বর্তমানে সবচেয়ে দ্রুত গতিতে অগ্রসর হচ্ছে বলে বিশ্লেষক এবং যুদ্ধ ব্লগাররা মঙ্গলবার জানিয়েছেন।

গত মাসে রুশ সৈন্যরা লন্ডনের আয়তনের সমান অর্ধেক এলাকা নিজেদের দখলে নিয়ে গেছে বলেও জানিয়েছেন তারা।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে রাশিয়ার সেনাবাহিনী এর আগে কখনেও এতো দ্রুত ইউক্রেনের অঞ্চলগুলোতে অগ্রসর হয়নি।

মূলত টানা আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিকে সহায়তা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের একাধিক দেশ।

বিশেষ করে অস্ত্র দেওয়ার পাশাপাশি দেশটিকে ব্যাপকভাবে সামরিক তহবিলও জুগিয়ে এসেছে ওয়াশিংটন। তবে এরপরও যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। আর এমন অবস্থায় সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাশিয়ার গভীরে আঘাত হানার জন্য ইউক্রেনকে মার্কিন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছেন।

সংবাদমাধ্যম বলছে, যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভকে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করে সেই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে পাল্টা আক্রমণ করার অনুমতি দেওয়ার পর চলমান এই যুদ্ধটি সবচেয়ে বিপজ্জনক পর্যায়ে প্রবেশ করেছে।

রাশিয়াভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নিউজ গ্রুপ এজেন্টস্টভো এক প্রতিবেদনে বলেছে, “ইউক্রেন-অধিকৃত অঞ্চলের মধ্যে আয়তনের দিক থেকে নতুনভাবে সাপ্তাহিক ও মাসিক রেকর্ড স্থাপন করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার সেনাবাহিনী গত সপ্তাহে ইউক্রেনের প্রায় ২৩৫ বর্গ কিলোমিটার (৯১ বর্গ মাইল) দখল করেছে, যা ২০২৪ সালের জন্য একটি সাপ্তাহিক রেকর্ড।”

এর আগে চলতি বছর জুলাই মাসে রাশিয়া পূর্ব ইউক্রেনে দ্রুত অগ্রসর হতে শুরু করে। ওপেন সোর্স মানচিত্র অনুসারে, এরপর থেকেই রাশিয়ার অগ্রগতি ত্বরান্বিত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সর্বাত্মক হামলা শুরু করে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। এরপর থেকে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে প্রায় ১২ হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আড়াই বছর ধরে চলা এই যুদ্ধে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝিয়া— চারটি প্রদেশের আংশিক দখল নিয়েছে রুশ বাহিনী।

এই চার প্রদেশের রাশিয়ার দখলে যাওয়া অংশের সম্মিলিত আয়তন ইউক্রেনের মোট ভূখণ্ডের এক-পঞ্চমাংশ। অবশ্য যুদ্ধরত এই দুই দেশের কেউই তাদের নিজস্ব ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তথ্য প্রকাশ না করলেও পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো হতাহতের সংখ্যা কয়েক লাখ বলে অনুমান করছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভারতের বিবৃতি বন্ধুত্বের চেতনার পরিপন্থি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আইনজীবী সাইফুল হত্যার বিচারের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগরে বিক্ষোভ মিছিল
ইউক্রেনে এক মাসে লন্ডনের অর্ধেকের সমান এলাকা দখল রাশিয়ার
লেবাননে ইসরায়েলের হামলায় নিহত অন্তত ২২
স্বৈরাচার পালিয়েছে কিন্তু লেজ রেখে গেছে, তারা ষড়যন্ত্র করছে: তারেক রহমান
সহজেই বাংলাদেশকে হারাল উইন্ডিজ
আইনজীবী হত্যায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান
এ আর রহমান আমার বাবার মতো: মোহিনী দে
ইসকন আন্দোলনে দেশি-বিদেশি ইন্ধন রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাইম আইয়ুবের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে সমতায় ফিরলো পাকিস্তান
কে এই চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, তাকে গ্রেপ্তার নিয়ে কেন এত হইচই
ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ, বেড়েছে দাম
৮০ বছর বয়সেও মডেলিং করবেন রুনা খান
চট্টগ্রামে চিন্ময়ের অনুসারীদের হামলায় আইনজীবী নিহত
গুলিবিদ্ধ হওয়ার ২২ দিন পর নওগাঁ যুবদল নেতার মৃত্যু
ঢাকা ও চট্টগ্রামে ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের বিবৃতি
সম্প্রদায়ের নেতা হিসেবে নয়, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় গ্রেফতার: আসিফ মাহমুদ
সংবিধানের ৬২ জায়গায় সংশোধনের প্রস্তাব বিএনপির
বঙ্গবন্ধু রেল সেতুতে চলল পরীক্ষামূলক ট্রেন